Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Sunday
June 08, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SUNDAY, JUNE 08, 2025
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে করোনা চিকিৎসা: প্রথমেই যান চিকিৎসকের কাছে

মতামত

শাহানা হুদা রঞ্জনা
21 December, 2020, 10:05 am
Last modified: 21 December, 2020, 10:12 am

Related News

  • জনগণ কি খেলার ‘দুধ-ভাত’?
  • এই স্থবির নগরীতে ভিআইপিরাই চলবেন, বাকি সবে ‘ফুক্কা’
  • ‘এখন সবচেয়ে গতিশীল বস্তু হচ্ছে ৫০০ টাকার নোট, ভাঙানোর সঙ্গে সঙ্গেই নাই’
  • যৌন হয়রানির হাত থেকে কি নারী পুলিশও নিরাপদ নন?
  • বাবা-মায়ের ভাঙন শিশুকে সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ করে তোলে

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে করোনা চিকিৎসা: প্রথমেই যান চিকিৎসকের কাছে

করোনা ফান্ড তৈরি করে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ একজন রোগী হিসেবে আমি বারবার বলছি করোনা হলে দরিদ্র মানুষের পক্ষে বাঁচা প্রায় অসম্ভব। চিকিৎসা খরচ বহণ করা আরো কঠিন। খুব ব্যয়বহুল এই খরচ মেটানোর জন্য সরকার কি পারবেন সেইসব অসহায় মানুষগুলোকে কোন সহযোগিতা করতে?
শাহানা হুদা রঞ্জনা
21 December, 2020, 10:05 am
Last modified: 21 December, 2020, 10:12 am
শাহানা হুদা রঞ্জনা। অলংকরণ: দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

আসি আসি করে, করোনার মত ভয়াবহ একটা মহামারি আমাকে ধরেই ফেললো। সেই যে র্মাচ মাসে করোনা ঠেকানোর অঙ্গীকার নিয়ে বাসায় ঢুকেছিলাম, এরপর থেকে নিজের পায়ে নিজে বেড়ি পরিয়ে রেখেছিলাম। খুব প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরের জগৎকে না বলেছি। মাস্ক-টাস্ক, হাত ধোয়ার বাড়াবাড়ি সবই করেছি। রোস্টার মেনে অফিসও করেছি ভয়ে ভয়ে। যতোটুকু নিয়ম মানা সম্ভব, ঠিক ততোটাই মেনে চলেছি। বরং সেইসব মানুষের উপর বিরক্ত হয়েছি, যারা নিয়ম না মেনে করোনাকে অবহেলা করেছে। অথচ কিছুতেই থামাতে পারলাম না। কারণ সেই শুরু থেকেই দেখছি মানুষের অজান্তে করোনা ঘরে ঘরে প্রবেশ করছে খুব সহজেই আক্রান্ত করছে সবাইকে।

বারবার ভেবেছি, যারা খুব প্রটেকশনের মধ্যে আছেন, যারা মানুষের কাছে যাচ্ছেন না, যারা করোনা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন, তারা কেন, কীভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন? কীভাবে খুব দ্রুত অনেকে মারাও যাচ্ছেন? বিশেষ করে এত অধিক সংখ্যায় ডাক্তারতো চিকিৎসা দিতে এসে আর কোন দেশে মারা যাননি।

নিজ অভিজ্ঞতা:
নিজের হওয়ার পর বুঝলাম সমস্যা অন্যরকম। প্রতিটি সমস্যার চেহারা ভিন্ন। আমাদের বুঝতেই অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে, তাই ক্ষতির পরিমাণও বেড়ে গেছে বহুগুণ।

আর এত মানুষের একটি দেশে, এত সমন্বয়হীনতা ও রাজনীতি থাকার কারণে করোনার মতো প্রবল শক্তিশালী একটি ভাইরাসকে ঠেকানো যে খুবই কঠিন, তা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছিলাম। আবার আমাদের অধিকাংশ মানুষ অসচেতন ও দরিদ্র। এও করোনা ছড়ানোর জন্য খুবই ইতিবাচক ব্যাপার। যাক শেষপর্যন্ত দেখলাম এত নিয়মকানুন মেনেও ফলাফল শূন্য। যার আসার, তা এলোই, ঠেকানো গেল না। আমার জ্বর, সর্দি, কাশি কোন উপসর্গই ছিলনা শরীরে। তবে কোথায় জানি একটা অস্বত্তিকর অনুভ'তি ছিল। যা খুব মনোযোগ দিয়ে বোঝার চেষ্টা করলে, তবেই বোঝা যাচ্ছে। শরীর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, ক্রমেই যখন তখন ঘুমিয়ে পড়ছি। কাজ করার শক্তি পাচ্ছিলাম না। পেটটা আপসেট হয়ে যাচ্ছিল। এবং শেষপর্যন্ত রুচি চলে গেল। মানুষের পক্ষে এত সুক্ষ পরিবর্তন ধরা খুব মুশকিল।

