থার্মোমিটার দিয়ে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা!

চীনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস এখন বাংলাদেশের জন্যও আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত রোববার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে এ ভাইরাস শনাক্তের জন্য মেডিকেল ডেস্ক বসানো হয়েছে। এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার যাত্রী ভারত ও বাংলাদেশে যাতায়াত করে থাকেন।
তবে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ভবনের সামনে বসানো এই মেডিকেল ডেস্কে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য শুধুমাত্র থার্মোমিটার ও স্টেথোস্কোপ রয়েছে। করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য মূলত থার্মাল স্ক্যানার মেশিনটি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এই মেশিনটি না থাকায় মেডিকেল ডেস্কটি খুব একটা কাজে আসছে না।
আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াতকারী কয়েকজন যাত্রী জানান, দিন যতো যাচ্ছে করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কও বাড়ছে। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় এটির সংক্রমণ ঠেকাতে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
তারা আরও জানান, বন্দর দিয়ে যাতায়াতকারী কোনো যাত্রীর মাধ্যমে যেন এই ভাইরাস আমাদের দেশে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অথচ বন্দরের মেডিকেল ডেস্কে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামই নেই। থার্মোমিটার দিয়ে কীভাবে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হবে? দ্রুত থার্মাল স্ক্যানার মেশিন বসানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
আখাউড়া স্থলবন্দর মেডিকেল ডেস্কে থাকা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট গোকুল চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ভাইরাস পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। মূলত এই বন্দর দিয়ে যাতায়াতকারী কোনো যাত্রী যদি সম্প্রতি চীন ভ্রমণ করে থাকেন এবং তার যদি সর্দি-কাশি থাকে তাহলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে তাকে পরীক্ষা করানো হবে। যদিও এখন পর্যন্ত আমরা এমন কোনো যাত্রীর সন্ধান পাইনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডা. শাহ আলম বলেন, করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য আমাদের থার্মাল স্ক্যানার মেশিন প্রয়োজন। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদেরকে থার্মাল স্ক্যানার মেশিন সরবরাহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।