কাস্টমসে কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন; চট্টগ্রাম বন্দরে আটকা ৪১,৩১৪ কনটেইনার

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে পণ্য খালাস কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায়— বন্দরে আমদানি করা পণ্যভর্তি কনটেইনারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৩১৪ টিইইউ (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের স্ট্যান্ডার্ড কনটেইনার)।
সাধারণত চট্টগ্রাম বন্দর প্রতিদিন গড়ে ৩৫ হাজার টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডেল করে। তবে চলমান পূর্ণদিবস কলমবিরতির কারণে বন্দরে কনটেইনার জট পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
আজ শনিবার (২৫ মে) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ কলমবিরতি চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বলে জানান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মুখপাত্র ও সহকারী কমিশনার সাইদুল ইসলাম।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করার প্রস্তাবিত পরিকল্পনার প্রতিবাদে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে এই ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। এর আগের দিন (২৪ মে) একই ধরনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়।
কাস্টমস এজেন্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৯০ শতাংশ আবগারি মূল্যায়ন ও খালাস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে বন্দরে আমদানি পণ্যের স্তূপ জমেছে এবং ঈদ মৌসুমের আগে পণ্য সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু টিবিএসকে বলেন, "সাধারণ দিনে চট্টগ্রাম কাস্টমসে ১,২০০ থেকে ২,৫০০টি কনসাইনমেন্ট মূল্যায়ন হয়। এর মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ একই দিনে খালাস হয়ে যায়। কিন্তু চলমান ধর্মঘটে আমদানি পণ্যের কাস্টমস খালাস কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।"
তিনি বলেন, "আমরা ঈদের আগে আমদানিকারকদের কাছে পণ্য সরবরাহ করতে পারছি না, যা বাজারে পণ্যের সরবরাহে সংকট তৈরি করতে পারে।"
কাজী মাহমুদ ইমাম আরও জানান, বর্তমানে চট্টগ্রামে প্রায় ২,৮০০ সিএন্ডএফ (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং) এজেন্ট রয়েছে, যাদের মধ্যে সক্রিয়ভাবে প্রায় ১,২০০ এজেন্ট কাজ করছেন। এসব এজেন্টের অধীনে প্রায় ১০ হাজার কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন।
"কাজ বন্ধ থাকায় শুধু বাণিজ্য থমকে গেছে তা নয়, সিএন্ডএফ এজেন্টরাও তাদের কর্মীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছেন," বলেন তিনি।