উপাচার্য পতদত্যাগ না করলে অনশনে বসবেন শাবিপ্রবির ‘সব শিক্ষার্থী’

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে সাত দিন ধরে অনশন করেছেন ২৩ শিক্ষার্থী। গত রোববার থেকে তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন আরও ৫ জন। দাবি আদায়ের জন্য প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা অনশন শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম মুখপাত্র মোহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, 'আমরা সম্পূর্ণ অহিংস প্রন্থায় আন্দোলন করছি। অহিংস আন্দোলনের সর্বোচ্চ ধাপ হচ্ছে অনশন। আমরা আজ সাত দিন ধরে অনশন করছি। এতে অনেকের জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।'
রাজ বলেন, 'তবু উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ পদত্যাগ করছেন না। তার কাছে আমাদের জীবনের চাইতে চেয়ারের মূল্য বেশি। এই অযোগ্য উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী অনশনে বসব। তবু আমরা আমাদের দাবি আদায় করে ছাড়ব।'
এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নাঈম আহমদ অভিযোগ করেছেন, অনশনকারীদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি মেডিকেল টিম চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে এলেও সোমবার থেকে তারা চলে গেছেন।
তার দাবি, চিকিৎসা সহায়তার অভাবে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনশনকারিরা।
অনশনকারী ২৮ জনের মধ্যে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিতসাধীন আছেন ১৮ জন আর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশনে আছেন ১০ জন।
আগের সন্ধ্যায় উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হলেও সোমবার মধ্যরাতে তা আবার চালু করে দেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, শাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের শুরু ১৩ জানুয়ারি। রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। ১৬ জানুয়ারি বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে উপাচার্যকে মুক্ত করে পুলিশ। এরপর পুলিশ ৩০০ জনকে আসামি করে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে ওই রাত থেকেই উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তার পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামেন। আর গত বুধবার থেকে অনশন শুরু করেন ২৪ শিক্ষার্থী।