অক্সিজেনের অভাব খুবই মারাত্মক :
পরে বুঝলাম আমার অক্সিজেনের অভাব হচ্ছিল বলেই এত এত অসুবিধা হচ্ছিল। তবে হ্যা, এতকিছু বোঝার জন্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নূন্যতম জ্ঞান দরকার আছে, ভাল ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ দরকার আছে, বিভিন্ন কভিড হাসপাতাল সংক্রান্ত তথ্য, খরচ এবং হাসপাতালে অক্সিজেন সাপোর্ট জানাটাও জরুরি। একটা বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে, করোনা উপসর্গহীন হলেই বিপদ বেশি। কোন উপসর্গ ঝামেলা না করলে আমরা সিরিয়াসলি নেই না বিষয়টা এবং
হাসপাতালের দ্বারস্থও হইনা। বিপদটা সেখানেই বেশি।

আমার ক্ষেত্রে যেমনটি হয়েছিল। আমার চাকুরিজীবি মেয়েটি যদি সেই রাতেই কক্সবাজার থেকে এসে আমাকে জোরজবরদস্তি করে হাসপাতালে ভর্তি না করাতো, তাহলেই হয়তো আমার ফিরে আসাটা আরো অনেক কঠিন হয়ে যেতো। হয়তোবা ফিরতেই পারতাম না। রাতে কোন হাসপাতালেই অক্সিজেনওয়ালা সীট পাওয়া যাচ্ছিল না। যাক মানুষের প্রার্থনা, ডাক্তারের হাতযশ ও আল্লাহর রহমতে
আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছি।

মাথায় রাখতে হবে হাসপাতালের খরচ:
আর হ্যা হাসপাতাল বাছাই করার ক্ষেত্রে আমাদের টাকা পয়সার ব্যাপারটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। আবেগ- অনুভূতি, ভাল ট্রিটমেন্টের পাশাপাশি খরচ একটা বড় ব্যাপার। কারণ একজন করোনা রোগীকে ঠিক কতদিন হাসপাতালে থাকতে হবে, এটা বলা কঠিন। এতে খরচের পারদ ওঠানামা করবেই। যাদের হাতে টাকা আছে, তারা ৮/১০/১২ লাখ টাকা যোগাড় করতেই পারবেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ, মধ্যবিত্ত তাদের পক্ষেও করোনা ট্রিটমেন্ট অনেকটাই ব্যয়বহুল। হাসপাতালে যারাই ভর্তি হয়েছেন ২/৩ লাখ খরচ হয়েছেই এবং হবেও। কারণ ওষুধ ও অক্সিজেন
ব্যয়বহুল।

যাক আমি অন্য চিকিৎসকদের পরামর্শে ডাক্তার রাশেদুল হাসান কনকের আন্ডারে গ্রীণলাইফ হাসপাতালে ভর্তি হলাম। ছোটবোন ডাক্তার তানজিনা হোসেনের এবং আমার স্ট্রোকের পরামর্শক ডা. শরীফ উদ্দীনের খানের পরামর্শ মতোই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার মেডিকেল রেকর্ড খুব সহজ আর স্বাভাবিক ছিলনা। আমি সাইনাস থ্রোমবোসিসের পেশেন্ট। ৬ বছর আগে ১০ দিন কোমায় ছিলাম। মৃত্যুপুরী থেকে ফিরে আসা মানুষ বলেই সবাই ছিল খুব উদ্বিগ্ন।

মানুষ অনেকটাই পজিটিভ এখন:
করোনা যাত্রা শুরু হলো। আমার একমাত্র সন্তান যেভাবে আমাকে আগলে রেখে, ছোটাছুটি করে, ছোঁয়াচে রোগের ভয়কে উপেক্ষা করে পাশে দাঁড়িয়েছিল তাতে আমার মা জীবন সার্থক। সবসময় মনে ভয় ছিল, কে দাঁড়াবে পাশে?

