Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Tuesday
August 26, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
TUESDAY, AUGUST 26, 2025
এস আলমের সঙ্গে আর ব্যবসায়ে আগ্রহী নয় ব্যাংকগুলো, বন্ধ হয়ে গেছে তেল-চিনি কারখানা

বাংলাদেশ

ওমর ফারুক & শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী
14 November, 2024, 09:00 am
Last modified: 14 November, 2024, 01:00 pm

Related News

  • ৮০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, এস আলমসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
  • এস আলমের ৩০৭ শতক জমি, ২টি  ফ্ল্যাট ও ৪ কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব জব্দ
  • ঋণ খেলাপির মামলা: এস আলমের ৩০৭ শতক জমি, ২ ফ্ল্যাট, ৪ কোটির ব্যাংক হিসাব জব্দ
  • মাত্র ৬ মাসেই ২০০০ কর্মসংস্থান তৈরি করল প্রাণ-আরএফএলের বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল
  • ৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ: নাবিল গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

এস আলমের সঙ্গে আর ব্যবসায়ে আগ্রহী নয় ব্যাংকগুলো, বন্ধ হয়ে গেছে তেল-চিনি কারখানা

অর্থনৈতিক চাপে পড়ে এস আলম গ্রুপ ইতোমধ্যে কয়েকটি কারখানা বন্ধ করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মীকেও ছাঁটাই করা হয়েছে।
ওমর ফারুক & শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী
14 November, 2024, 09:00 am
Last modified: 14 November, 2024, 01:00 pm
অলংকরণ: টিবিএস

বিভিন্ন ব্যাংক কঠোর অবস্থান নেওয়ায় একসময়ের প্রভাবশালী কিন্তু বর্তমানে বিতর্কিত চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপ এখন তাদের কারখানাগুলো সচল রাখতে হিমশিম খাচ্ছে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতের একসময়ের শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব ও এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ অতীতে ৭টি ব্যাংকের ওপর প্রভাব রেখেছিলেন। শেখ হাসিনার দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনকালে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এক লাখ কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে।

এস আলম গ্রুপের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এটি প্রায় দুই ডজন কোম্পানির মালিক, যার মোট সম্পদের মূল্য আনুমানিক দেড় লাখ কোটি টাকা। গ্রুপটি চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অসংখ্য কারখানা পরিচালনা করে।

ব্যাংকিং খাতের এবং এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন সূত্র বলছে, এখন ব্যাংকগুলো এস আলম গ্রুপের সঙ্গে নতুন ব্যবসায় জড়াতে আগ্রহী নয়। আর যেসব ব্যাংক ঋণপত্র (এলসি) খুলতে রাজি হচ্ছে, সেগুলোও গ্রুপটির কুখ্যাতির কারণে শতভাগ মার্জিন দাবি করছে।

গত ৫ আগস্ট হাসিনার সরকার বিদায় নেওয়ার পর থেকে মাসুদ এবং তার ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে গেছেন অথবা দেশত্যাগ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে এস আলম গ্রুপের সমস্যা আরও গভীর হয়েছে।

অর্থনৈতিক চাপে পড়ে এস আলম গ্রুপ ইতোমধ্যে কয়েকটি কারখানা বন্ধ করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মীকেও ছাঁটাই করা হয়েছে। কোম্পানিটি তাদের পূর্বের উৎপাদনশীলতা এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে বর্তমানে হিমশিম খাচ্ছে।

এস আলম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার আশীষ কুমার নাথ জানিয়েছেন, এস আলম ভেজিটেবল অয়েল এবং এস আলম রিফাইন্ড সুগার নামক দুটি কারখানা ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যান্য কারখানাও একই ঝুঁকিতে রয়েছে।

'আমরা এলসি খুলতে না পারায় আমদানি করা কাঁচামালের ওপর নির্ভরশীল কিছু কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি কারখানাগুলোও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে,' বলেন তিনি।

ইসলামী ব্যাংকের অন্যতম গ্রাহক এস আলম গ্রুপ। ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ পেপার ভিত্তিক ফার্মের মাধ্যমে ব্যাংকটির শেয়ার কিনে ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বর্তমানে তারা এস আলম গ্রুপের ঋণপত্র খুলতে শতভাগ মার্জিন চাচ্ছেন।

'কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে কারখানা চালু রাখা অপরিহার্য'

