Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

শাহজাদপুরের গোচারণভূমি যেন বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড!

এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গোচারণভূমি হিসেবে বিবেচিত শাহজাদপুরের বাথানভূমি। প্রায় দেড় হাজার একরজুড়ে বিস্তৃত এই বাথানের পত্তন হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে।
শাহজাদপুরের গোচারণভূমি যেন বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড!

ফিচার

মেহেদি হাসান
09 January, 2022, 04:30 pm
Last modified: 09 January, 2022, 11:47 pm

Related News

  • উশুতে মেডেল পেলে চাকরি মিলবে, তাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সান্ত্বনারা
  • নুসরাত, সুমাইয়ারা ছিল কোচিং ক্লাস শুরুর অপেক্ষায়...
  • ২০ বছর ধরে কালু মিয়ার কালাভুনায় মজে আছে সিনেপাড়া
  • বাটি ছাঁট থেকে রোনাল্ডো কাট: সেলুনগুলো যেভাবে বদলে যাচ্ছে জেন্টস পারলারে
  • ঈদের সাজগোজ থেকে খাবার; আগের রাতে মায়ের জাদুতেই ঈদ আনন্দ পায় পূর্ণতা

শাহজাদপুরের গোচারণভূমি যেন বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড!

এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গোচারণভূমি হিসেবে বিবেচিত শাহজাদপুরের বাথানভূমি। প্রায় দেড় হাজার একরজুড়ে বিস্তৃত এই বাথানের পত্তন হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে।
মেহেদি হাসান
09 January, 2022, 04:30 pm
Last modified: 09 January, 2022, 11:47 pm

দিগন্তবিস্তৃত সবুজ কাঁচা ঘাসের সমুদ্র। মাঝখান দিয়ে শিরা-উপশিরার মতো বয়ে চলা নদী-খাল-বিল, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গবাদিপশুর পাল, জায়গায় জায়গায় খড়-বাঁশ-টিনের অস্থায়ী খামার। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাথানভূমির চিত্র এটি।  শাহজাদপুরের বাথানভূমিটি এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গোচারণভূমি হিসেবে বিবেচিত।

নিচু এলাকার বাথানভূমিটি বছরের প্রায় ৫ মাসের বেশি সময় থাকে জলের তলায়। সে সময় খামারিরা পশুর পাল বাড়িতে বা উঁচু জায়গায় স্থানান্তরিত করে। 

তারপর শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ফের শুরু হয় গবাদিপশুর কোলাহল। তৃণময় বাথানভূমির মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে গবাদিপশুর পাল। ফ্রিজিয়ান, শাহিয়াল গরুগুলোর বাটভর্তি দুধ এবং বিস্তৃত এ চিরসবুজ বাথানভূমি অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডের গোচারণভূমির ভূমির কথা মনে করিয়ে দেয়। তাই অনেকেই শাহজাদপুরের বাথানভূমিকে বলে থাকেন 'বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড'। 

বাথানভূমির সিংহভাগ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায়, আর বাকি অংশ পড়েছে পাবনা জেলায়। আগে বাথানভূমিটি মোটামুটি ১৬০০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত থাকলেও বর্তমানে এর আয়তন দাঁড়িয়েছে ১০৩৩ একরে। মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানা যায়, বাথানভূমির প্রায় ৫০০-৬০০ একর জায়গা ভূমিদস্যুরা জাল দলিল, ভুয়া পত্তনি, বেদখল, অবৈধ ইজারার মাধ্যমে দখল করেছে।

বাথানের জমি দিলেন রবিঠাকুর

শাহজাদপুর বাথানভূমির রয়েছে এক সমৃদ্ধ ইতিহাস। জায়গাটি বাথানভূমি হিসেবে পরিণতি লাভের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যে মানুষটি প্রত্যক্ষ মদদ জুগিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন—শাহজাদপুরের ভূতপূর্ব জমিদার বাবু শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। 