করোনার শুরু থেকেই দেখেছি বাবা মা এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াতে অনেকেই ভয় পাচ্ছেন। ব্যাপক সামাজিক ট্রমা, অজ্ঞতা, স্টিগমা, অসচেতনতা ও ভয় থেকে করোনা রোগীকে একঘরে করে ফেলেছিল বিশ্বব্যাপী। সেখানেতো বাংলাদেশের অবস্থা আরো সঙ্গীন। কতবার এইসব বিষয়ের উপরে খবর পড়েছি, নিজে লিখেছি, কাজের প্রয়োজনে প্রচারণা চালিয়েছি। সেখানে এবার আমি নিজেই
আক্রান্ত। বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে কী হবে? আমিতো চাইতে পারিনা আমার স্বজনরা, বন্ধুরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে পাশে এসে দাঁড়াক। কিন্ত না সব কল্পনা মিথ্যা প্রমাণ করে দেখলাম আমার একমাত্র সন্তান, পরিবার আর আমার ভাইরা পাশে দাঁড়ানো।

যদিও এই করোনাকে মানুষ বাঘের মতো ভয় পাচ্ছিল বলেই শুনে আসছিলাম। সে ধারণাও অনেকটাই বদলে গেল। বুঝলাম সময়ের আবর্তে শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ নিজেদের অনেকটাই বদলে ফেলে পজিটিভ হয়েছেন।

প্রথমেই ডাক্তারের কাছে যান:
সকালে হাসপাতালের তরুণ চিকিৎসক ডা. কনক এসে শুধু বললেন আপনার মনে সাহস আছে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার? বললাম আছে। আমিও জানতে চাইলাম আপনি আমার সব ইতিহাস জানার পরও কি সাহস পাচ্ছেন? বললেন, আসেন চিকিৎসা শুরু করি, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। আমার লাং বা শ্বাসযন্ত্র ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। ডাক্তার দুইধরণের ইনজেকশন দিয়ে সেটা নিয়ন্ত্রণ করে ট্রিটমেন্ট শুরু করলেন। আমি লক্ষ্য করলাম ডাক্তাররা বিভিন্ন হাসপাতালে মোটামুটি একটা ট্রিটমেন্ট পলিসি মেইটনেইট করছেন। চিকিৎসা ব্যবস্থাও প্রায় একইরকম।

তবে বেশি অসুস্থ রোগীর জন্য আরো অনেক ফ্যাসিলিটির ব্যবস্থা আছে। ডাক্তাররা বললেন, রোগী যদি দ্রুত চিকিৎসকের কাছে আসেন, তাহলে আমরাও ভাল হ্যান্ডেল করতে পারি।

করোনা নিয়ে কালক্ষেপণ না করে, নানান জায়গায় অযথা দৌঁড়াদৌড়ি না করে সরাসরি ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিৎ। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ মতো হাসপাতাল বা বাসায় থাকা যায়। তবে যার অক্সিজেনের অভাব, তাকে অবশ্যই হাসপাতালে আসতেই হবে। আর আমাদের মনেরাখতে হবে অক্সিজেন বেশ ব্যয়বহুল।

করোনা চিকিৎসা নি:সন্দেহে ব্যয়বহুল। ওষুধের অনেক দাম। হাইপ্রেটিন ডায়েট ও ফলমূল খাওয়ায় অনেক টাকার ব্যাপার। প্রায় ২/৩ সপ্তাহ বিশ্রাম এবং বিশ্রাম। আমি জানিনা মধ্যবিত্ত, দরিদ্র মানুষ কীভাবে এই ব্যয়ভার টানবে? কোন কোন অফিসে বা কাজের জায়গায় মানুষ ছুটি পাবে এবং চিকিৎসা খরচ পাবে?

