কিশোরগঞ্জে সংঘর্ষে '২ জন' নিহতের দাবি বিএনপির, একজনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে পুলিশ

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতকর্মীদের সংঘর্ষ দু'জন নিহতের অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। তবে, এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বিল্লাল ছয়সূতি ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি ও নিহত রিফাত ওই ইউনিয়নের ছাত্রদলের সহসভাপতি।
আজ সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন। ঘটনার পর পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ সৃষ্টি করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সরাতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়।
এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিফাতকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুলিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল মিল্লাত জানান, "অবরোধ সমর্থনে ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শান্তিপূর্ণভবাবে মিছিল করছিল দলীয় নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ এসে বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়। এ ঘটনায় বিল্লাল হোসেন ও রিফাত নামে দুইজন নিহত হন। এর মধ্যে রিফাত ছয়সূতি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি।"
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মস্তুফা জানান, "অবরোধকারীদের সরাতে গেলে তারারা প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় একজন মারা গেছেন। তবে সেটি গুলিতে কিনা- তা নিশ্চিত নয়।"
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্য কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান জানান, "কুলিয়ারচর থেকে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এরমধ্যে রিফাত হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায়। পুলিশ তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেছে।"
বাকি দুইজন চিকিৎসা না নিয়েই হাসপাতাল থেকে চলে গেছে বলে জানান তিনি।