Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

বন্যার বড় ধাক্কা পর্যটনে, ক্ষতি হাজার কোটি টাকা

কেবল হোটেল-মোটেল নয়, সিলেটের একজন রিকশাচালক, একজন কাপড় ব্যবসায়ীও পর্যটকের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। শ্রীমঙ্গল, জাফলংসহ কিছু এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য তো পুরোটাই পর্যটকদের উপর নির্ভশীল। তার উপর এখন সিলেটে পর্যটনের ভরা মৌসুম।
বন্যার বড় ধাক্কা পর্যটনে, ক্ষতি হাজার কোটি টাকা

বাংলাদেশ

দেবাশীষ দেবু, সিলেট
08 July, 2022, 01:15 pm
Last modified: 08 July, 2022, 01:22 pm

Related News

  • ফেনীতে আকস্মিক বন্যা, তিন ঘণ্টায় পরশুরামে পানির উচ্চতা বেড়েছে ৩.২ মিটার
  • রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সতর্কতা
  • বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির মনিটরিং সেল গঠন
  • ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, নোয়াখালীর সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
  • ফেনীতে ১৪ স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন, অন্তত ৩৫ গ্রাম প্লাবিত

বন্যার বড় ধাক্কা পর্যটনে, ক্ষতি হাজার কোটি টাকা

কেবল হোটেল-মোটেল নয়, সিলেটের একজন রিকশাচালক, একজন কাপড় ব্যবসায়ীও পর্যটকের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। শ্রীমঙ্গল, জাফলংসহ কিছু এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য তো পুরোটাই পর্যটকদের উপর নির্ভশীল। তার উপর এখন সিলেটে পর্যটনের ভরা মৌসুম।
দেবাশীষ দেবু, সিলেট
08 July, 2022, 01:15 pm
Last modified: 08 July, 2022, 01:22 pm

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র জাফলং। এই পর্যটন এলাকায় গ্রিন রিসোর্ট ও গ্রিন রেস্টুরেন্ট নামে দুটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন বাবুল আহমদ। গত ২৫ জুন থেকে নিজের রেস্টুরেন্ট বন্ধ রেখেছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে বাবুল আহমদ বলেন, 'লোকসান আর সামাল দিতে পারছি না। গত ঈদের পর থেকে এখানে কোন পর্যটক নেই। পর্যটক না হলে আমাদের ব্যবসাও নেই। ফলে প্রায় দুই মাস ধরে লোকসান গুনতে হচ্ছে।'

ঈদুল আযহা পর্যন্ত রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে জানিয়ে বাবুল বলেন, 'রিসোর্টটি বন্ধ করা যাচ্ছে না। তাই লোকসান গুনেও এটি চালু রাখতে হচ্ছে।' 

জাফলং এলাকার গুচ্ছগ্রাম দিয়ে এখানকার মূল পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করেন পর্যটকরা। পর্যটকদের উপর ভিত্তি করেই এই এলাকায় গড়ে উঠেছে শতাধিক স্থায়ী ও অস্থায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

গত রোববার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দুয়েকটি ছাড়া সবগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই বন্ধ। যেগুলো খোলা আছে সেগুলোতেও ক্রেতা নেই। আর পুরো ফাঁকা জাফলং পর্যটন কেন্দ্র। একজনও পর্যটক নেই সেখানে।

জাফলংয়ে ঘুরতে আসা পর্যটকদের ছবি তোলার কাজ করেন আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, 'বন্যার পর থেকে এখানে পর্যটকরা একেবারে আসছেন না। পর্যটক না আসায় আমরা প্রায় বেকার হয়ে পড়েছি।'

কেবল জাফলং নয়, সিলেটের সবগুলো পর্যটনকেন্দ্রই দেড় মাসের বেশি সময় ধরে পর্যটকশূন্য অবস্থায় আছে। দুই দফা বন্যার কারণে সিলেটে আসছেন না কোন পর্যটক।

