বিজয় দিবসে বড় শোডাউন করে ‘শক্তি ও জনসমর্থন’ দেখানোর পরিকল্পনা বিএনপির

নয়াপনল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় দিবসের 'বর্ণাঢ্য' বিজয় র্যালির মাধ্যমে বড় শোডাউন করে নিজেদের 'শক্তি ও জনসমর্থনের' জানান দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বিএনপি।
ঢাকার দুই মহানগর ও এর আশেপাশে কয়েকটি জেলার নেতাকর্মীদের এ র্যালিতে অংশগ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, এই শোভাযাত্রার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে চাচ্ছে দলটি।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'দুপুর ১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামন থেকে বিজয় র্যালি শুরু হয়ে মগবাজার গিয়ে শেষ হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে এ বিজয় র্যালি বের করা হবে।'
বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব নেতাকর্মীকে এ কর্মসূচি সফল করার জন্য উদাত্ত আহ্বানও জানিয়েছেন রিজভী।
শোভাযাত্রা কর্মসূচি পালনে বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে আবেদনও করেছে বিএনপি।
এদিকে জামায়াতের ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরও বিজয় দিবসে ঢাকাসহ সারা দেশে বড় শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীও বিএনপিসহ সব দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে 'ফ্যাসিবাদ বিরোধী সর্বদলীয় জোট' গঠনের আগে ১৬ ডিসেম্বরের র্যালির মধ্য দিয়ে আন্দোলনের সাংগঠনিক শক্তির বার্তা দিতে চাচ্ছে।
আগামী ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বর এ মঞ্চ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসছে বলে জানিয়েছে বিএনপি-জামায়াত সূত্র। মঞ্চটিতে অন্যান্য সরকারবিরোধী দলও থাকবে।
২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ৮০ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার: রিজভী
শুক্রবারের (১৫ ডিসেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপির ৮০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ছাড়াও এ সময়ের মধ্যে বিএনপির ৪৩৬ জন সদস্যের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করা হয়েছে। রিজভী আরও উল্লেখ করেন, এ সময়ে একজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন।
রিজভী বলেন, 'এখন জোড়াতালির ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে পার্শ্ববর্তী একটি দেশের পরিকল্পনায় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি জঙ্গী নাটক মঞ্চস্থ করার চেষ্টা করছে।'
আওয়ামী লীগ পদত্যাগ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিক: মঈন খান
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশে বর্তমানে রাজনীতি বলে কিছু নেই—রয়েছে অপরাজনীতি। তিনি বলেন, এখানে ক্ষমতার নামে চলে দখল ও চাঁদাবাজি আর অর্থ পাচার।
শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে 'মহান বিজয় দিবস, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, 'আওয়ামী দেশকে ভালোবাসলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিক। জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হলে প্রথম আমি অভিনন্দন জানাব।'
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, 'নির্বাচনের পর সরকার পাঁচ দিন টিকবে কি না, কেউ বলতে পারেন? সুতরাং, ২০১৪ সাল আর ২০২৪ সাল কিন্তু এক না। জনগণের শক্তির কাছে কামান বা বুলেট কিছুই টিকে না।'