পাহাড়ি ঢলে আখাউড়ায় কয়েক গ্রাম প্লাবিত

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
আজ রোববার (১ জুন) সকাল থেকে ভারতের সীমান্তবর্তী কালিকাপুর, আবদুল্লাহপুর ও ইটনাসহ কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকতে থাকে। বৃষ্টিপাতের কারণে পানিও বাড়ছে গ্রামগুলোতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখাউড়া স্থলবন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কলন্দি খাল, কালিকাপুর হয়ে আব্দুল্লাহপুর দিয়ে বয়ে যাওয়া জাজি খাল, বাউতলা দিয়ে মরা গাঙ ও মোগড়া ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যওয়া হাওড়া নদীতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বেড়েছে।
এতে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আব্দুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর এবং ইটনা গ্রামের জমি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এছাড়া কেন্দুয়াই মেলার মাঠ এলাকায় ১৫টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া জানান, গতকাল শনিবার রাত থেকে বন্দর সংলগ্ন গ্রামগুলোতে পানি ঢুকছে। এখন পর্যন্ত রপ্তানিতে কোনো প্রভাব না পড়লেও পানি যেভাবে বাড়ছে, তাতে বন্দরের সড়কটি তলিয়ে গিয়ে রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, হাওড়া নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০-৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। তবে এখনও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমরা প্লাবিত গ্রামগুলো পরিদর্শন করেছি। লোকালয়ে পানি ঢুকলেও পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা কম। তবে আমরা ত্রাণ সহায়তা প্রস্তুত করছি।