উত্তরখান এলাকায় এ বর্ষায় কোনো সংস্থা রাস্তা খোঁড়ার অনুমতি পাবে না: ঢাকা উত্তরের প্রশাসক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি) নতুনভাবে সংযুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের অন্তর্গত উত্তরখানের কোনো সড়ক এই বর্ষায় খোঁড়ার অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তরের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
তিনি জানান, এই এলাকার প্রধান সড়কের কার্পেটিং ঈদের আগেই শেষ হবে।
রোববার (২ মার্চ) রাজধানীর উত্তরখানে চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা উত্তরের প্রশাসক বলেন, 'ঈদের আগে, রমজান মাসের মধ্যেই উত্তরখানের প্রধান সড়কের কার্পেটিং শেষ হবে। কাজের গতি বাড়ানো হয়েছে। কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। রমজান মাসের মধ্যেই উত্তরখান থেকে আজমপুর পর্যন্ত পুরো সড়কটির কাজ শেষ হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'ওয়াসা ও ডেসকো পানির ও বিদ্যুতের কাজের জন্য রাস্তা কাটার অনুমতি চেয়ে ঢাকা উত্তরের কাছে আবেদন করেছে। আজকের (রোববার) সমন্বয় সভায় আমরা সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই বর্ষায় নতুনভাবে সম্পন্ন করা রাস্তা কাটতে দেওয়া হবে না।'
বর্ষায় যেন জনগণের ভোগান্তি না হয়, সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'বর্ষা শেষে একটি নির্দিষ্ট সময়ে তাদের কাজের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে।'
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। জলাধার ভরাট করে বাড়িগুলো করা হয়েছে। প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা নেই।
'তাই এলাকার উন্নয়নে দুটি প্রধান চ্যালেঞ্জ রয়েছে—একটি হলো ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক, প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ ও খালগুলো উদ্ধার করা। দ্বিতীয় বড় চ্যালেঞ্জ হলো ড্যাপ-এ [বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা] এই জায়গায় যে নাগরিক সুবিধাদি রাখা হয়েছে, যেমন মাঠ, পার্ক, হাসপাতাল, সেগুলোর ব্যবস্থা করা।'
তিনি বলেন, 'নতুন এলাকায় যেভাবে মাঠ ও খাল দখল হচ্ছে, তা বন্ধে রাজউক, ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যৌথভাবে আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করব।'
আগামী সপ্তাহে, ৯ মার্চ, ভাটারা সূতিভোলা খাল দখলমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। 'আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরদিনই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাঁচকুড়ায় দেড় একর উদ্ধার করেছি, যেখানে মাঠ ও কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হবে।'
ঢাকা উত্তরের প্রশাসক, ঢাকা উত্তর সিটির প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের সদস্যরা আজমপুর রেলগেট থেকে উত্তরখানের রাস্তা ও ড্রেনেজের চলমান নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শুরু করেন।
পরিদর্শন শেষে উত্তরখান আমবাগানে প্রকল্প আর্মি ক্যাম্পে ডিএনসিসি প্রশাসকের সভাপতিত্বে দক্ষিণখান-উত্তরখান এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম বিষয়ে ডিএনসিসি, ডেসকো, ওয়াসা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের সদস্যদের মধ্যে একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।