সেকালে শাহজাদপুরের অন্তর্গত পোতাজিয়ায় ঘোষ সম্প্রদায় গড়ে তুলেছিল এক সমৃদ্ধ দুগ্ধনগরী। রবীন্দ্রনাথ ঘোষদের ঘাটে নৌকা ভিড়িয়ে দুধ, মাখন, ছানা, ঘৃত প্রভৃতি কিনে কিছু কলকাতায় পাঠিয়ে দিতেন, আর কিছু নিয়ে আসতেন কাছারিতে। শাহজাদপুরের দুগ্ধজাত পণ্যাদি জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সদস্যদের রসনাতৃপ্তির মাধ্যমে পরিণত হয়েছিল।

ঘোষদের মধ্যে অন্যতম গিরিশচন্দ্র ঘোষ গোচারণভূমির অভাবে রবীন্দ্রনাথের কাছে কিছু নিষ্কর ভূমি চান। বাংলা ১৩০২ সনের ২৯ চৈত্র মোক্তা ৫০০ টাকায় বিভিন্ন মৌজা থেকে গিরিশ ঘোষকে ১৯২ বিঘা জমি দেওয়া হয়। রবীন্দ্রনাথ ঘোষদের রাউতারার পার্শ্বস্থ বুড়িপোতাজিয়া ও রামকান্তপুর মৌজার বিস্তৃত ভূমি গোচারণের জন্য লাখেরাজ দান করেন। সে জমিগুলোতেই আনুষ্ঠানিকভাবে সৃষ্টি হয় বাথানভূমি।

রবীন্দ্রনাথ শুধু গোচারণের জন্য ভূমিই দান করেননি, তিনি ভারতের তৎকালীন পুনে ভেটেরিনারি স্কুল/ইন্সটিটিউট থেকে উন্নতজাতের সিন্ধি, শাহিওয়াল, হরিয়ানা গরু নিয়ে এসে সংকরায়নের ব্যবস্থাও করেন। 

ইজারাদাররা এলো

বাথানের খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাথানভূমির পার্শ্ববর্তী জমির মালিক চাষি ও খামারিরা তাদের ব্যক্তিগত জমিও গোচারণের জন্য ব্যবহার করেন, নইলে কাউকে ইজারা দেন। বাথানভূমি তাই শুধু সরকারি জায়গার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই।

বাথানভূমি থেকে বর্ষার পানি নেমে গেলে জমিগুলোতে উর্বর পলি পড়ে। স্থানীয় কৃষিজীবী বাথানি সম্প্রদায় কাদাপলির ওপরে মাসকালাই ও খেসারির বীজ ছিটিয়ে দেয়। দু-এক মাসে মাসকালাই, খেসারি বেড়ে পরিপুষ্ট হয়ে ওঠে। শীতে এসব মাসকালাই ও খেসারি লতা গবাদিপশুর খাদ্যে পরিণত হয়।

চলন বিলের দক্ষিণ-পূর্বাংশে অবস্থিত বিস্তৃত বাথানভূমি প্রকৃতির এক অপরূপ লীলাক্ষেত্র। বাথানের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মৃতপ্রায় গোহালা নদী। 

বাথানভূমিটি সরকারি খাস জমি। ১৯৮৩ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশবলে পুরো ১৬০০-১৭০০ একর জায়গা উদ্ধার করে মিল্কভিটার মাধ্যমে সমবায়ী দুগ্ধ খামারিদের ইজারা লাভের ব্যবস্থা করা হয়। মিল্কভিটার সুপারিশ অনুসারে এসি (ল্যান্ড) অফিস বিভিন্ন প্রাথমিক দুগ্ধ সমবায় সমিতিকে বাথানভূমি ইজারা দেয়।

বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লি.-এর (মিল্কভিটা) পরিচালক আব্দুস সামাদ ফকির বলেন, 'খামারিরা সরকারকে বাৎসরিক খাজনা প্রদানের মাধ্যমে বাথান ল্যান্ডের জমি ভোগ করে। মিল্কভিটা প্রাথমিক দুগ্ধ সমবায় সমিতিগুলোর দুধ উৎপাদনের পরিমাণ দেখে তাদের নামে জমি সুপারিশ করে। তবে এখানে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়। যেমন, জমি গ্রহণ করলে সেটা বদলানো যাবে না, কোনো সমিতি তাদের লিজের জমি অন্য কাউকে লিজ বা সাব-লিজ দিতে পারবে না, ঘাস ছাড়া অন্য কোনো ফসল বাথানভূমিতে বোনা যাবে না।' 

