তিস্তাপাড়ের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে হবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, তিস্তা পাড়ের মানুষের মতামত নিয়ে তার ভিত্তিতে মহাপরিকল্পনায় কী থাকবে– সেটি নির্ধারণ করতে হবে।
তিনি জানান, তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের সময় ২ বছর বাড়ানো হয়েছে। মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান— পাওয়ার চায়না ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারকে মহাপরিকল্পনা দেবে। তবে চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে একটা প্রতিবেদন দেবে সরকারের কাছে।
আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক সম্মেলনে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, "জনসম্মুখে তথ্য দেওয়া হয় না বলে মহাপরিকল্পনার ব্যাপারে কতগুলো ভ্রান্ত ধারণার ভিত্তি তৈরি হয়। মহাপরিকল্পনাইতো নেই, বাস্তবায়ন হবে কোত্থেকে। পরিকল্পনাতো করতে হবে।"
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, "চায়নিজ একটি গ্রুপ পরিকল্পনা জমা দিয়েছিল। যেটা ফিজিবল না, টেকসই না। তাদের সাথে (পাওয়ার চায়না) আলাপ-আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে, সেই পরিকল্পনা নতুন করে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।"
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ২০১৬ সালে যে এগ্রিমেন্ট হয়েছিল তাতে মহাপরিকল্পনা অনেক আগেই দেওয়ার কথা ছিল। এখন আরও ২ বছরের জন্য পরিকল্পনা দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে। ২০২৬ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।আমরা বললাম, এই পরিকল্পনায় কী থাকবে, কী থাকবে না—- সেটা তিস্তা এলাকার মানুষের মতামত শুনে তারপর করতে হবে। মতামত শোনার প্রক্রিয়া করবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পিডব্লিউডিবি, এবং প্রতিটি গণশুনানিতে উপস্থিত থাকবে পাওয়ার চায়না।
"তারা (পাওয়ার চায়না) যখন মহাপরিকল্পনা রিভাইজ করে দেবে, তাতে যেন জনমতের প্রতিফলন ঘটে। দুই বছর সময় দিয়েছি, তারা পরিকল্পনা করে দেবে। এরপর পরিকল্পনা কমিশন অনুমোদন করবে, তারপর পাওয়ার চায়না সরকারের কাছে যাবে"- যোগ করেন তিনি।