দেড় ঘণ্টা পর রেলপথ অবরোধ প্রত্যাহার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের

দেড় ঘণ্টা পর রেলপথ অবরোধ প্রত্যাহার করলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বেলা ১টার দিকে তিন দফা দাবি আদায়ের ঘোষণা দিয়ে তারা রেলপথ অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
আগামীকাল ইফতারের পর একই দাবিতে ফের তারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে ডিসেন্ট্রালাইজড বা বিকেন্দ্রিত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীকতার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন বাজার এলাকায় রেললাইন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে সারাদেশের সঙ্গে রাজশাহীর রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিন্টেন্ডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) শহিদুল আলম বলেন, "শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধের কারণে সারাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি হরিয়ান স্টেশনে আটকা পড়ে আছে। এছাড়া, খুলনা ও গোপালগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ও টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস অন্য স্টেশনে আটকা পড়েছে।"
এদিকে, নিজেদের দাবি উপস্থাপন করে দেড় ঘণ্টা পর বেলা ১টার দিকে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পক্ষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রাবি শিক্ষার্থী মেহেদী সজীব দাবিগুলো তুলে ধরেন-
১/ রাবি, চবি,জাবি,জবি, ৭ কলেজ, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসাসহ বাংলাদেশের সকল স্টেকদের যোগ্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কারে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
২/ সংস্কার কমিশন, পিএসসি, ইউজিসি-সহ রাষ্ট্রীয় সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলো পুর্নগঠন করে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
৩/ ডিসেন্ট্রালাইজড বাংলাদেশ গঠনে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।
ডিসেন্ট্রালাইজড বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সকল স্টেককের (অংশী) জন্য তাদের পূর্ণ অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এ দাবিসমূহ তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, "আমরা ঢাকা কেন্দ্রিকতার বাইরে সারাদেশ থেকে নিয়োগের সমতা চাই। এই বাংলাদেশকে ঢাকা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীকতা থেকে মুক্তি দিতে হবে।"
তিনি বলেন, "ইউজিসি থেকে শুরু করে উপদেষ্টা নিয়োগে সব জায়গায় ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিপত্য। আমরা এ আধিপত্য মানিনা। আমরা পিএসসি থেকে শুরু করে ইউজিসি পর্যন্ত সবকিছুর পুর্নগঠন চাই।"
রেলপথ অবরোধ চলাকালীন শিক্ষার্থীদের 'ঢাকা না রংপুর, রংপুর, রংপুর'; 'ঢাকা না কুমিল্লা, কুমিল্লা, কুমিল্লা', 'ঢাকা না রাজশাহী, রাজশাহী, রাজশাহী'; 'ঢাবি না রাবি, রাবি, রাবি' ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দিবাগত রাতে একই দাবিতে রাবি ক্যাম্পাসের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।