নজরুল ইসলাম নামক একজন খামারি জানান, বাথানভূমির খাজনার পরিমাণ খুবই কম। একরপ্রতি বাৎসরিক ৩০০০ টাকা। বাথানভূমির সুরক্ষার জন্য এর আশেপাশে বড় কোনো শিল্প-কারখানা নির্মাণ নিষিদ্ধ।

শাহজাদপুরের গোচারণভূমিতে বাথানের সংখ্যা মোটামুটি শ'খানেক। এগুলোর কোনোটি একজন খামারির গরু দিয়েই স্থাপিত হয়েছে। তবে অধিকাংশ বাথান স্থাপিত হয়েছে কয়েকজন খামারির গরু দিয়ে। পুরো বাথানভূমিতে গরুর সংখ্যা বিশ হাজারেরও বেশি।

শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ি মিল্কভিটায় প্রতিদিন গড়পড়তা দুধ জমা হয় প্রায় ৭০,০০০-৮০,০০০ লিটার। যার একটি বড় অংশ আসে বিভিন্ন বাথান থেকে। 

মিল্কভিটার পরিচালক আব্দুস সামাদ ফকির জানান, মূলত জাত উন্নত করে সরকার গরুর দুধের পরিমাণ বাড়িয়েছে। একসময় দেশি গরুর দুধ হতো ২.৫-৩ লি. যা এখন দাঁড়িয়েছে ১৫-২০ লিটারে। 

মিল্কভিটা দুধে ননীর পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে দাম দেয়। বর্তমানে দুধে ননীর আদর্শ মান ৩.৫%, যেটি আগে ছিল ৪.০%। ৩.৫% ননীওয়ালা দুধের দাম লিটারপ্রতি ৩৭.৫০ টাকা। প্রাণ, আড়ং, ফার্মফ্রেশের মতো দুধের কোম্পানিগুলো স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মিল্কভিটার চেয়ে লিটারপ্রতি ৪-৫ টাকা বেশি দাম দিয়ে খামারিদের কাছ থেকে দুধ কিনে নিয়ে যায়। খাঁটি ও ঝানু খামারিদের কেউ কেউ মিল্কভিটাকে দুধ না দিয়ে তাদের সাথে ব্যবসা করে।   

তারাই 'হাইল্যা', তারাই 'মোইষ্যাল'

খামারিরা নিজ নিজ বাথানে কর্মী বা রাখাল নিয়োগ দেয়। তাদের স্থানীয় ভাষায় বলা হয় 'হাইল্যা' বা 'মোইষ্যাল'। বাথানে বালক, কিশোর, যুবক, প্রৌঢ় সব বয়সী বাথানকর্মী আছে। তাদের কারো কারো জীবনের কৈশর-যৌবন পুরোটা পার হয়েছে বাথানে। 

আগে অনেক বাথানকর্মী পেটভাতে কাজ করতেন, অর্থাৎ তিনবেলার খাবারই ছিল তাদের পারিশ্রমিক। বর্তমানে সে চল নেই। এজগিব একজন প্রাপ্তবয়স্ক বাথানকর্মীর বেতন ১২০০০-১৫০০০ টাকা। যারা গরুর চিকিৎসা করতে পারে (যেমন: ইনজেকশন দেওয়া, ওষুধ খাওয়ানো, টিকা দেওয়া ইত্যাদি) তাদের বেতন একটু বেশি। 

প্রাথমিক চিকিৎসা রাখাল বা বাথানিরা দিলেও মিল্কভিটার নিজস্ব ডাক্তার নিয়মিত বাথানের গরুগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। সাধারণত বাড়ি থেকেই গরুকে টিকা দিয়ে বাথানে নিয়ে আসা হয়ে থাকে। 

দিনে দুইবার গরুর দুধ দোয়ানো হয়। সকালে আর বিকালে। মজার ব্যাপার হলো, বিকেল বেলার গরুর দুধে ননীর পরিমাণ সকাল বেলার চেয়ে বেশি থাকে। গড়পড়তা সকালের দুধে ননীর পরিমাণ ৩.৪-৩.৬ শতাংশ থাকলে বিকেলের দুধে থাকে ৪.০-৪.৩ শতাংশ। এর মূল কারণ সূর্যের আলো। সারাদিন চারণভূমিতে ঘাস খাওয়ার পরে বিকেলের দুধে গরু বেশি ননী নিঃসরণ করে।

