জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা: হাইকোর্টে খালেদার ফের জামিন আবেদন

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন হাইকোর্টে একবার খারিজ হওয়ার পর আবারও তাঁর পক্ষে নতুন করে আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি দাখিল করেন খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
৩১ জুলাই এই মামলায় ৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ।
কায়সার কামাল জানান, বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিনের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চে নতুন আবেদনটির শুনানি হতে পারে।
হাইকোর্ট জামিন আবেদন খারিজ করার পর আবারও নতুন করে অন্য কোনো বেঞ্চে একই বিষয়ে আবেদন করা যাবে কি না, এ নিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীরা ভিন্ন মত দিয়েছেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে বলেছেন, হাইকোর্ট কোনো আবেদন খারিজের আদেশ দিলে, তার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার বিকল্প নেই। এই মামলায় একবার হাইকোর্ট জামিন আবেদন খারিজ করেছেন। নতুন করে অন্য একটি বেঞ্চে একই আবেদন ‘নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করেন খুরশীদ আলম খান।
খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, এর আগে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে জামিন আবেদন খারিজ হয়েছে। তবে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে একবার জামিন আবেদন খারিজ হওয়ার পর আবার অন্য বেঞ্চে জামিন চাওয়ার ক্ষেত্রে ‘আইনগত বাধা’ নেই।
তিনি আরও বলেন, রুল অ্যান্ড প্র্যাকটিস অনুযায়ী আবেদন করা যায়। আর দ্বিতীয়বার জামিন আবেদন করার বিরুদ্ধে যদি কোনো আইনজীবী বলে থাকেন, তার আইন জানা দরকার।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫এর বিচারক। রায়ে খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতের দেওয়া ওই সাজা বাতিল ও খালাস চেয়ে গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন খালেদা জিয়া।
এর গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে ওই মামলায় খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে দেওয়া জরিমানার আদেশ স্থগিত করে মামলাটির নথি তলব করেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে নথি পাঠাতে বলা হয়। বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি গত ২০ জুন হাইকোর্টে পাঠানো হয়।
এরপর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিষয়টি আদালতে তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবীরা। এর ধারাবাহিকতায় ৩০ জুলাই জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। পরের দিন ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তা সরাসরি খারিজ করে দেন।