বাবা মায়ের পাশে সন্তান:
সবচেয়ে ইতিবাচক যে বিষয়টি আমাকে নাড়া দিয়ে গিয়েছে, তা হচ্ছে মানুষ অসুস্থ বাবা-মায়ের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন। করোনা করোনা করে হাসপাতালের বিছানায় বাবা মাকে ফেলে রেখে পালিয়ে থাকছেন না। দেখলাম নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন, আদর করে বৃদ্ধ বাবা মাকে খাইয়ে দিচ্ছেন। এইটাই একজন অসুস্থ মানুষকে সবচেয়ে বেশি শক্তি ও সাহস দেয়। বৃদ্ধ বাবা মা বুঝতে পারছেন, তারা একা নন। সময় করে সন্তান তাদের পাশে এসে দাঁড়াবেন। হাসপাতালের ডাক্তার, আয়া, সিস্টারদের মধ্যেও আচরণগত অনেক পরিবর্তন এসেছে। ওনারা নিজেরাই বললেন, আর কত ভয় পাবো? কত নিয়মকানুন মানবো? হলোতো একবছর। আর পারছিনা এত মেইনটেইন করতে। তাই তারাও রোগীর পাশে বন্ধুর মতো আছেন।

মৃতের সংখ্যা বাড়ছে কেন:
সরকারি হিসাবে করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। গত একমাসেরও বেশি সময় ধরে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে হাসপাতালে মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যাই বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন মৃদু সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে কেউ ভর্তি হচ্ছে না। হাসপাতালে সেসব রোগীরা আসছেন যাদের সংক্রমণ-লক্ষণ তীব্র। যখন একেবারেই ভর্তি না হলে হচ্ছে না, তখন মানুষ ভর্তি হচ্ছেন। ততদিনে সংক্রমণ তীব্র হচ্ছে আর কোভিডে তীব্র সংক্রমণ থাকলেই মৃত্যুহার বেশি হবে।
বিশেষজ্ঞরা এখন বারবার বলছেন, করোনাতে কেন এবং ঠিক কোন পরিস্থিতিতে মৃত্যু হচ্ছে তার পর্যালোচনা দরকার, তাতে অন্তত কিছু মৃত্যু কমানো সম্ভব হতো বা হবে। আর অন্যান্য জটিল রোগের আক্রান্তদের ভেতরে সবচেয়ে বেশি ছিল উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস। আর আছে হৃদরোগ ও অ্যাজমা। শ্বাসকষ্ট নিয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী আসেন হাসপাতালে, তারপর জ্বর-কাশি, ডায়রিয়া নিয়ে রোগীরা
এসেছেন।

পত্রিকায় দেখলাম বেশিরভাগ রোগী মারা গিয়েছেন শূন্য দিন অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দুই দিনের ভেতরে। অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার ভেতরেই বেশিরভাগ রোগী মারা গেছেন।

চিকিৎসকরা দ্রুত হাসপাতালে যেতে বলছেন:
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমান বলেন এখন মৃদু সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে কেউ ভর্তি হচ্ছে না। হাসপাতালে রোগীরা আসছেই যাদের সংক্রমণ-লক্ষণ তীব্র। আর কোভিড তীব্র সংক্রমণ থাকলেই মৃত্যুহার বেশি। কারণ মানুষ এখন আর বাধ্য না হলে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে না। এজন্য যারা মারা যাচ্ছেন, তারা হাসপাতালেই মারা
যাচ্ছেন।

একইসঙ্গে বৃদ্ধ এবং অন্যান্য রোগে যারা আগে থেকে আক্রান্ত, করোনাতেও তাদের মৃত্যুহার বেশি। আর শীতের দিনে হাঁপানি, ধুলার জন্য অ্যালার্জিসহ নানা সমস্যা বেড়ে যায়। একইসঙ্গে করোনাতে আক্রান্ত হলে তাতে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাতে করে লক্ষণ খুবই তীব্র হয়ে যায়। বাড়িতে থেকে যারা চিকিৎসা নেন তাদের লক্ষণ-উপসর্গ অতিরিক্ত হয় না বা অতিরিক্ত হবার মতো অবস্থাও রোগীরা বুঝতেই পারে না।

যার কারণে ডাক্তাররা এখন করোনা ম্যানেজমেন্ট করার ক্ষেত্রে রিকমেন্ড করছেন যে বাড়িতে রোগীদের ম্যানেজমেন্টের একটা গাইডলাইন থাকা দরকার। তিন থেকে
চার দিনের মতো জ্বর থাকছেই, জ্বরের সঙ্গে কাশি নাও থাকতে পারে, কিন্তু শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হলে আর অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্তদের ডায়াবেটিস, অ্যাজমা, হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে গেলে বা এই তিনটি লক্ষণের
যেকোনও একটি দেখা দিলেই বাড়িতে থাকা উচিত না। রোগী হাসপাতালে আসছে একেবারে শেষ সময়ে কিন্তু সেসময় আর তাকে ফেরানোর পথ থাকে না। কিন্তু
শুরুতে যদি হাসপাতালে আসতো তাহলে রোগীদের কাউকে কাউকে হয়তো বাঁচানো যেত বলে চিকিৎসকরা এখনো মনেকরেন। চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, নিজের মাঝে শক্তি ধরেন, তবেই করোনা জয় করা সম্ভব হবে।

