মুন্সিগঞ্জে বিএনপি'র বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশি বাধা, সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত অন্তত ৫০

মুন্সিগঞ্জে বিএনপির পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে মুন্সিগঞ্জ সদরের মুক্তারপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল করে পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় আসে। এতে পুলিশ বাধা দিলে, উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা।

সদর থানা বিএনপির সভাপতি মো. মহিউদ্দিন জানান, আজ আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। সে অনুযায়ী, নেতাকর্মীরা মিছিল করে আসতে থাকলে তাতে বাধা দেয় পুলিশ এবং ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে।
এসময় তারা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। পুলিশও পাল্টা রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে।

এই সংঘর্ষে উভয়পক্ষেই অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলি জানায়, এতে পুলিশ সুপারসহ (এসপি) ১০ পুলিশ সদস্য, ৩ সাংবাদিক এবং বিএনপির ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, সংঘর্ষে আহত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্যারের অবস্থা গুরুতর।
বিএনপি নেতা মো. মহিউদ্দিন বলেছেন, পুলিশের সাথে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ায় তাদের অর্ধশতাধিকের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।