আগামী অর্থবছরে রিজার্ভ দাঁড়াবে ৩৪ বিলিয়ন ডলার—অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্কলন

আগামী অর্থবছরে (২০২৫-২৬) দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে প্রাক্কলন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ২৬.৭ বিলিয়ন ডলার।
চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেটে রিজার্ভ ৩১.৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে আমদানি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার পরও সেটি অর্জিত হয়নি।
গত অর্থবছর (২০২৩-২৪) শেষে রিজার্ভ ছিল ২৬.৯ বিলিয়ন ডলার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের মিডিয়াম টার্ম ম্যাক্রোইকোনমিক পলিসি স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, আগামী অর্থবছরে রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, আমদানিতে ৮ শতাংশ এবং রেমিট্যান্সে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে ধারণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ৩.২৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
তবে সম্প্রতি বিনিময় হারে স্থিতিশীলতার লক্ষণ দেখা গেছে এবং রিজার্ভের অবস্থানও উন্নত হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৫ সালের ১৪ মে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারভিত্তিক ক্রলিং-পেগ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে পুরোপুরি বাজারভিত্তিক বিনিময়হার ব্যবস্থা চালু করে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, বাজারভিত্তিক এই ব্যবস্থায় বাজারের শক্তিগুলোকে বিনিময়হার নির্ধারণের সুযোগ দেওয়া হবে।
এর ফলে বহিরাগত খাতের নমনীয়তা ও স্থিতিস্থাপকতা বাড়বে।
এই সংস্কারের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী হবে, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে, রপ্তানিতে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে এবং আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও উৎসাহিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আজ সোমবার (২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতা উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট অনুমোদন হয়েছে।
এটি দেশের ৫৪তম জাতীয় বাজেট এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে প্রথম বাজেট।