সকল খামারি চারণভূমিতে প্রাকৃতিক ও দেশি ঘাসের পাশাপাশি বিদেশি ঘাসের চাষ করেন। ফলন বেশি হওয়ায় লম্বা নেপিয়ার, জাম্বো ও হাইব্রিড ঘাসের চাষ বেশি হয়। একবার জমিতে ঘাস বোনার পরে পানি ও সার দিয়ে আরো দুই-তিনবার অবশিষ্ট ডগা থেকে পুনরায় ঘাস জন্মানোর ব্যবস্থা করে খামারিরা। দেশি ঘাস খাওয়া গরুর দুধে ননীর পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হয়। খামারিরা গরুকে নেপিয়ার, জাম্বো ও হাইব্রিডের পাশাপাশি মাসকালাই বা দূর্বাঘাস খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। 

বাথানকর্মীরা জানান, গ্রীষ্মকালের তুলনায় শীতকালে প্রতি গরুতে দুধের পরিমাণ ১-২ লিটার বেশি হয়। সূর্যের আলো, বাতাসের আর্দ্রতা প্রভৃতি এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে।

বাথানে বাঁশের তৈরি বেড়া বা ঘেরাও দিয়ে পশুদের আটকানো হয়। বাথানকর্মীরা নিজেদের ও পশুদের থাকার জন্যে টিন, খড়, বাঁশ, সিমেন্টের খুঁটি ইত্যাদির সাহায্যে অস্থায়ী ঘর তৈরি করেন।

সকালে ও সন্ধ্যায় দুইবেলা গরুকে 'চোমকা' নামের সুষম খাদ্য (খৈল, ভূষি, খেসারি, ভুট্টোর গুড়া, গম, লালী প্রভৃতির মিশ্রণ) খাওয়ানো হয়। বাথানকর্মীরা 'চোমকা' গুলিয়ে নাম ধরে তাদের গরুগুলোকে ডাকা শুরু করেন। 

গরুগুলোরর নাম ভারি সুন্দর। আহ্লাদি, ববিতা, সুরমা, শাবানা, সোনিয়া ইত্যাদি। নাম শুনলেই গরু এসে হাজির।

বাথানভূমিতে জমির সংকটের দরুন বাথানিরা গরুকে ঘাসের পাশাপাশি খড় খাওয়ায়। গরুর পরিমাণ কম হলে কয়েকজন খামারি মিলে একটি বাথান প্রতিষ্ঠা করে। 

দুঃসময়ের শুরু

দুধের দাম নিয়ে প্রায়ই খামারিদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়। টেটিয়ারকান্দা প্রাথমিক দুগ্ধ সমবায় সমিতির সহসভাপতি আবদুল মালেক খান বলেন, 'ভূষির দাম আর দুধের দাম প্রায় সমান। এক কেজি ভূষি ৩৮ টাকা। আদর্শ ফ্যাটের এক কেজি দুধ ৩৭.৫০ টাকা। গোখাদ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে সেভাবে দুধের দাম বাড়ে নাই। তাই অনেক খামারি গরু পালা ছেড়ে দিচ্ছে।'

তাছাড়া বাথানভূমিতেও গরুর সংখ্যা দিনদিন কমছে।

আব্দুস সামাদ ফকির বলেন, 'গরুর সংখ্যা কমার কারণ হলো, এ অঞ্চলে দুধের দাম কম। দুধের দাম সিলেট, ঢাকা, চট্টগ্রামের দিকে তুলনামূলক বেশি। ওইসব এলাকার ব্যবসায়ীরা আমাদের এলাকায় এসে চড়া দামে ভালো দুধেল গাই কিনে নিয়ে যায়। পর্যাপ্ত লাভ না হওয়ায় অনেক খামারি গরু পালা ছেড়ে দিচ্ছে।'

বাথানে আগে দুধের পাশাপাশি আয়ের আরেকটি উৎস ছিল গোবর। গোবরকে মুঠো আকারে রোদে শুকিয়ে তৈরি করা হতো ঘুঁটে, যার স্থানীয় নাম 'ঘষি'। জ্বালানি হিসেবে ঘুঁটের প্রচলন কমে যাওয়ায় বাথানে গোবরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব হচ্ছে না। 