কারখানা বা ব্যবসা বন্ধ হওয়া মানে আরও বেশি বেকারত্ব সৃষ্টি, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে যা বেশ উদ্বেগজনক।

অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম বলেছেন, এস আলম প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নিয়েছে, যার বেশিরভাগ অর্থ হয়তো আর পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে না। তবে তিনি গ্রুপের কারখানাগুলো চালু রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

'কারণ এর সঙ্গে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। এটা কীভাবে করা যায় তা বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে,' তিনি বলেন।

'একটি সমাধান হতে পারে একজন রিসিভার নিয়োগ দিয়ে ব্যবসার কার্যক্রম চালু রাখা, যেমনটা বেক্সিমকো গ্রুপের ক্ষেত্রে করা হয়েছিল। তবে রিসিভার নিয়োগ হলেই প্রতিষ্ঠানগুলো সুস্থ হয়ে যাবে কি না, তা এখনো বলা যাচ্ছে না,' যোগ করেন মইনুল।

এস আলম গ্রুপের এচআর ও অ্যাডমিন ম্যানেজার এম হোসেন রানা জানিয়েছেন, ব্যাংকিং ও বিদ্যুৎ খাত ছাড়াও, গ্রুপের ১২টি আমদানি-নির্ভর কারখানায় প্রায় ৩০,০০০ কর্মী কাজ করছে, যারা আমদানি, উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রমে নিযুক্ত রয়েছে।

ভোজ্যতেল, চিনি কারখানা বন্ধ

গত রোববার কর্ণফুলীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এস আলম রিফাইন্ড সুগার কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে টিবিএস দেখতে পায়, কারখানার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

কারখানার গেটের বিপরীতে থাকা খাবারের দোকানের শামসুল আলম জানালেন, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে কারখানাটি সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

কারখানার এক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বললেন, 'গুদামে অপরিশোধিত চিনি শেষ হয়ে গেছে। তাই কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও মালিকপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি, তবে শুনেছি আমাদের ছাঁটাই করা হতে পারে।'

এস আলম গ্রুপের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, 'বেশ কয়েকটি ব্যাংকে আমাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। ৫ আগস্ট থেকে আমরা অপরিশোধিত চিনি, ভোজ্যতেল কিংবা স্টিলের কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খুলতে পারিনি। কাঁচামালের অভাবে কারখানাগুলো চলছে না।'

গ্রুপটির কাঁচামাল আমদানি বন্ধের প্রমাণ পাওয়া গেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যেও। ঋণপত্র খুলতে না পারায় গত দুই মাসে (সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর) এস আলম গ্রুপ কোনো অপরিশোধিত চিনি আমদানি করতে পারেনি।

জুলাই-আগস্ট মাসে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলে ৬০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি আমদানি করা হয়েছিল। মিলের দুটি ইউনিটের মিলিত দৈনিক পরিশোধন ক্ষমতা আড়াই হাজার মেট্রিক টন।

কাঁচামালের সংকটে এস আলম ভেজিটেবল অয়েল মিলসও বন্ধ হয়ে গেছে। সাধারণত কোম্পানিটি অপরিশোধিত তেল আমদানি করে এবং তা পরিশোধন করে।

স্থানীয় এক চা বিক্রেতা জানালেন, 'এস আলম ভেজিটেবল অয়েল থেকে তেল সরবরাহ করতে আসা ট্রাকের লাইন থাকলেও গত দেড় মাস ধরে কারখানাটি বন্ধ রয়েছে। ট্রাক চালক ও হেলপার না থাকায় আমার চায়ের দোকানেও বিক্রি কমে গেছে।'

এনবিআরের তথ্যে দেখা যায়, এস আলম গ্রুপ জুলাইয়ে ১৮ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করলেও আগস্ট থেকে আর কোনও আমদানি করেনি।

এস আলম রিফাইন্ড এডিবল অয়েল কারখানার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ২০০ মেট্রিক টন।

কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে মইজ্জ্যারটেক এলাকায় এস আলম গ্রুপের এস আলম ব্যাগ, এস আলম স্টিলস মিলস, এস আলম সিমেন্ট ও চেমন ইস্পাত কারখানাগুলো অবস্থিত। রোববার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এসব কারখানা বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।

