লকডাউনের তৃতীয় দিন: ঢাকায় গ্রেপ্তার ৬২১

দেশজুড়ে চলছে কঠোর লকডাউন। এরই মাঝে বিনাকারণে বাসা থেকে বের হচ্ছেন রাজধানীর অনেক বাসিন্দা।
লকডাউনের তৃতীয় দিনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান আগের দুইদিনের তুলনায় খানিকটা শিথিল বলে লক্ষ্য করা যায়। ঢাকার বিভিন্ন সড়কে রিকশা ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলতে দেখা গেছে; তবে চলেনি কোনো গণপরিবহন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন বিধিভঙ্গ করায় শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তা থেকে ৬২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময়ে ৩৪৬ জনকে মোট ১ লাখ টাকার বেশি জরিমানা করা হয়।
লকডাউনের মধ্যে যানবাহন বের করায় সেগুলোর মালিকদের সড়ক পরিবহন আইনের অধীনে প্রায় ১৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ডিএমপি।
এদিকে, এদিন লকডাউন বিধিভঙ্গের কারণে চট্টগ্রামে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ডিএমপি'র তেজগাঁও ডিভিশনের অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার হাফিজ আল ফারুক গণমাধ্যমে বলেন, 'লকডাউন বলবৎ করতে আমরা শহরের রাস্তায় রাস্তায় টহল চালাচ্ছি। লকডাউন বিধি ভাঙার কারণে ১৫২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আমাদের সদস্যরা।'
এদিকে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেছেন, রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় বিনাকারণে ঘুরে বেড়ানো বহু লোককে আটক করেছে র্যাব। তাদের বেশিরভাগের মুখে মাস্কও ছিল না।
লকডাউন বিধি ভাঙার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, লকডাউন বিধিভঙ্গের দায়ে গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে ৩২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ২০৮ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, চলতি লকডাউনের প্রথমদিন, গত বৃহস্পতিবার আটক করা হয় ৯৪১ জনকে। তাদের মধ্যে ৫৫০ জনকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
অন্যদিকে, টিবিএস চট্টগ্রাম অফিস জানিয়েছে, শনিবার লকডাউন বিধিভঙ্গের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৭ জন। বন্দর নগরে মানুষের চলাফেলা প্রথম দুদিনের তুলনায় এদিন বেড়েছে। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় রিকশা ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলতে দেখা গেছে তুলনামূলক বেশি।
এর আগে, গত সপ্তাহে বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে ১৪ দিনের কঠোর শাটডাউন আরোপের পরামর্শ দেয় কোভিড-১৯-এর জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।