প্রতিটি গুলির বিচার চাইব: সৈয়দা রিজওয়ানা
অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, 'আন্দোলনে গণহত্যার বিচার কীভাবে নিশ্চিত করলে তা স্বচ্ছ হবে এবং কখনোই এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না, সেটি নিশ্চিত করার জন্য কোন পথে আমরা আগাবো, তার উত্তর শীঘ্রই আপনারা পেয়ে যাবেন। আমরা প্রত্যেকটা গুলির বিচার চাইব।'
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া নিয়ে আলোচনার বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, 'এখনও রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ নেই। শিক্ষার্থীরা রাস্তা ম্যানেজমেন্ট করছে। এরকম পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারিনি যে আমরা কালই খুলে দেব। শিক্ষক সমাজের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে এনে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।'
তিনি বলেন, 'সব সেক্টরের রিফর্ম (সংস্কার) নিয়ে আমরা কথা বলি। সিস্টেমটাকে আমাদের বদলাতে হবে। সেই রিফর্মগুলো একা তো আর করা যাবে না। সমাজের সবার সঙ্গে কথা বলা হবে, গণমাধ্যম, পেশাজীবীদের সঙ্গেও কথা বলা হবে। সবার সঙ্গে কথা বলে রিফর্ম এজেন্ডা ঠিক করে তারপরই আমরা এ নিয়ে আলোচনায় যাব।'
তিনি আরো বলেন, 'আর্থিক খাতগুলো কেবল চালু করলেই হবে না, সেগুলোকে সক্রিয় করতে হবে। আর নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে যেখানে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন রয়েছে, অনতিবিলম্বে সেখানে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।'
অর্থ মন্ত্রণালয় যখন তার পরিকল্পনা করবে, তখন জনগণের জীবন-জীবিকা নির্বাহে যে কষ্ট হচ্ছে, সেটি দূর করার বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে বলেও জানান তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের বিষয়ে তিনি বলেন, 'এখন আলোচনা করা বা সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব না। আপনি কী রিফর্ম (সংস্কার) চান, সেটি না বুঝে তো আমি মেয়াদের কথা বলতে পারব না। আর আপনারা যদি সংস্কার না চান, তাহলে আবার আরেক কথা। আমরা সবাই যাতে একটি গণতান্ত্রিক দেশে যাত্রা শুরু করতে পারি, সেটার প্রস্তুতির জন্যই তো এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য যেটুকু সময়ের দরকার, সেটুকু সময়ই আমরা নেব।'
সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে সিস্টেম পরিবর্তন করার জন্য তারা (শিক্ষার্থীরা) আন্দোলন করেছেন। সুতরাং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আজ আমাদের বেশিরভাগ আলোচনা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে।
তিনি আরও বলেন, 'ক্ষমতা একটা গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে পড়লে অসুবিধা হয় না। কিন্তু সরকার অগণতান্ত্রিক হলে তখন আইনের অপ্রয়োগ হয়। তাই সাইবার নিরাপত্তা আইনের যে বিধানগুলো অপ্রয়োগ করা যাচ্ছে, সেগুলো চিহ্নিত করে বাতিল করা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।'