অধিকাংশ ইস্পাত কারখানা বন্ধ

এস আলম গ্রুপের ইস্পাত ব্যবসায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড এবং ইনফিনিটি সিআর স্ট্রিপস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ ছয়টি কারখানা। এ দুটি কারখানা আমদানি করা হট রোল্ড (এইচআর) কয়েলের পুরুত্ব কমিয়ে কোল্ড রোল্ড (সিআর) কয়েলে রূপান্তরিত করে।

কারখানার এক কর্মকর্তা জানান, ইনফিনিটি সিআর স্টিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানাটি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উৎপাদনে আসে। কিন্তু উৎপাদনের ছয় মাসের মাথায় ২০২৩ সালের মার্চে উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর থেকে প্রায় দেড় বছর ধরে এটি বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, কাঁচামাল ও অ্যাসিডের অভাবে এস আলম সিআরএম-১ নামের একটি স্টিলের সাব-ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে।

সিআরএমের এক কর্মকর্তা বলেন, 'সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রাসায়নিক উপাদানের ঘাটতি শুরু হয়েছিল।  তখন টিকে গ্রুপ থেকে কিছু রাসায়নিক কেনা হলেও অক্টোবর থেকে কারখানাটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।'

গ্রুপের চারটি সাব-ফ্যাক্টরি—এনওএফ, চেমন ইস্পাত, এস আলম স্টিল এবং গ্যালকো—এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস এবং ইনফিনিটি সিআর স্ট্রিপস-এর তৈরি সিআর কয়েল ব্যবহার করে ইস্পাত তৈরি করে।

জিঙ্ক ও অ্যাসিডসহ কাঁচামালের অভাবে এনওএফ-এর উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। একইভাবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এস আলম স্টিল এবং গ্যালকোর (ঢাকার বংশালে অবস্থিত) উৎপাদনও বন্ধ রয়েছে।

বন্ধ ময়দা কলও

এস আলম গ্রুপের তিনটি ময়দা মিলের জন্য তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হলেও বর্তমানে একটি মাত্র মিল চালু রয়েছে। 

চট্টগ্রামের সাগরিকা বিসিক এলাকায় সিলভার ফুড ফ্লাওয়ার মিল এখনো চালু রয়েছে। পটিয়ার জনৈক স্থানীয় মামুনুর রশিদের নামে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে এস আলম।

অন্যদিকে, সীতাকুণ্ডে অবস্থিত আইডিয়াল ফ্লাওয়ার মিলও বন্ধ রয়েছে। ২০২২ সালে অধিগ্রহণের পর থেকে কারখানাটি এখনও উৎপাদন শুরু করতে পারেনি।

শুরু হয়েছে ছাঁটাই

৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলম গ্রুপের কর্ণধারদের অ্যাকাউন্ট জব্দ এবং সম্পত্তি হস্তান্তর নিষিদ্ধ করার জন্য ব্যাংকগুলোকে একাধিক নির্দেশনা দেয়।

ক্রমবর্ধমান আর্থিক চাপের কারণে গ্রুপটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে। এস আলম ব্যাগ কারখানা থেকে প্রায় ৬০ জন কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামের মইজ্জারটেকে কর্মীরা বিক্ষোভ করেছেন।

এছাড়াও গ্রুপের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, ইনফিনিয়া কেমিক্যাল থেকে ৩৫-৪০ জন কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। আগে এস আলম ইস্পাত (সিআরএম) কর্মীদের যাতায়াতের জন্য কারখানার পক্ষ থেকে বাসের ব্যবস্থা ছিল। তবে গত ১৫ দিন ধরে এ পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।

এছাড়া এস আলম স্টিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন দিতে দেরি হওয়ায় গ্রুপের জিএম (স্টিল) মশিউর রহমানকে হেনস্তা করেছেন।

নতুন ব্যাংক হিসাব খুলছে এস আলম

সাইফুল আলম মাসুদ ও তার কোম্পানির ব্যাংক হিসাব জব্দ করার পর এস আলম গ্রুপের বেশ কয়েকটি কোম্পানি নতুন ব্যাংক হিসাব খুলতে শুরু করেছে।

এর মধ্যে ইনফিনিয়া কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেড, ইনফিনিয়া স্পিনিং মিলস লিমিটেড, ইনফিনিয়া কেমিক্যালস লিমিটেড, ইনফিনিয়া সিনথেটিক ফাইবার লিমিটেড, ইনফিনিয়া নিটিং অ্যান্ড ডাইং মিলস লিমিটেড এবং ইউনিভার্স এন্টারপ্রাইজ ডাচ বাংলা ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে।

