Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Thursday
June 12, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
THURSDAY, JUNE 12, 2025
আকাশ নিয়েই কাটল ৩৪ বছর

ফিচার

মাহবুব চোকদার
17 September, 2022, 01:35 pm
Last modified: 17 September, 2022, 02:13 pm

Related News

  • মহাকাশে বিশ্বের প্রথম সুপারকম্পিউটার গড়তে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করলো চীন
  • ২৫ এপ্রিল চাঁদের সঙ্গে মিলে শুক্র ও শনি গ্রহ আকাশে তৈরি করবে বিরল ‘হাসিমুখ’
  • দূরের গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার 'এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ' পেলেন বিজ্ঞানীরা
  • মহাকাশে ঘুরে এলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি! ১১ মিনিটের সফরের খরচ কত?
  • ‘পৃথিবী খুবই শান্ত দেখাচ্ছিল’: মহাকাশ ভ্রমণের পর ফিরলেন মার্কিন পপতারকা কেটি পেরিসহ ৬ নারী

আকাশ নিয়েই কাটল ৩৪ বছর

আটাশি-উননব্বই সালে অ্যাস্ট্রনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা নিয়মিতভাবে বিজ্ঞান জাদুঘরে গিয়ে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করতেন। পল্টনে ছিল ইউসিসের (ইউনাইটেড স্টেটস ইমিগ্রেশন সার্ভিস) অফিস। তারা মহাকাশ বিষয়ক ছবি ও খবর সরবরাহ করত যেগুলোর মধ্যে বাংলায় ডাবিং করা মুন ল্যান্ডিং নামের তথ্যচিত্রও ছিল।
মাহবুব চোকদার
17 September, 2022, 01:35 pm
Last modified: 17 September, 2022, 02:13 pm
মহাকাশ বিষয়ক সেমিনার/ ছবি- বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রনমিকাল অ্যাসোসিয়েশনের সৌজন্যে

সাত দিন হলো সোহাগী পৃথিবী ছেড়ে এসেছে। এর মধ্যেই প্রোটিন ট্যাবলেট চিবুতে চিবুতে তার পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে। স্পেস স্টেশনে উড়ে উড়ে হেঁটে বেড়াতেও বিরক্ত লাগছে, ঘণ্টাখানেক যে জমিয়ে বসে তাস খেলবে তার সুযোগও নেই। চট্টগ্রামের বাঁশখালির মেয়েটা মহাশূণ্যে এসে বিপদেই পড়ে গেছে। এখন ট্যাংরা মাছের পাতলা ঝোল দিয়ে দুই গামলা ভাত কাঁচা মরিচ দিয়ে ডলে খেতে পারলে বেশ হতো। মায়ের মুখটাও মনে পড়ছে ক্ষণে ক্ষণে। খেলাধূলায় সে বরাবরই ভালো ছিল, ১০০ আর ২০০ মিটার দৌড়ে সবসময়ই প্রথম হয়েছে। অংকের মাথা ভালো ছিল বলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অংক নিয়েই স্নাতক পড়েছে।

স্নাতকোত্তর শেষ করে একটু জিরিয়ে নেবে ভাবছিল আর তখনই কি না বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিযোগিতাটা শুরু হলো। বিজ্ঞানে পড়াশোনা করা ২২ থেকে ৩৫ বছর বয়সী যে কারুর এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল। প্রাক নির্বাচনীতে সোহাগী এগিয়ে ছিল আর চূড়ান্ত নির্বাচনীতেও বেগ পেতে হয়নি। অংকে মাথাটা ভালো আর শারীরিকভাবেও সে শক্তপোক্ত। তারপর অনেকগুলো প্রশিক্ষণ নিয়ে শেষে মহাকাশ স্টেশনে এসে পৌঁছাতে পেরেছে। বাংলাদেশ থেকে সোহাগীর আগে কেউ কখনো মহাশূণ্যে আসেনি। তাই এর মধ্য দিয়ে সোহাগী ইতিহাসের পাতায় নাম তুলে ফেলেছে কিন্তু এটা বড় কথা নয়, সোহাগীর কাছে বড় কথা মহাশূণ্যে নাম লেখাতে পারল গরীব মানুষে ভরা দেশটা।

গল্পটা সত্য হোক!

