আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার পেছনে প্রশিক্ষিত দল: পঞ্চগড়ের এসপি

পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার বলেছেন, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার পেছনে প্রশিক্ষিত দল রয়েছে।
আহমদিয়া মুসলিম জামাতের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার আট দিন পর আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন পঞ্চগড়ের এসপি।
পুলিশ সুপার স্বীকার করেন, একটি প্রশিক্ষিত দল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত ঘটনা।
তিনি বলেন, 'আগুন জ্বালানোর জন্য ছিল গান পাউডার ও পেট্রোল। প্রাণহানি এড়াতে ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্তকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে। তাৎক্ষণিক অ্যাকশনে গেলে প্রাণহানি বাড়ত এবং এ ঘটনা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ত। সালানা জলসায় আট হাজারের বেশি আহমদিয়া সদস্য অবস্থান করছিলেন। চারপাশ থেকে ৭-৮ হাজার মানুষ আক্রমণ চালায়। এ সময় পুলিশের ১৭০ জন, র্যাবের ৬৪ জন এবং ৫ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছিল। ইতিমধ্যে ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড় সদর থানায় ১১টি ও বোদা থানায় ২টি মামলা হয়েছে। ১৩টি মামলায় এ পর্যন্ত ১৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব মামলায় নাম-ঠিকানা উল্লেখ করা ছাড়াও ১০-১১ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। আরো মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে।'
সিরাজুল হুদা আরও বলেন, 'যারা ঘটনায় জড়িত তারাই আতঙ্কে থাকবে। সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের কাছে ঘটনার পর্যাপ্ত ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ এবং স্টিল ছবি আছে। এসব দেখে গোয়েন্দাদের তথ্যের ওপর খোঁজখবর নিয়েই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'সারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহলের উস্কানিতে পঞ্চগড়ে যে বর্বরোচিত নাশকতার কান্ড ঘটানো হয়েছে, সেই ঘটনায় পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা আহত হয়েছেন। হামলা করে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে ট্রাফিক পুলিশ অফিস। হামলাকারীরা একজন বৃদ্ধ পুলিশ সদস্যকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে। বর্তমানে পঞ্চগড়ের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।'
প্রেস ব্রিফিংয়ে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এসএম শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাকিবুল ইসলাম, পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞাসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।