সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদ: ফরিদপুরে পঞ্চম দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ও পুনর্বহালের দাবিতে ফরিদপুরে দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের কর্মসূচির শুরু হয়েছে আজ (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে। ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়ন ও হামিরদী ইউনিয়ন দুটি নগরকান্দা উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে মহাসড়ক ও রেলপথে গাছ কেটে এবং ট্রায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। অবরোধের কারণে যাত্রীসহ সাধারণের ভোগান্তি বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে আন্দোলনের অন্যতম নেতা আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম.ম সিদ্দিক মিয়াকে আটক করা হয়েছে। গত রাতে নগরকান্দার চাঁদহাট এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে আটক করে বলে নিশ্চিত করেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব যুগল কিশোর মল্লিক।
রোববার সকাল থেকে দুটি ইউনিয়নের সীমানাবর্তী হামিরদী বাসস্ট্যান্ড ও আলগী ইউনিয়নের সুয়াদী বাসস্ট্যান্ডসহ কয়েকটি স্থানে মহাসড়কের রাস্তায় গাছ কেটে ও ট্রায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে দেয়া হয়েছে। এতে ঢাকার সাথে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তা অবরোধের কারণে দুটি মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ লাইনে যানবাহন আটকা পড়ে রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি কাজে ব্যবহৃত গাড়িগুলো ছাড়া অন্য কোনো কিছুই যেতে দেওয়া হচ্ছে না ।

এ সময় অবরোধকারীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা ভাঙ্গা উপজেলার সাথে সংযুক্ত রয়েছেন। ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে 'ভাঙ্গা উপজেলাবাসী এক আত্মার বন্ধনে এক পরিবার। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত আমরা মানি না'। নির্বাচন কমিশনের এই ভুল সিদ্ধান্ত থেকে যতক্ষণ সরে না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হবে বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ বলেন, 'দুটি মহাসড়কে রাস্তায় গাছ কেটে ও ট্রায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে রেখেছেন স্থানীয়রা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।'
উল্লেখ্য, এর আগে প্রথম দফায় গত শুক্রবার, মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেয় অবরোধকারীরা। এতে যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হন। গতকাল বিকেলে ভাঙ্গার বারোটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা একত্রিত হয়ে এই তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে।