অপহৃত এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের জিম্মি নাবিকরা কেবিনে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের নিজ নিজ কেবিনে থাকার সুযোগ দিয়েছে সোমালি জলদস্যুরা। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পৌঁছানোর পর এ সুযোগ করে দেয় তারা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খান জাহাজের মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এমন তথ্য দেন। কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মিজানুল ইসলাম বলেন, ভারত মহাসাগরে জিম্মি করার পর নাবিকদের একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নেওয়ার পর তাদেরকে নিজ নিজ কেবিনে যাওয়ার সুযোগ করে দেয় দস্যুরা।
জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খানের বরাত দিয়ে মিজানুল ইসলাম আরও বলেন, 'জাহাজের সব নাবিক ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। দস্যুরা কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেনি। নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নেওয়ার পর এখন হয়তো আলোচনার পরিবেশ তৈরি হতে পারে।'
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত মুক্তিপণ চেয়ে দস্যুরা যোগাযোগ করেনি। এ ধরনের ঘটনায় সাধারণত দস্যুরা জাহাজমালিকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে বড় অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে। হয়তো দুই-একদিনের মধ্যে এই যোগাযোগ শুরু হবে। শুরুর দিকে বড় অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করলেও পরবর্তীতে পারষ্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে একটি মূল্য চূড়ান্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, 'ইতিমধ্যে জাহাজমালিক আমাদের জানিয়েছেন, জাহাজের নাবিকদের জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে দস্যুদের মুক্তিপণ দিতে তারা রাজি। যেহেতু এর আগেও তাদের একটি জাহাজ জলদস্যুরা জিম্মি করেছিলে, তাই তারা বিষয়টি ভালোভাবে হ্যান্ডেল করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে পিঅ্যান্ডআই (প্রটেকশন অ্যান্ড ইনডেমনিটি ইনস্যুরেন্স) ক্লাবও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্ত হতে পারে।
উল্লেখ্য, মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাইয়ে যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে জলদস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ বাংলাদেশি নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।