আটাবে ৪১ লাখ টাকার অনিয়মের অভিযোগ, সাবেক নেতৃত্বের কাছে ব্যাখ্যা তলব
বাংলাদেশের ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর সংগঠন এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)– এর আর্থিক লেনদেনে বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি, মহাসচিব ও অর্থসচিবের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত আটাবের প্রশাসক মোতাকাব্বীর আহমেদ (উপসচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়)।
বুধবার (২২ অক্টোবর) জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে আটাবের প্রশাসক সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ (এয়ার স্পিড প্রা. লি.), সাবেক মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ (সায়মন ওভারসীজ লি.) এবং সাবেক অর্থসচিব শফিক উল্লাহ নান্টু (নোভা ট্রাভেলস)-এর কাছে অনিয়মের বিষয়ে দ্রুত ব্যাখ্যা ও সমাধান প্রদানের অনুরোধ জানান। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আটাবের সাবেক নেতৃবৃন্দ।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আটাবে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। অফিস বন্ধ থাকার কারণে ১২ আগস্ট মোতাকাব্বীর আহমেদ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি আটাবের আর্থিক লেনদেনে একাধিক অনিয়মের বিষয় লক্ষ্ করেন। এসব নিয়ে সাবেক কমিটির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৬ জুলাই থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত আটাবের ৯১ জন সদস্যের কাছ থেকে ফেম ট্রিপ (পরিচিতিকরণ ভ্রমণ) বাবদ ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ২৫০ টাকা আদায় করা হয়।
গত ১৬ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রথম ফেম ট্রিপের টাকা গ্রহণের পূর্বে আটাবের হিসাবে ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬৬ টাকা ছিল। কিন্তু প্রশাসক দায়িত্ব নেওয়ার সময় আটাবের হিসাবে মাত্র ৩৪ লাখ ৫ হাজার ৭৯৬ টাকা পাওয়া যায়।
প্রশাসক দায়িত্ব নেওয়ার সাত দিন পর ফেম ট্রিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে টাকা ফেরতের আবেদন আসে। ফলে অংশগ্রহণকারীদের প্রাপ্য ৪১ লাখ ৯২ হাজার ৮৫০ টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
অভিযোগের বিষয়ে আটাবের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস) বলেন, 'যিনি এ চিঠিটি ইস্যু করেছেন তিনি গতকাল থেকে আর প্রশাসক নন। আটাবে নতুন প্রশাসক নিয়োগ হয়েছে। দায়িত্বের শেষ দিন তিনি একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে আমাদেরকে বিতর্কিত করার জন্য চিঠিটি ইস্যু করেছেন।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা যেসব খরচ করেছি তার প্রতিটির ভাউচার আটাবে জমা আছে। তিনি আমাদের একবার ডেকেছিলেন, আমরা সেখানে গিয়ে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এ বিষয়গুলো তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেননি।'
আরেফ অভিযোগ করে বলেন, 'মূলত সামনে আটাবের নির্বাচন হবে। একটি সিন্ডিকেট আছে যারা চায় না আমরা নির্বাচনে ভালো করি, তারাই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এসব করাচ্ছে।'