ছবি- বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রনমিকাল অ্যাসোসিয়েশনের সৌজন্যে

ওপরের গল্পটা ২০২৫ সালে সত্য করতে চাইছে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। প্রতিষ্ঠানটির জন্ম ১৯৮৮ সালে। মশহুরুল আমিন যার ডাক নাম মিলন স্কুলের ওপরের দিকের ছাত্র। থাকেন কলাবাগান সরকারি কলোনীতে। বন্ধুরা মিলে আগে থেকেই সাহিত্য সংস্কৃতির সংগঠন করেন। এর মধ্যে ১৯৮৬ সালে হ্যালির ধুমকেতু পৃথিবী থেকে দেখা যাওয়ার কথা পৃথিবীজুড়ে চাউড় হয় আর মিলনও সে ঘটনার সাক্ষী হতে চাইলেন।

তখন বিজ্ঞান জাদুঘরেই ভালোমানের টেলিস্কোপ ছিল। মিলন গেলেন জাদুঘরে, দেখলেন হ্যালির ধুমকেতু। পরের বছর জাদুঘরের তরফ থেকে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ বিষয়ে একটি কর্মশালা আয়োজিত হয়। সেখানে মিলনের মহাকাশ বিজ্ঞানে আগ্রহী আরো অনেকের সঙ্গে পরিচয় হয়। একদিন সকলে মিলে ভাবলেন একটি অ্যাস্ট্রনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন করলে কেমন হয়। সেটা ভাবতে ভাবতেই একটি পত্রিকা প্রকাশের কথাও ভাবলেন। যে সাহিত্য পত্রিকা আগে থেকে করতেন তা থেকে ১৮০০০ টাকা বেচে গিয়েছিল। সে টাকা দিয়ে ৩০০০ কপি মহাকাশ বার্তা বের করলেন। তার মধ্য থেকে কিছু কপি বগলদাবা করে কয়েকজন বন্ধু মিলে চট্টগ্রামের ট্রেনে উঠে বসলেন।

ছবি- বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রনমিকাল অ্যাসোসিয়েশনের সৌজন্যে

প্রচারণা চালিয়ে ট্রেনেই ৮২টি কপি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। তখন মহাকাশ বার্তার দাম ছিল ৫ টাকা। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে গণিত বিভাগের এক অধ্যাপকের সঙ্গে দেখা করলেন। অধ্যাপক বললেন, 'আমাদের এখানে একজন অ্যাস্ট্রনমার আছেন, নাম জামাল নজরুল ইসলাম, অক্সফোর্ডে রজার পেনরোজ, স্টিফেন হকিংয়ের সতীর্থ।' সেদিন অবশ্য নজরুল ইসলাম স্যারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়নি। পরের দিন দেখা হওয়ার পর থেকে নজরুল স্যার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন।

মোজ্জাম্মেল হকের চোখ ছোট হয়ে গিয়েছিল

আটাশি-উননব্বই সালে অ্যাস্ট্রনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা নিয়মিতভাবে বিজ্ঞান জাদুঘরে গিয়ে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করতেন। পল্টনে ছিল ইউসিসের (ইউনাইটেড স্টেটস ইমিগ্রেশন সার্ভিস) অফিস। তারা মহাকাশ বিষয়ক ছবি ও খবর সরবরাহ করত যেগুলোর মধ্যে বাংলায় ডাবিং করা মুন ল্যান্ডিং নামের তথ্যচিত্রও ছিল। অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা সাপ্তাহিক বা পাক্ষিক বৈঠকে সেগুলো দেখতেন আর আলাপ আলোচনা করতেন। ক্রমে ক্রমে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে থাকেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক আলী আজগর প্রমুখ।

