রাশিয়ায় আটকে আছে ৭৬ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানির আয়

রাশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে লেনদেন বিচ্ছিন্ন হওয়ায়— দেশটি থেকে ৭৬ লাখ মার্কিন ডলারের রপ্তানি আয় বাংলাদেশে আনা যাচ্ছে না।
আজ বুধবার (৭ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান বাংলাদেশের নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন— বিকেএমইএ'র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
হাতেম বলেন, 'রাশিয়ায় পোশাক রপ্তানির পরে— এক বছরের বেশি সময় ধরে ৭৬ লাখ ডলার প্রত্যাবাসন করতে পারছেন না বাংলাদেশের ১৪ রপ্তানিকারক। এটা হচ্ছে প্রধানত লেনদেনের সমস্যার কারণেই, যার ফলে রাশিয়ার বায়াররা এই অর্থ বাংলাদেশকে দিতে পারছে না।'
এই সমস্যা সমাধানে তিনি প্রস্তাব দেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য রাশিয়ার কাছে বাংলাদেশের বকেয়া পরিশোধের বিপরীতে— এই অর্থ সমন্বয় করা যেতে পারে। অথবা 'বার্টার ব্যবস্থা' চালু করা যেতে পারে, যেখানে অর্থের বদলে পণ্য ও সেবা বিনিময় করা হবে।
উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশও রূপপুর প্রকল্পের ঋণের অর্থ পরিশোধে সমস্যায় পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে হাতেম বলেন, 'বার্টার ট্রেড চালু করলে উভয়পক্ষই উপকৃত হতে পারে।'
আগামী ১০ মে অনুষ্ঠিতব্য বিকেএমইএ নির্বাচনের প্রাক্কালে 'প্রগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্স' প্যানেলের অবস্থান তুলে ধরতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই প্যানেলের নেতৃত্বেই রয়েছেন বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
দেশের পোশাক শিল্পে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনার প্রভাব নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এতে করে কাঁচামাল সরবরাহে বড় কোনো সমস্যা হবে না। তবে এতে করে বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, ভূটান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও (ভারতের) সীমান্ত বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটতে পারে।'
তিনি আরও জানান, রপ্তানিকারকেরা কর, শুল্ক ও ভ্যাট সংক্রান্ত নানা জটিলতায় পড়ছেন। বর্তমান কর ব্যবস্থা 'বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বান্ধব নয়' মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'ট্যাক্সের নামে জোর করে অর্থ আদায় করা হচ্ছে।'
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসানসহ প্যানেলের অন্যান্য সিনিয়র নেতারা।