Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Friday
October 10, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
FRIDAY, OCTOBER 10, 2025
বড় আবিষ্কারের জন্য ছোট জিনিস নিয়ে কাজ করেন তাহের এ সাইফ

ফিচার

মিরাজ হোসেন
16 February, 2024, 04:40 pm
Last modified: 26 April, 2024, 03:30 pm

Related News

  • বুয়েটের সনি হত্যা মামলার দণ্ডিত টগর অস্ত্র মামলায় আবার কারাগারে
  • বুয়েটের সনি হত্যাকাণ্ডের আসামি টগর রিভলবার-গুলিসহ গ্রেপ্তার
  • আহত বুয়েট শিক্ষার্থীকে দেখতে ঢাকা মেডিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধিদল
  • শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরার ছবি ‘এআইয়ে তৈরি’: ডিএমপির দাবি নাকচ ফটোগ্রাফারদের, মেটাডেটাও বলছে আসল
  • দাবি না মানা পর্যন্ত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, রাজপথে নামবে না শিক্ষার্থীরা

বড় আবিষ্কারের জন্য ছোট জিনিস নিয়ে কাজ করেন তাহের এ সাইফ

তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে অধ্যাপক সাইফ এ সম্মাননা পেলেন। তার আগে ১৯৭৩ সালে নির্মাণ প্রকৌশলের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব এবং একসময়ের সবচেয়ে উঁচু ভবন সিয়ার্স টাওয়ারের (বর্তমানে উইলিস টাওয়ার) স্বপ্নদ্রষ্টা ড. ফজলুর রহমান খানকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ২৮ বছর পরে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পথিকৃৎ ড. ফজলে হুসেইন এই সম্মানে ভূষিত হন, যার গবেষণা নাসা-তে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে।
মিরাজ হোসেন
16 February, 2024, 04:40 pm
Last modified: 26 April, 2024, 03:30 pm
স্কেচ, ইনফোগ্রাফ: টিবিএস

২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ঢাকায় ছুটি কাটাতে এসেছিলেন অধ্যাপক তাহের এ সাইফ। সেসময় তিনি বুয়েটের পুরানো সহকর্মী ও বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে এবং ক্যাম্পাসের ক্যান্টিনে চা খেয়ে সময় পাড় করছিলেন। তখনো তিনি ঘুণাক্ষরেও জানতেন না যে, প্রকৌশলীদের চির আরাধ্য একটি তালিকায় তার নাম উঠতে যাচ্ছে। 

১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের শ্যাম্পেইনে ফিরে তিনি স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে তার নিত্যনৈমিত্তিক জীবন শুরু করেন। 

এর মাসখানেক পরে তিনি খবর পান প্রকৌশলবিদ্যার সর্বোচ্চ পেশাদার সম্মান ন্যাশনাল একাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিং (এনএই)- এর ফেলো সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

ন্যাশনাল একাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিং একটি আমেরিকান অলাভজনক ও বেসরকারি সংস্থা। এটি দেশটির ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেডিসিন এবং জাতীয় গবেষণা কাউন্সিলের একটি অংশ।

অধ্যাপক তাহের বলেন, 'আমি প্রায় ৬৫ জন শিক্ষার্থী একটি ক্লাসে পড়াচ্ছিলাম। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন আমার সেলফোনে কল করেন। '

তিনি জানান, বেশ কয়েকবার রিং হওয়ার পর তার মনে হয় জরুরি কোনো কারণে হয়ত ডিন তাকে ফোন দিয়েছেন। এরপর তিনি ডিন রশিদ বশিরের ফোন রিসিভ করেন।

এরপর ডিন মোবাইলের স্পিকারে শিক্ষার্থীদের এই আনন্দের খবর জানান।

এরপর স্বাভাবিকভাবেই অধ্যাপক সাহেব তারব ক্লাসে পড়ান এবং যথাসময়ে তা শেষ করেন। (নোবেল জয়ের পর অ্যান ল'হুইলিয়ারের কথা মনে আছে? হ্যাঁ! ঠিক তেমনি)

