রংপুরে হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গ্রেপ্তার

রংপুরে জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধা উল্লেখ করে সমেছ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর ১০ মাস পর করা হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাকে নগরীর ধাপ ইঞ্জিনিয়ার পাড়ার বাসা থেকে মহানগর হাজিরহাট থানার পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে তোলেন।
আদালত তার জামিন নামঞ্জুর না করে রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং আর কিউএম জুলকার নাইন কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে তার আইনজীবী শহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় মাহমুদুল হকের সহধর্মিণী মাসুবা হাসান মুন আজ মাহমুদুল হকের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, 'আমার হাজবেন্ড মো. মাহামুদুল হক সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর; আজ বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩ টার দিকে আমার রংপুরের ধাপ এলাকায় অবস্থিত নিজ বাসা থেকে রংপুর মেট্রোপলিটন হাজিরহাট থানা পুলিশ আমার হাজবেন্ডকে আটক করে সরাসরি আদালতে নিয়ে যায়।'
'কোনো এক হত্যা মামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমার হাজবেন্ড এরকম কোনো অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তিনি পুরোপুরিভাবে নির্দোষ। এটি একটি পরিকল্পিতভাবে সাজানো মিথ্যা মামলা। আমি আমার হাজবেন্ডের স্নেহভাজন শিক্ষার্থী, সম্মানিত সহকর্মী, সাংবাদিকতা পেশার সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী সকলের পক্ষ থেকে সহযোগিতা কামনা করছি।'
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জুন নগরীর রাধাকৃষ্ণপুর মুদি দোকানদার সমেছ উদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বেগম স্বামী বাদী হয়ে হাজিরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সাবেক প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে।
মামলায় ৫৪ নম্বর আসামি হলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হক।