প্রতিটি মন্ত্রণালয় সংস্কারের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবে: প্রধান উপদেষ্টা

সরকারের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সচিবদের এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ (মার্চিং অর্ডার) দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সচিবসভায় এ নিদের্শ দেন তিনি।
পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনাগুলো জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়নে প্রয়োজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা ও মতামত গ্রহণ করতে হবে। গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা বৈষম্যহীন মানবিক দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, যে ভয়হীন চিত্ত আমাদের উপহার দিয়েছে, তার ওপর দাঁড়িয়ে বিবেক ও ন্যায়বোধে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহি নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য গৎবাঁধা চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে, চিন্তার সংস্কার করে, সৃজনশীল উপায়ে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে
দুর্নীতির নির্মূল করে, সেবা সহজিকরণের মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে বলেও জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারি ক্রয়ে যথার্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সৃষ্টিশীল, নাগরিকবান্ধব মানসিকতা নিয়ে প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচির সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা দাখিল করবে, যা নিয়মিত মূল্যায়ন বা পরিবীক্ষণ করা হবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আগ্রহ ও ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, দেশের স্বার্থে তা সর্বোত্তম উপায়ে কাজে লাগাতে হবে বলেও নির্দেশ দেন নোবেলজয়ী এ অধ্যাপক।