ড. সাইফ উপাদান বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞানের বিস্তৃত অ্যাপ্লিকেশনগুলোর সঙ্গে ছোট পরিসরে পদার্থের যান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলো শনাক্ত করার অবদানের জন্য স্বীকৃতি পেয়েছেন।

আসুন আপনাকে বিষয়টি সহজ করে বুঝিয়ে দেই।

একটি ম্যাগনিফাইং গ্লাস কল্পনা করুন, যার মাধ্যমে আপনি যে কোনো জিনিসের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বৈশিষ্ট্য দেখতে পাবেন। যেমন: পাতার টেক্সচার বা প্রজাপতির ডানার প্যাটার্নটিও এর মাধ্যমে স্পষ্টভাবে দেখতে পাবেন।

ধরুন কেউ যদি এত শক্তিসম্পন্ন একটি ম্যাগনিফাইং গ্লাস তৈরি করে, যা দিয়ে বিভিন্ন উপাদানের ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর রহস্য উন্মোচন করা যায়। তাহলে কেমন হবে! 

ঠিক এই কাজটিই করেছেন অধ্যাপক সাইফ। কিন্তু পাতা বা প্রজাপতির ডানা নিয়ে ব্যস্ত না থেকে, তিনি ধাতু, প্লাস্টিক এমনকি কোষের মতো জৈবিক টিস্যুর বৈশিষ্ট্যগুলো পর্যবেক্ষণ করেছেন। 

আপনি জানেন কি, কিছু কিছু জিনিস বাইরে থেকে শক্ত মনে হলেও ভিতর থেকে তা দুর্বল বা ভঙ্গুর হতে পারে?

তাহের পদার্থের খুব ছোট্ট বিভিন্ন উপাদানের শক্তি ও আচরণ বোঝার উপায় বের করেছেন এবং যা আমরা কখনোই আমাদের খালি চোখে দেখে বুঝতে পারি না। 

এটি বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের শক্তিশালী বিমান ও গাড়ি তৈরি থেকে শুরু করে আমাদের দেহ সেলুলার স্তরে কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে সাহায্য করে। 

এই অধ্যাপক 'ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় উরবানা-শ্যাম্পেইন'- এ ১৫ বছর ধরে বায়ো হাইব্রিড রোবট নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং তিনি এখন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে 'এডওয়ার্ড উইলিয়াম অ্যান্ড জেন গাটগসেল অধ্যাপক' শীর্ষক মর্যাদায় আসীন।   

৬০ বছরের এই প্রকৌশলী ওই সদস্যত্ব পাওয়ার পর নিজের এই সাফল্যের জন্য শিক্ষার্থী ও পোস্টডকসহ যারা গত ২৫ বছর ধরে নিরলস কাজ করেছেন তাদের কৃতিত্বকেও স্মরণ করেন।  

বর্ণাঢ্য শিক্ষাজীবন

অধ্যাপক সাইফের বাবা একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন এবং কর্মসূত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে তাকে থাকতে হয়েছে। তাই অনেকটা 'দীপু নাম্বার টু'-এর মতোই তার প্রথম জীবন কেটেছে বিভিন্ন জেলায়।

এরপর তিনি ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং ১৯৭৯ সালে ঢাকা বোর্ডে চতুর্থ স্থান অধিকার করে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং তার মনকে টানছিল না। তিনি বরং গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে সাদা অ্যাপ্রন পরতে চেয়েছিলেন এবং ডাক্তার হিসেবে পরিচিত হতে চেয়েছিলেন। ১৯৯৩ সালে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাত্ত্বিক ও ফলিত বলবিদ্যায় পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।

১৯৮০ সালে বন্ধুদের সঙ্গে বুয়েটের প্রবেশিকা পরীক্ষা দেন, আর এরপরের জীবন তো বলা চলে ইতিহাস।

১৯৮৪ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অনার্স শেষ করেন তিনি। অনার্সে প্রথম স্থান অর্জনকারী অধ্যাপক সাইফ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স করার আগে বুয়েটে একই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পিএইচডি করার পরে তিনি ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টডক্টরাল সহযোগী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়ে গবেষণা করেন।

এরপরে তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে তার বর্তমান প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন এবং ২০০৬ সালে পূর্ণ অধ্যাপকের পদ অর্জন করেন।

