বগুড়ায় খাদ্য সংকটে হাজারও মানুষ

সরকারি-বেসরকারিভাবে দেওয়া খাদ্য সহায়তা সত্ত্বেও বগুড়ায় খাদ্য সংকটে পড়েছেন কয়েক হাজার শিশু ও নারী-পুরুষ। অনেকেই খাবারের খোঁজে জেলা প্রশাসকের দপ্তরসহ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন।
জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন অধিদপ্তর জানায়, ইতোমধ্যেই বগুড়ার ১২টি উপজেলায় ২৮ হাজার ১০০ পরিবারকে ১০ কেজি করে চালসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পরেও বিপুল সংখ্যক মানুষ এখনও খাদ্য সহায়তা পাননি।
র্যাব-১২ সদস্যরা বুধবার সকালে বগুড়ায় প্রতিবন্ধী ও কর্মহীন ১০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিলেও খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে শতাধিক মানুষকে।
র্যাব -১২ কোম্পানি কমান্ডার এএসপি রওশন আলী জানান, প্রাথমিকভাবে ১০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পরে আরও দেওয়া হবে।
বগুড়ার ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ি গ্রামের কৃষি শ্রমিক বাবলু মিয়া প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বেকার। চার সদস্যের পরিবারের জন্য ১৫ দিন পর বুধবার তিনি প্রথম খাদ্য সহায়তা পান।
বগুড়া শহরের লতিফপুর কলোনীতে থাকেন আছির উদ্দিন। প্রায় ৮০ বছরের এ বৃদ্ধ আট জনের সংসার টানেন। প্রায় দুই সপ্তাহ পর তিনি সরকারি সহায়তা পেলেন র্যাব সদস্যদের কাছ থেকে।
আদমদিঘী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু জানান, বুধবার সকাল থেকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। যা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ।
উপজেলা চেয়ারম্যান আরও জানান, সাত হাজার পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, এক কেজি ডাল, আধা লিটার সয়াবিন আর দুই কেজি করে আলুসহ নানা ধরনের পণ্য দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে খাদ্যের জন্য আজও অনেক নারী-পুরুষ শিশু আসেন বগুড়া জেলা প্রশাসকের দপ্তরে। বগুড়া শহরের মালতীনগর এলাকা মেরি খাতুন বুধবার সকালে আসেন বগুড়ার ডিসি অফিসে। পাঁচ জনের সংসার খাদ্য সংকটে পড়ায় তিনি বাধ্য হয়ে আসেন খাদ্যের জন্য।
হোটেল শ্রমিক রাহেলা বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় ১৫দিন আগে। তারও ঘরে খাবার নেই। ছয় জনের সংসারে খাবারের জন্য তারও আসতে হয় ডিসি অফিসে।
জেলা প্রশাসক জানান, এ রকম অবস্থায় যারা আছেন তাদের তালিকা করে সবাইকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।