যা যা হতে পারে:
করোনাকে হাতে পায়ে ধরে বিদায় করতে পারলেও কিছু সমস্যা আমাদের রয়েই যাবে বেশ অনেকদিন। এরমধ্যে থাকবে চরম দুর্বলতা, মনোযোগের অভাব, ভুলে যাওয়া, মাথা ভার হয়ে থাকা, এলোমেলো ঘুম, কিছুক্ষণ পর পর খিদে লাগা, ক্লান্ত লাগা, হাঁটার শক্তি কমে আসা, যখন- তখন শীত শীত লাগা বা হঠাৎ গরমও লাগা, বিরক্তবোধ করা এবং যা করবো ভাবছি, তা না করে অন্যকাজে হাত
দেয়া এবং মানসিক শক্তি কমে আসা।

করোনা ফান্ড তৈরি করে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ একজন রোগী হিসেবে আমি বারবার বলছি করোনা হলে দরিদ্র মানুষের পক্ষে বাঁচা প্রায় অসম্ভব। চিকিৎসা খরচ বহণ করা আরো কঠিন। খুব ব্যয়বহুল এই খরচ মেটানোর জন্য সরকার কি পারবেন সেইসব অসহায় মানুষগুলোকে কোন সহযোগিতা করতে? কত টাকাইতো সরকারের হাত গলে বের হচ্ছে, কত টাকা নয়-ছয় হচ্ছে। এমন কিছু ব্যবস্থা নিক সরকার যেন কিছু মানুষের কাজে লাগে। কালো টাকা সাদা করার একটা ভাল উপায় হতে পারে এই করোনা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান। আর ভ্যাকসিন এলে সেই ব্যবস্থা
নিয়ে না হয় পরে ভাবা যাবে।

  • লেখক: সিনিয়র কোঅর্ডিনেটর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন
     

Related Topics

টপ নিউজ

শাহানা হুদা রঞ্জনা

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • চাটগাঁইয়াদের চোখে ‘ভইঙ্গা’ কারা? কেনই-বা এই নাম?
  • শেখ পরিবারের একচ্ছত্র শাসন থেকে দুই ভাইয়ের মনোনয়ন লড়াই: বাগেরহাটের রাজনীতিতে পরিবর্তনের হাওয়া
  • ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের মধ্যেই নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ইঙ্গিত দিলেন মাস্ক, জানালেন সম্ভাব্য নামও
  • ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ: ট্রাম্প
  • পরিচ্ছন্নতার রোল মডেল জাপান, তবে ট্র্যাশ ক্যানগুলো কোথায়?
  • গাজায় ইসরায়েল-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতা ইয়াসির আবু শাবাব কে?

Related News

  • জনগণ কি খেলার ‘দুধ-ভাত’?
  • এই স্থবির নগরীতে ভিআইপিরাই চলবেন, বাকি সবে ‘ফুক্কা’
  • ‘এখন সবচেয়ে গতিশীল বস্তু হচ্ছে ৫০০ টাকার নোট, ভাঙানোর সঙ্গে সঙ্গেই নাই’
  • যৌন হয়রানির হাত থেকে কি নারী পুলিশও নিরাপদ নন?
  • বাবা-মায়ের ভাঙন শিশুকে সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ করে তোলে

Most Read

1
ফিচার

চাটগাঁইয়াদের চোখে ‘ভইঙ্গা’ কারা? কেনই-বা এই নাম?

2
বাংলাদেশ

শেখ পরিবারের একচ্ছত্র শাসন থেকে দুই ভাইয়ের মনোনয়ন লড়াই: বাগেরহাটের রাজনীতিতে পরিবর্তনের হাওয়া

3
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের মধ্যেই নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ইঙ্গিত দিলেন মাস্ক, জানালেন সম্ভাব্য নামও

4
আন্তর্জাতিক

ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ: ট্রাম্প

5
আন্তর্জাতিক

পরিচ্ছন্নতার রোল মডেল জাপান, তবে ট্র্যাশ ক্যানগুলো কোথায়?

6
আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েল-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতা ইয়াসির আবু শাবাব কে?

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net