চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ-কোটাবিরোধীদের সংঘর্ষ: তিন মামলায় আসামি ৬ হাজার, গ্রেপ্তার ৫১

চট্টগ্রামের মুরাদপুরে গতকাল কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় বুধবার (১৭ জুলাই) তিন মামলায় ৫-৬ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ চাকমা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (টিবিএস)-কে বলেন, 'মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে তিন জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। এসব মামলায় ৫-৬ হাজার অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীকে আসামি করার পাশাপাশি ৫১ জনকে আটক করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'উপ-পরিদর্শক প্রদীপ দেওয়ান বাদি হয়ে বুধবার দুপুরে মামলা তিনটি দায়ের করেছেন। একটি মামলায় ৫-৬ হাজার অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীকে ও অন্য দুই মামলায় ১৫০-২০০ অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীকে আসামি করা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৫১ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরো সন্দেহভাজন আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।'
এর আগে মঙ্গলবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মোট ছয় জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে চট্টগ্রামে আন্দোলনে তিনজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজন আন্দোলনকারী ও একজন পথচারী ছিলেন। তাদের দুজনের বুকে ও পিঠে গুলির চিহ্ন ছিল।
ওইদিন বিকাল সোয়া তিনটা থেকে নগরীর মুরাদপুরে কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের মধ্যে তিন ঘন্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এদিন তিনজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।