এনআইডি জালিয়াতি: ইসির সেই জয়নাল আবারও গ্রেপ্তার

রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি এবং ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জালিয়াত চক্রের সদস্য সেই জয়নাল আবেদীনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সোমবার রাতে কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দাবি, তার কাছ থেকে জব্দকৃত মোবাইল ডিভাইস পরীক্ষা করে এনআইডি জালিয়াতি সংক্রান্ত অসংখ্য আলামত পাওয়া গিয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনকে গ্রেপ্তার করেছিলো পুলিশ। সে সময় জয়নাল আবেদীন পুলিশকে জানান, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে ৫০-৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে সরবরাহ করেন তিনি। গ্রেপ্তারের পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় থেকে জয়নালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু জামিনে বেরিয়ে আবার তৎপর হয়েছেন জয়নাল।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত উপকমিশনার আসিফ মহিউদ্দিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয়পত্র ও এনআইডি জালিয়াতির ঘটনায় দায়ের দুটি মামলা তদন্তাধীন আছে। ইসির বিভিন্ন কার্যালয়ে জয়নালের ১০ আত্মীয় ছাড়াও জয়নালের হয়ে কাজ করেন অন্তত অর্ধশত অপারেটর। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে ৫টির অধিক জন্মনিবন্ধন সনদ সৃজন করেছে তারা।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি নগরের ৩৮ নং ওয়ার্ড, ৯ জানুয়ারি ১৩ নং ওয়ার্ড, ২১ জানুয়রি ৪০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসের সার্ভারে যথাক্রমে ৪০, ১০ এবং ৮৪টি ভুয়া জন্মনিবন্ধনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের জন্মনিবন্ধন সহকারী মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে খুলশী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গত ২৩ জানুয়ারি পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াত চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।