ছবি-টিবিএস

সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্ষা মৌসুমে সিলেটে সবচেয়ে বেশি পর্যটক সমাগম হয়। এখানকার পাহাড়, ঝর্না, হাওর, জলাবরণ, নদী- বর্ষায় সবচেয়ে সুন্দর রূপ ধারণ করে। তাই এসময়ে সিলেট অঞ্চলে পর্যটক সমাগম হয় সবচেয়ে বেশি। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। এবার ভরা বর্ষায়ও পর্যটক নেই সিলেটে। এতে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়েছেন পর্যটন খাতের উদ্যোক্তারা। ক্ষতির অংকে তা হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, করোনার কারণে দুই বছর একেবারে স্থবির ছিল পর্যটন খাত। করোনার দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে চলতি বছর থেকে চাঙ্গা হতে শুরু করেছিলো সিলেটের পর্যটন শিল্প। গত ঈদে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটক ভিড় করেছিলেন সিলেটে। তবে মে মাস থেকে ফের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে পর্যটন শিল্পে।

মে মাসে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে সিলেট। সে সময় মে মাসের বন্যাকে বলা হয়েছিলো, গত ১৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বন্যা। ওই বন্যার পানি কমে আসতে না আসতেই জুনের মাঝামাঝিতে ফের বন্যা দেখা দেয় সিলেটে। চলতি বন্যাকে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে পানিতে তলিয়ে গেছে অনেক পর্যটনকেন্দ্রও। বন্যার কারণে মে থেকে সিলেটে আসছেন না পর্যটকরা।

সিলেটের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র বিছানাকান্দি। বর্ষা মৌসুমেই এখানকার নদী-ঝর্ণা-পাহাড় মোহনীয় রূপ নেয়। তবে এবার বর্ষায় পর্যটক নেই বিছানাকান্দিতে।

বিছানাকান্দি পর্যটনকেন্দ্রের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বলেন, 'অন্যান্য বছর বর্ষায় এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। এবার একেবারে পর্যটক আসছেন না। প্রায়ই দিনই ফাঁকা থাকছে পর্যটন কেন্দ্র।'

তিনি বলেন, বিছানাকন্দি পর্যটন কেন্দ্রে রেস্টুরেস্ট, কসমেটিকসসহ বিভিন্ন পণ্যের অর্ধশতাধিক দোকান রয়েছে। দেড় মাস ধরে সবগুলো দোকান বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা বড় অংকের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

বর্ষায় পর্যটকদের ভিড় বাড়ে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরেও। তবে এবারের বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সুনামগঞ্জ। যথারীতি সেখানেও কোন পর্যটক নেই।

তাহিরপুরের ইঞ্জিন নৌকার চালক আসকর আলী বলেন, 'পর্যটকদের পরিবহনের জন্য সুন্দর করে আমার নৌকাটি বানিয়েছিলাম। রাতে থাকা, রান্না করার সুবিধা ছিলো এখানে। এখন পর্যটক নেই, তাই এখন এই নৌকা ত্রাণ বিতরণকারীদের পরিবহনে ব্যবহৃত হচ্ছে।'

তিনি বলেন, 'আমি না হয় কোনমতে চলতে পারছি। কিন্তু পর্যটকদের উপর নির্ভরশীল অনেক ছোটছোট ব্যবসায়ী এখন পথের ফকির হয়ে গেছেন।'

ছবি-টিবিএস

পর্যটক না আসায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন সিলেটের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট ব্যবসায়ীরা। সিলেট জেলায় পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল রয়েছে। যার বেশিরভাগই এখন পুরো ফাঁকা।

বন্যার কারণেই পর্যটকরা আসছেন না বলে জানিয়ে নগরের জিন্দাবাজার এলাকার হোটেল গোল্ডেন সিটির ব্যবস্থাপক মৃদুল দত্ত মিষ্ঠু বলেন, 'এক বন্যার পানি নামতে শুরু করার সাথে সাথে আরেক বন্যা শুরু। এর আগে দীর্ঘসময় করোনা ছিলো। ফলে আমাদের ব্যবসার অবস্থা খুবই করুণ।'

পর্যটক না আসায় এই খাতের ব্যবসায় চরম মন্দা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমার কিছু কর্মীকে ছুটি দিয়ে দিতে হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার তাদের ডাকা হবে।'

বন্যায় পর্যটন শিল্পে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে জানিয়ে সিলেট হোটেল মোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুমাত নুরী জয়েল বলেন, 'ক্ষতি সামলাতে না পেরে অনেকেই এখন হোটেল বিক্রি করে দেয়ার কথা ভাবছেন। কর্মীদের ছাঁটাইও করছেন অনেকে।'