কিন্তু বুয়েটের সময় থেকে তার জীবনে একটি বিষয় স্থির হয়ে যায়, তা হলো গবেষণার প্রতি তার উৎসর্গ।

২০১০ সালে তিনি ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এডওয়ার্ড উইলিয়াম অ্যান্ড জেন মার গুটসেল অধ্যাপক হিসেবে সম্মানিত হন।

এই বিশাল কাজের চাপের জন্য ড. সাইফকে প্রতিনিয়ত তার জীবনকে প্রাণবন্ত রাখতে হয়। আর এ জন্য তিনি বই পড়া, ভ্রমণ ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

তার স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী এবং সন্তানরা এই পুরো সফরে তার পাশে ছিলেন। তার দুই সন্তানই ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় অ্যাট আরবানা-শ্যাম্পেইন থেকে স্নাতক করেন। ছেলে অর্থনীতি ও গণিত নিয়ে পড়াশোনা করেছেন আর মেয়ে বেছে নেন জীববিজ্ঞান।

সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রেই তার অবদান রয়েছে

প্রকৌশলের এক ক্ষেত্র থেকে অন্য ক্ষেত্রে তার কর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, প্রকৌশলের এই ক্ষেত্রগুলোর কিছু সাধারণ মৌলিক নীতি ও গাণিতিক পদ্ধতি আছে। তাই, এটি আসলে একটি থেকে আরেকটিতে চলে যাওয়ার বিষয় নয়, বরং সবগুলো বিষয়ের সমন্বিত প্রয়োগ।

কোভিড-১৯ এর প্রথম দিকে তার ল্যাব কোভিড সংক্রমণ রোধে কাপড়ের তৈরি মাস্কের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা করে দেখেছে, কাপড়ের মাস্ক বেশ কার্যকর।

তিনি বলেন, 'আমি খুব ভয় পাচ্ছিলাম যে বাংলাদেশ এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে উচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে কোভিডে অনেকে মারা যেতে পারে।'

তিনি বলেন, 'আমি ও আমার দুই পিএইচডি শিক্ষার্থী, ওনুর আইডিন ও বাশার ইমন ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে প্রায়ই ডেটা সংকলন করতে এবং সরকারি সংস্থাকে সরবরাহ করতে প্রতিদিন ১৫ ঘণ্টা কাজ করেছি।'

এটি একটি ফলিত গবেষণা ছিল এবং ফলাফলগুলো একটি নামি জার্নালে প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে তিনি মনে করেন এটি সম্ভবত তার বৈজ্ঞানিক ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ।

সিডিসি (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন) কোভিডের প্রথম দিন থেকেই ড. সাইফ ও তার দলের কাজের কথা উল্লেখ করেছে।

এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষভাবে এই কাজের কথা স্মরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, 'কাপড়ের মাস্ক জীবন বাঁচায় কি না এবং যদি বাঁচেও তবে কতজন বাঁচল তা আমি কখনই জানতে পারব না। আমি শুধু জানি বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ আছে যারা অত্যাধুনিক মাস্ক পায়নি। তারা কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করে উপকৃত হতে পারবে।'

তিনি এখন কী করছেন?

তার কাজ সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা দেওয়ার জন্য ড. সাইফ জানান, তিনি টিউমারের মধ্যে ক্যান্সার কোষগুলো কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে তা জানার চেষ্টা করছেন। মূলত কেন এগুলো এত বিপজ্জনক হয়ে ওঠে তা খুঁজে বেরার চেষ্টা করছেন। এছাড়া, তিনি নিউরনের যান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলো (আমাদের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর কোষগুলো) কীভাবে তাদের আচরণ এবং বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে তা অধ্যয়ন করছেন।

তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে একটি হলো জৈবিক মেশিন তৈরি করা।

অধ্যাপক সাইফ বিশ্বাস করেন, নিউরনগুলো কীভাবে যান্ত্রিকভাবে কাজ করে তা বোঝা দীর্ঘমেয়াদে বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে। এটি মস্তিষ্ক সম্পর্কিত রোগ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে আমাদের চিন্তাভাবনায় বিপ্লব ঘটাতে পারে।

