সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করব, ঘি আমাদের লাগবেই, নো হাংকি-পাংকি: জামায়াত নেতা তাহের
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে 'জুলাই জাতীয় সনদ' বাস্তবায়ন এবং গণভোটের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে স্মারকলিপি দিতে যাওয়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি ইসলামমী দলের মিছিল পুলিশি বাধার মুখে পড়েছে।
আজ (৬ নভেম্বর) দুপুর নাগাদ পুরান পল্টন মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি মৎস্য ভবনের কাছে গেলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয়।
বাধা সত্ত্বেও আট দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা তাদের দাবি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যমুনায় প্রবেশ করতে সক্ষম হন। প্রতিনিধি দলে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ অন্যান্য দলের শীর্ষ নেতারা ছিলেন।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে জামায়াত ও অন্যান্য ইসলামি দলগুলোর নেতাকর্মীরা শাপলা চত্বরের দিকে মিছিল নিয়ে আসেন। পরে তারা পুরানা পল্টনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন।
সমাবেশে জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, 'আমাদের জুলাইয়ের অর্জনকে ব্যর্থ হতে দিবো না । গণভোট অবশ্যই জাতীয় নির্বাচনের আগে হতে হবে।'
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, 'জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের ব্যাপারে আপনারা চালাকি শুরু করেছেন । আপনাদের চালাকি আমরা বুঝি। সময়ক্ষেপণ আপনাদের বিপদে ফেলবে। আমরা এখন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছি। সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে, আমরা আঙুল বাঁকা করবো। ঘি আমাদের লাগবেই। নো হাংকি-পাংকি।'
গণভোটের অর্থ সংকুলানের ব্যপারে তাহের বলেন, 'একদিনে বাংলাদেশে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয় তা দিয়ে একটি গণভোট করা যায়।'
তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপে সরকারকে রেফারির ভূমিকা অবশ্যই নিতে হবে। আমরা আলোচনার জন্য একটি কমিটি ঘোষণা করেছি। আপনারাও কমিটি গঠন করেন। বিএনপিকে দ্রুত আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য আমি অনুরোধ করবো ।'
