জেমকন গ্রুপের সিইও কাজী আনিসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ
জেমকন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজী আনিস আহমেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও ব্যাংকের হিসাব অবরুদ্ধ এবং ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত দুদকের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
কাজী আনিস আহমেদের স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ৪৯.৪৩ একর জমি ও গুলশানের একটি প্লট। এসব সম্পত্তির দাম ৭ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৬ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে, ৩৯টি বিও হিসাবের ৮৪ কোটি ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮২৫ টাকা। এছাড়া ২০টি ব্যাংক হিসেবে ২২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
এর আগে৷ দুদকের পক্ষে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আল-আমিন এসব সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন। পরবর্তীতে তিনি তার দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়েও আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, জেমকন গ্রুপের সিইও আসামি কাজী আনিস আহমেদের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৮০ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৯৫ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগ-দখলে রাখেন। তিনি নিজ, যৌথ এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত মোট ২০টি হিসাবে ৪০ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৬৫১ টাকা জমা ও ৩৮ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ৩০৪ টাকা উত্তোলন করেছেন। এটি তার ব্যবসায়ে যে পরিমাণ মূলধন বিনিয়োগ করেছেন, তার তুলনার লেনদেনগুলো অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক মর্মে প্রতীয়মান হয়।
আবেদনে আরও বলা হয়, তিনি যেসব অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন বলে দেখা যায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় দুর্নীতি দমন কমিশনে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এমতাবস্থায় আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশদানে একান্ত প্রয়োজন।
