৭টি নয়, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ‘মূলত ৮টি’ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত: ট্রাম্পের নতুন দাবি
গত মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সংক্ষিপ্ত আকাশযুদ্ধে সাতটি 'নতুন ও সুন্দর' যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়, কিছুদিন আগে এমনটা দাবি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ভূপাতিত বিমানের সংখ্যা নিয়ে নতুন মন্তব্য করেছেন তিনি।
তার দাবি, সেই সময়কার সামরিক সংঘাতে 'মূলত আটটি' বিমান ভূপাতিত হয়েছিল। একই সঙ্গে তিনি দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে তার ভূমিকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত ২২ এপ্রিলের এক হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দশকের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই সামরিক সংঘাত শুরু হয়েছিল। নয়াদিল্লি হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানায়।
সংঘর্ষ চলাকালীন পাকিস্তান সাতটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে তিনটি রাফায়েল, এবং কয়েক ডজন ড্রোন লক্ষ্যবস্তুতে নেওয়ার দাবি করে। প্রায় ৮৭ ঘণ্টার এই সংঘাতের পর, দুই পরমাণু-শক্তিধর দেশের মধ্যে গত ১০ মে মার্কিন মধ্যস্থতায় একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
মিয়ামিতে বুধবার অনুষ্ঠিত আমেরিকা বিজনেস ফোরামে বক্তব্যকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, 'আমি দুই দেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের মাঝখানে ছিলাম। তারপর একটি সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় পড়লাম…তারা যুদ্ধ করছে। সাত বা আটটি বিমান ভূপাতিত হয়েছে।'
'আমি এখানে কোনো সংবাদপত্রের নাম বলব না; এদের বেশিরভাগই মিথ্যা খবর প্রকাশ করে,' তবে তিনি যোগ করেন, 'বাস্তবে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময় মোট আটটি বিমান ভূপাতিত হয়েছে।'
ট্রাম্পের দাবি, ১০ মে তিনি দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আনতে ভূমিকা রাখেন। তার মতে, বাণিজ্য স্থগিতের হুমকিই ছিল শান্তি ফিরিয়ে আনার '৭০ শতাংশ কারণ'।
তার মতে, পাকিস্তান ও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের হুমকি দিলে দুই দেশ শান্তির আহ্বান জানায়। তিনি বলেন, 'তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই যে, আমার কথায় তারা থামল। এরপর আমরা আবার বাণিজ্য শুরু করি। এটি দারুণ নয় কি?'
তিনি আরও বলেন, তার এই নীতিই আজারবাইজান-আর্মেনিয়া, থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া, সার্বিয়া-কসোভো, ইসরায়েল-ইরান, মিসর-ইথিওপিয়া ও রুয়ান্ডা-কঙ্গোর মতো দেশগুলোর সংঘাতও ঠেকাতে সহায়তা করেছে।
তবে ভারত সরকার ট্রাম্পের দাবি অস্বীকার করে বলেছে, ওই যুদ্ধবিরতি তাদের নিজস্ব কূটনৈতিক উদ্যোগের ফল।
মে মাসের যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটন সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা, খনিজ ও বাণিজ্যসহ নানা ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার করেছে। দুই দেশ প্রযুক্তি ও জলবায়ু সহনশীলতা নিয়েও নতুনভাবে কাজ শুরু করেছে, যা দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্বের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