ডাচ বাংলা ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'সেপ্টেম্বরের শুরুতে ইনফিনিয়ার একজন কর্মকর্তা আমাদের একটি শাখায় অ্যাকাউন্ট খুলতে আসেন। তখন আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখতে পাই—প্রতিষ্ঠানগুলো এস আলম গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। তাই প্রথম দিকে আমরা হিসাব খুলতে রাজি ছিলাম না। পরে শুধু প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের বেতন দেওয়ার সুবিধার্থে হিসাব খুলতে রাজি হই।'

একইভাবে, এস আলম গ্রুপের কয়েকটি কোম্পানি এক্সিম ব্যাংকের একটি শাখায় নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির একজন কর্মকর্তা।

একটি সাম্রাজ্যের পতন

চট্টগ্রামের আসাদগঞ্জে একসময়ে জমজমাট এস আলম ভবনটি এখন অনেকটা সুনসান। অথচ তিন মাস আগেও ভবনটিতে প্রতিনিয়ত মানুষের ভিড় লেগে থাকত।

চট্টগ্রামের সুগন্ধা আবাসিক এলাকায় এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের বাসায়ও এখন কোনো দর্শনার্থী নেই। অতীতে এখানে চাকরিপ্রার্থী, কর্মচারী এবং রাজনীতিবিদদের ভিড় লেগে থাকত।

২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর এস আলম গ্রুপ শেখ হাসিনার তৎকালীন বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান গোলাপের পরিকল্পনায় একুশে টেলিভিশনের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওইদিনই একুশে টেলিভিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিইও আবদুস সালাম বেসরকারি চ্যানেলটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান।

এস আলম গ্রুপ ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ জমি কেনায় বিনিয়োগ করেছিল। ৫ আগস্টের আগে চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার সম্পত্তিতে গ্রুপের নাম সম্বলিত সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছিল। তবে ৫ আগস্টের পর এসব সাইনবোর্ড খুলে ফেলেছে গ্রুপটি।

Related Topics

টপ নিউজ

এস আলম / এস আলম গ্রুপ / কারখানা বন্ধ / কারখানা

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • স্ত্রী গর্ভবতী ও কিডনি জটিলতা জানিয়ে শুনানিতে তৌহিদ আফ্রিদির জামিন চান আইনজীবী
  • নিউইয়র্কে তথ্য উপদেষ্টাকে হেনস্তা আওয়ামী নেতা-কর্মীদের, ডিম নিক্ষেপ
  • প্রতিদিন রাস্তা বন্ধ করে গুলশানের বাসা থেকে যাতায়াত: গাজীপুরের কমিশনারকে শোকজ করা হবে, জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 
  • আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্রের সন্ধান দিলে মিলবে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 
  • মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার নির্বিঘ্নে বাঁচার অধিকার আছে: ফজলুর রহমান
  • প্রথমবারের মতো দেশের ৪ জেলায় পানি সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা

Related News

  • ৮০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, এস আলমসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
  • এস আলমের ৩০৭ শতক জমি, ২টি  ফ্ল্যাট ও ৪ কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব জব্দ
  • ঋণ খেলাপির মামলা: এস আলমের ৩০৭ শতক জমি, ২ ফ্ল্যাট, ৪ কোটির ব্যাংক হিসাব জব্দ
  • মাত্র ৬ মাসেই ২০০০ কর্মসংস্থান তৈরি করল প্রাণ-আরএফএলের বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল
  • ৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ: নাবিল গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

Most Read

1
বাংলাদেশ

স্ত্রী গর্ভবতী ও কিডনি জটিলতা জানিয়ে শুনানিতে তৌহিদ আফ্রিদির জামিন চান আইনজীবী

2
বাংলাদেশ

নিউইয়র্কে তথ্য উপদেষ্টাকে হেনস্তা আওয়ামী নেতা-কর্মীদের, ডিম নিক্ষেপ

3
বাংলাদেশ

প্রতিদিন রাস্তা বন্ধ করে গুলশানের বাসা থেকে যাতায়াত: গাজীপুরের কমিশনারকে শোকজ করা হবে, জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

4
বাংলাদেশ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্রের সন্ধান দিলে মিলবে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

5
বাংলাদেশ

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার নির্বিঘ্নে বাঁচার অধিকার আছে: ফজলুর রহমান

6
বাংলাদেশ

প্রথমবারের মতো দেশের ৪ জেলায় পানি সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net