জুয়েল বলেন, 'করোনার দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে এই খাত যে-ই একটু ঘরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলো তখনই বন্যার ধাক্কা শুরু হলো।'

বন্যার কারণে পুরো বিভাগজুড়েই পর্যটক শূন্যতা ও পর্যটন খাতে মন্দা দেখা দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'অনেক বড় বড় হোটেল রিসোর্ট ৬০/৭০ পার্সেন্ট ছাড়ের ঘোষণা দিয়েও পর্যটক আকর্ষণ করতে পারছে না।'

সিলেট চেম্বার অব কমার্সের তথ্যমতে, বন্যায় সিলেটে পর্যটন খাতের ক্ষতিই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, 'কেবল হোটেল-মোটেল নয়, সিলেটের একজন রিকশা চালক, একজন কাপড় ব্যবসায়ীও পর্যটকের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। শ্রীমঙ্গল, জাফলংসহ কিছু এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য তো পুরোটাই পর্যটকদের উপর নির্ভশীল। তার উপর এখন সিলেটে পর্যটনের ভরা মৌসুম।'

তাহমিন বলেন, 'বন্যা কমে গেলেও সিলেটে এখন পর্যটকদের ফেরানো যাবে না। কারণ বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে। অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া পর্যটকদের মনে বন্যা নিয়ে আতঙ্কও আছে। ফলে এই খাতে ক্ষতি আরও বাড়বে। সরকারি সহায়তা ছাড়া এই ক্ষতি সহজেই কাটিয়ে উঠা যাবে না।'

প্রসঙ্গত, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছিল সিলেট ও সুনামগঞ্জ। সপ্তাহব্যাপী স্থায়ী সে বন্যায় শত কোটি টাকার ক্ষতি হয় এ দুই জেলায়। এরপর জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে আরও ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় এই দুই জেলায়। পানিতে এখনও তলিয়ে আছে দুই জেলার বেশিরভাগ এলাকা। বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়েছে সবগুলো খাতই।

Related Topics

টপ নিউজ

বন্যা / বন্যা পরিস্থিতি / বন্যার অর্থনৈতিক প্রভাব / সিলেটের বন্যা

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • কবরেও একা যেতে হবে, দুর্নীতি করলে জেলখানায়ও একা যেতে হবে: কলিমউল্লাহকে বিচারক
  • গাজীপুরে সাংবাদিককে ধাওয়া করে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা
  • আট দফা দাবিতে ১২ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট
  • পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে ফাঁকি, রাশিয়ার বোমা কারখানা যেভাবে কিনেছে সিমেন্সের প্রযুক্তি
  • কলকাতায় ‘পার্টি অফিস’ খুলে যেভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ
  • নিলামে আরও ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক; অর্থনীতিতে এর প্রভাব কী?

Related News

  • ফেনীতে আকস্মিক বন্যা, তিন ঘণ্টায় পরশুরামে পানির উচ্চতা বেড়েছে ৩.২ মিটার
  • রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সতর্কতা
  • বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির মনিটরিং সেল গঠন
  • ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, নোয়াখালীর সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
  • ফেনীতে ১৪ স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন, অন্তত ৩৫ গ্রাম প্লাবিত

Most Read

1
বাংলাদেশ

কবরেও একা যেতে হবে, দুর্নীতি করলে জেলখানায়ও একা যেতে হবে: কলিমউল্লাহকে বিচারক

2
বাংলাদেশ

গাজীপুরে সাংবাদিককে ধাওয়া করে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

3
বাংলাদেশ

আট দফা দাবিতে ১২ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট

4
আন্তর্জাতিক

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে ফাঁকি, রাশিয়ার বোমা কারখানা যেভাবে কিনেছে সিমেন্সের প্রযুক্তি

5
বাংলাদেশ

কলকাতায় ‘পার্টি অফিস’ খুলে যেভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ

6
অর্থনীতি

নিলামে আরও ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক; অর্থনীতিতে এর প্রভাব কী?

The Business Standard
Top

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net

Copyright © 2022 THE BUSINESS STANDARD All rights reserved. Technical Partner: RSI Lab