ভোজ্যতেল সংকট: সিদ্ধান্ত ছাড়াই মিল মালিকদের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষ

বাজারে ভোজ্যতেলের চলমান সংকট নিরসনে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের সঙ্গে ভোজ্যতেল মিল মালিকদের বৈঠক শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আগামীকাল ফের বৈঠকে বসবেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
কয়েকদিন ধরে রাজধানীসহ সারাদেশে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। অনেক দোকানেই সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। এতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস) বলেন, 'বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট হওয়ার কারণ সম্পর্কে মিলগুলোর কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান উপদেষ্টা। তারা দাবি করেন, মিলগুলো স্বাভাবিকভাবে ভোজ্যতেল সরবরাহ করছে। তাই বাজারে তেলের সংকট হওয়ার পেছনে তাদের কোনো দায় নেই।'
এক প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা জানান, 'মিল মালিকরা অফিসিয়ালি ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো প্রস্তাব দেয়নি। তবে তারা বলেছেন যে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম অনেক বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের বাজারে দাম নির্ধারণের দাবি করেছেন তারা।'
ওই কর্মকর্তা জানান, 'রবিবারের মিটিংয়ে দাম বাড়ানো কিংবা অন্য কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবার সকালে মিল মালিকদের সঙ্গে সভা করবে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের কর্মকর্তারা।'
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে সরকারকে চাপ দিতে থাকেন মিল মালিকরা। উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে দাম বাড়ানোর বদলে শুল্ক ছাড় দেয় সরকার।
গত অক্টোবরে সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে দুই দফায় শুল্ক–কর কমানো হয়েছে। প্রথম দফায় ১৭ অক্টোবর ও দ্বিতীয় দফায় ১৯ নভেম্বর শুল্ক–কর কমিয়ে তা নামিয়ে আনা হয়েছে ৫ শতাংশে। তাতে প্রতি কেজি অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলে শুল্ক–কর ১৭-১৮ টাকা থেকে কমে ৭ টাকায় নেমে এসেছে, অর্থাৎ প্রতি কেজিতে শুল্ক–কর কমেছে ১০-১১ টাকা।