বর্তমানে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নিয়মিত শরীরচর্চার প্রভাব নিয়ে কাজ করছেন তিনি।

বিশ্বব্যাপী মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে। বাংলাদেশে তা ৪২ বছর (১৯৬০ সালে) থেকে বেড়ে ৭৪ বছরে (২০২০ সালে) পৌঁছেছে । 

যদিও দীর্ঘ জীবন একটি আশীর্বাদ, তবে বার্ধক্যের ফলে প্রায়ই মানসিক কর্মক্ষমতা ও স্নায়বিক রোগের শিকার হতে হয়। যেমন: ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমার রোগ (এডি)।

শরীর চর্চা সবার শারীরিক ও মানসিক উন্নতি করতে এবং এডি ও ডিমেনশিয়া থেকে বাঁচতে সহায়তা করে। কিন্তু এটি 'কীভাবে' কাজ করে তা এখনও অজানা।

তিনি ব্যায়াম-মস্তিষ্কের সম্পর্কের বায়োফিজিক্স বুঝতে চান।

ড. সাইফ জোর দিয়ে বলেন, গবেষণাটি ডিমেনশিয়া, ডিপ্রেশন ও আলঝেইমার রোগসহ স্নায়বিক রোগের বিরুদ্ধে অভিনব ব্যায়াম-ভিত্তিক থেরাপির সন্ধান দিতে পারে।

গবেষণার এই দুটি ক্ষেত্রে তার কয়েকটি বৈজ্ঞানিক অনুমান রয়েছে এবং এই অনুমানগুলোর পরীক্ষা সম্পূর্ণ করতে চান তিনি।

তিনি বিশ্বাস করেন, পরীক্ষায় অনুমানগুলো সঠিক বা ভুল প্রমাণ হোক না কেন, গবেষণাটি এসব ক্ষেত্রে অনেক উত্তরহীন প্রশ্নের উপর নতুন করে আলো ফেলবে।'

ক্ষুদ্র কিন্তু আকর্ষণীয় জিনিস নিয়ে কাজ করা

অধ্যাপক সাইফের গবেষণার আগ্রহের মধ্যে রয়েছে সত্যিকারের ক্ষুদ্র উপাদান পর্যবেক্ষণ করা, যেমন: মাইক্রো ইলেকট্রনিক্সে ব্যবহৃত উপাদানগুলো; যা আধুনিক গ্যাজেটগুলোর ভিত্তি।

তিনি বুঝতে চান আমরা যখন এই উপাদানগুলো এত ছোট স্কেলে পরীক্ষা করি তখন কীভাবে আচরণ করে।

তাই, এটি করার জন্য তিনি তার ল্যাবে অনেক যন্ত্রপাতি তৈরি করেছেন। তার কাছে যা সবচেয়ে চমকপ্রদ লেগেছে তা হলো নির্দিষ্ট ধাতুর তৈরি ক্ষুদ্র অংশ বাঁকানো হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা নিজে নিজেই আগের অবস্থায় ফিরে আসে।

ভাবুন তো, এই ধরনের ধাতু দিয়ে তৈরি একটা পেপারক্লিপ যদি বেঁকে যাওয়ার পর নিজে নিজেই সোজা হয়ে যেতে পারত! এই আবিষ্কারটি আমাদের জানাশোনা জগৎ অনেকটাই বদলে দিয়েছে। এই জ্ঞান কাজে লাগিয়ে গাড়ির বাম্পারের মতো জিনিস তৈরি করা যায়, যা ডেন্টেড হওয়ার পরে নিজেই ঠিক হয়ে যায়।

এই কাজগুলো ইতোমধ্যে তাকে তার কাজের জগতে তারকার মর্যাদা দিয়েছে, ন্যাশনাল একাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বীকৃতি বিষয়টিকে আরও পোক্ত করেছে।

যেহেতু প্রকৌশলের জন্য বিশেষ কোনো নোবেল পুরস্কার নেই, তাই এটিকেই সারা বিশ্বে ইঞ্জিনিয়ারিং এর নোবেল ধরা হয়। অনেক ইঞ্জিনিয়ারের ভাগ্যে চির আরাধ্য এই সম্মান জোটে না।

তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে অধ্যাপক সাইফ এ সম্মাননা পেলেন। তার আগে ১৯৭৩ সালে নির্মাণ প্রকৌশলের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব এবং একসময়ের সবচেয়ে উঁচু ভবন সিয়ার্স টাওয়ারের (বর্তমানে উইলিস টাওয়ার) স্বপ্নদ্রষ্টা ড. ফজলুর রহমান খানকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়।

তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ২৮ বছর পরে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পথিকৃৎ ড. ফজলে হুসেইন এই সম্মানে ভূষিত হন। ড. ফজলে হুসেইনের গবেষণা নাসা-তে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে।

আর এর ২৩ বছর পর আরও এক বাংলাদেশি এই গৌরব অর্জন করলেন।

তবে এখনই থামছেন না তিনি।

তিনি বলেন, 'আমি প্রকৌশলের দৃষ্টিকোণ থেকে স্নায়ুবিজ্ঞান ও ক্যান্সার সম্পর্কে আমার গবেষণা চালিয়ে যাব।'

 


ভাবানুবাদ: তাবাসসুম সুইটি

Related Topics

টপ নিউজ

তাহের এ সাইফ / ন্যাশনাল একাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিং / বুয়েট

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • পাঁচ ইসলামী ব্যাংক একীভূত নিয়ে প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
    পাঁচ ইসলামী ব্যাংক একীভূত নিয়ে প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
  • সরাইল-বিশ্বরোড মোড়ে প্রকল্পের অস্থায়ী কার্যালয়। ছবি: টিবিএস
    ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক: উপদেষ্টার নির্দেশনার পরদিনই তালাবদ্ধ অফিস, সরাইল-বিশ্বরোডে ১২ কর্মকর্তার কেউ নেই
  • ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স চায় বাংলালিংক
    ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স চায় বাংলালিংক
  • প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত
    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সব মামলা বাতিল; সাজাপ্রাপ্ত ও অভিযুক্তরা খালাস
  • রসায়নে নোবেল জয়ী ওমর ইয়াঘি। ছবি: সংগৃহীত
    ফিলিস্তিনি শরণার্থী থেকে রসায়নে নোবেল জয়ী কে এই ওমর ইয়াঘি
  • ছবি: টিবিএস
    গভর্নরের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠক: সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে আনার দাবি

Related News

  • বুয়েটের সনি হত্যা মামলার দণ্ডিত টগর অস্ত্র মামলায় আবার কারাগারে
  • বুয়েটের সনি হত্যাকাণ্ডের আসামি টগর রিভলবার-গুলিসহ গ্রেপ্তার
  • আহত বুয়েট শিক্ষার্থীকে দেখতে ঢাকা মেডিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধিদল
  • শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরার ছবি ‘এআইয়ে তৈরি’: ডিএমপির দাবি নাকচ ফটোগ্রাফারদের, মেটাডেটাও বলছে আসল
  • দাবি না মানা পর্যন্ত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, রাজপথে নামবে না শিক্ষার্থীরা

Most Read

1
পাঁচ ইসলামী ব্যাংক একীভূত নিয়ে প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
অর্থনীতি

পাঁচ ইসলামী ব্যাংক একীভূত নিয়ে প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন

2
সরাইল-বিশ্বরোড মোড়ে প্রকল্পের অস্থায়ী কার্যালয়। ছবি: টিবিএস
বাংলাদেশ

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক: উপদেষ্টার নির্দেশনার পরদিনই তালাবদ্ধ অফিস, সরাইল-বিশ্বরোডে ১২ কর্মকর্তার কেউ নেই

3
ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স চায় বাংলালিংক
অর্থনীতি

ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স চায় বাংলালিংক

4
প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সব মামলা বাতিল; সাজাপ্রাপ্ত ও অভিযুক্তরা খালাস

5
রসায়নে নোবেল জয়ী ওমর ইয়াঘি। ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনি শরণার্থী থেকে রসায়নে নোবেল জয়ী কে এই ওমর ইয়াঘি

6
ছবি: টিবিএস
বাংলাদেশ

গভর্নরের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠক: সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে আনার দাবি

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net