খামারি নজরুল ইসলাম জানান, 'এখন গোবর আর বাথানিদের আয়ের উৎস নেই। বাথানের গোবর পরিষ্কারের জন্য এখন খামারিদের আলাদা টাকা গুনতে হচ্ছে। মূলত, শিশুশ্রম কমে যাওয়ায় গোবর থেকে ঘষি উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। বাথান সংলগ্ন এলাকায় একটি বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট খামারিদের অন্যতম চাহিদায় পরিণত হয়েছে।'

গরুর দুধের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য অনেক অসাধু ব্যবসায়ী গো-খাদ্যে 'অক্সিটিন' নামক একটি কেমিক্যাল মেশায়। অক্সিটিন শরীরে গেলে গরু শরীরে দুধ ধরে রাখতে পারে না। দুধের পরিমাণ বাড়লেও গরুর শারীরিক হরমোনাল ক্রিয়া বিঘ্নিত হয়। গর্ভের বাছুরের মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। 

বাথানভূমি নিচু এলাকায় হওয়ায় এবং বর্ষার পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না থাকায় বছরের প্রায় ৫ মাসের বেশি সময় এটি পানির নিচে থাকে। মিল্কভিটার সাবেক চেয়ারম্যান হাসিব খান তরুণ বলেন, 'বাথান ল্যান্ডের সুরক্ষায় সরকার প্রতিবছর ১.৫-২ কোটি টাকা ব্যয় করে বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত করে। একটি স্থায়ী বাঁধ বা পাম্পহাউস নির্মিত হলে বাথান ল্যান্ডকে অপরিমেয় মাত্রায় প্লাবিত হওয়া থেকে বাঁচানো যাবে।'

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাহজাদপুর পওর শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, 'এ বছরের জানুয়ারিতেই সরকার রাউতরা এলাকায় বেড়িবাঁধের টেন্ডার ওপেন করবে। ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু হবে। মোটামুটি ২-৩ মাসের ভেতর প্রজেক্ট কমপ্লিট হবে আশা করি।'

Related Topics

টপ নিউজ

বাথান / ফিচার

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালালকে পুলিশে সোপর্দ, হল থেকে বহিষ্কার
  • ৯৬ ভারী-ট্রাক দিয়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতুর ভার বহনের সক্ষমতা পরীক্ষা করল চীন, ‘নিরাপদ’ ঘোষণা
  • সরকারের গঠিত কমিটি প্রত্যাখ্যান, নতুন করে ৫ দফা ঘোষণা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের
  • প্রতিবেশী দেশের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অবস্থান দেখে সমস্যা সমাধান করা হবে: ফাওজুল কবির খান
  • আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে দুই উপদেষ্টা
  • যে দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা

Related News

  • উশুতে মেডেল পেলে চাকরি মিলবে, তাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সান্ত্বনারা
  • নুসরাত, সুমাইয়ারা ছিল কোচিং ক্লাস শুরুর অপেক্ষায়...
  • ২০ বছর ধরে কালু মিয়ার কালাভুনায় মজে আছে সিনেপাড়া
  • বাটি ছাঁট থেকে রোনাল্ডো কাট: সেলুনগুলো যেভাবে বদলে যাচ্ছে জেন্টস পারলারে
  • ঈদের সাজগোজ থেকে খাবার; আগের রাতে মায়ের জাদুতেই ঈদ আনন্দ পায় পূর্ণতা

Most Read

1
বাংলাদেশ

রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালালকে পুলিশে সোপর্দ, হল থেকে বহিষ্কার

2
আন্তর্জাতিক

৯৬ ভারী-ট্রাক দিয়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতুর ভার বহনের সক্ষমতা পরীক্ষা করল চীন, ‘নিরাপদ’ ঘোষণা

3
বাংলাদেশ

সরকারের গঠিত কমিটি প্রত্যাখ্যান, নতুন করে ৫ দফা ঘোষণা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের

4
বাংলাদেশ

প্রতিবেশী দেশের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অবস্থান দেখে সমস্যা সমাধান করা হবে: ফাওজুল কবির খান

5
বাংলাদেশ

আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে দুই উপদেষ্টা

6
বাংলাদেশ

যে দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা

The Business Standard
Top

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net

Copyright © 2022 THE BUSINESS STANDARD All rights reserved. Technical Partner: RSI Lab