৩০০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নয় নির্বাচন কমিশন: সিইসি

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ৩০০ আসনের সবগুলোতে আগামী জাতীয় নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত নয় নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আজ এ মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার (১০ মে) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিইসি বলেন, 'ইভিএম ব্যবহার করে সব আসনে নির্বাচন করার মতো সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই।'
এর আগে গতকাল সোমবার (৯ মে) নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জন করতে পারলে আগামী নির্বাচনে ১০০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যেতে পারে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএমে হবে।
২০১০ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সময় দেশে প্রথম ইভিএম ব্যবহার করা হয়। তবে, ইভিএম পদ্ধতি কিছুটা বিতর্কের জন্ম দেয়; বিরোধী দলগুলো ভোটে কারচুপির জন্য সরকারকে অভিযুক্ত করে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের বলেছেন, নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে তা নির্ধারণের দায়িত্ব মূলত নির্বাচন কমিশনের।
অন্যদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মতে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইভিএমে কারসাজির মাধ্যমে ভোটের ফলাফল ম্যানিপুলেট তথা ভোট কারচুপির চেষ্টা চালাবে।
ইভিএমে সংসদ নির্বাচনকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নতুন 'ফন্দি' বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে নির্বাচনের সরকারি পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, নানাবিধ ত্রুটির কারণে অনেক দেশ ইতিমধ্যে এই ব্যবস্থা থেকে সরে এসেছে।
তার দাবি, সুষ্ঠু, বিশ্বস্ত ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট পেপার ব্যবহার করতে হবে।