নব্বই সাল থেকে অ্যাসোসিয়েশন মহাকাশ বিজ্ঞান পদক প্রদান অনুষ্ঠান চালু করে। প্রথম এ পদক দেওয়া হয়েছিল মোহাম্মদ আবদুল জব্বারকে। তাঁকে দেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার জনক বলা যেতে পারে। পদকের নাম রাখা হয়েছিল ইতালিয় দার্শনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী জিওর্দানো ব্রুনোর (১৫৪৮-১৬০০ খ্রি.) নামে। তিনি প্রচার করেছিলেন কোপার্নিকাসের মতবাদ, সূর্য নয়, পৃথিবীই সূর্যের চারিদিক দিয়ে প্রদক্ষিণ করে। তখনকার ক্যাথলিক বিশ্বাস ব্রুনোর মতবাদকে ধর্মবিরোধী ভেবেছিল। তাকে রোমের ক্যাসেল সেন্ট অ্যাঞ্জেলোতে ৮ বছর বন্দি রাখা হয়। কিন্তু তিনি ধর্মান্ধদের কাছে মাথা নত করেননি, পরে রোমান চার্চ তাকে পুড়িয়ে হত্যা করে। সেই ব্রুনোকে শ্রদ্ধা জানিয়েই অ্যাসোসিয়েশন পদক দেওয়া শুরু করে।

শিশুদের জন্য ল্যাব/ ছবি- বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রনমিকাল অ্যাসোসিয়েশনের সৌজন্যে

দ্বিতীয়বার এ পদক লাভ করেন ড. এ আর খান, তৃতীয়বার পেয়েছেন অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, চতুর্থবার পেয়েছেন মোজাম্মেল হক। শেষোক্তজন ছিলেন জ্যোতির্বিদ্যা চর্চায় নিবেদিতপ্রাণ এক মানুষ। তিনি ছিলেন অনেকটা ব্রিটিশ অ্যাস্ট্রনমার প্যাট্টিক মুরের মতো। টেলিস্কোপে চোখ রাখতে রাখতে মুরের এক চোখ ছোট হয়ে গিয়েছিল, মোজাম্মেল হক সাহেবেরও তেমনটা ঘটেছিল, ছোট হয়ে গিয়েছিল এক চোখ। পঞ্চমবার ব্রুনো পদক পেয়েছিলেন গাণিতিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী আবু সালেহ মোহাম্মদ নূরুজ্জামান।

এর মধ্যে '৯২ সালে বিসিএসআইআরের ব্যান্ডডক মিলনায়তনে অ্যাসোসিয়েশন একটি কর্মশালা আয়োজন করে। সে থেকে এ পর্যন্ত ত্রিশটি কর্মশালা আয়োজন করেছে অ্যাস্ট্রনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। এসব কর্মশালা রুশ দূতাবাস, ফরাসী দূতাবাসের সঙ্গেও যৌথভাবে আয়োজিত হয়েছে।

'৯৩ সালে স্যার মারা গেলে তাঁর 'তারা-পরিচিতি' বইটি প্রকাশের অনুমতি অ্যাস্ট্রনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনকে দিয়ে যায়। মিলন ও সঙ্গীরা হিসাব করে দেখলেন ৮০ হাজার টাকা খরচ হবে। জব্বার সাহেবের পরিবার সম পরিমাণ অর্থ জোগাড় করে দিতে উৎসাহ দেখালেন। সেমতো ডানকান ব্রাদার্স ১০ হাজার টাকার একটি মৌখিক চুক্তি করল কিন্তু মজার ব্যাপার ঘটল চেক আনতে যাওয়ার সময়। ডানকানের প্রধান নির্বাহী বইটি দেখে খুশি হয়ে ১ লক্ষ টাকার বিয়ারার চেক দিয়ে দিলেন। পরের বছর জুলাইয়ে ছিল মুন ল্যান্ডিংয়ের ২৫ বছর। সারা মাস জুড়ে আমেরিকান তথ্য কেন্দ্র (ইউসিস), ভিকারুন্নিসা স্কুল, ব্যান্সডক ও বিজ্ঞান জাদুঘরে কার্যক্রম পরিচালনা করল অ্যাসোসিয়েশন।

ছবি- বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রনমিকাল অ্যাসোসিয়েশনের সৌজন্যে

শতাব্দীর শেষ সূর্যগ্রহণ

সেটা ১৯৯৫ সাল। সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্ট গিয়ে অ্যাসোসিয়েশন সদস্যরা শতাব্দীর শেষ পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখার আয়োজন করল। একটা বড়সড় জাহাজে সাংবাদিক, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ ২০০ জনের দল যাত্রা করল। পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা শেষ করে সাংবাদিকরা খুলনা এসে ঢাকায় ছবি ও প্রতিবেদন পাঠাল। প্রায় সকল পত্রিকায় ফ্রন্ট পেজ নিউজ ছাপা হলে সংগঠনের নাম ছড়িয়ে পড়ল। সাহসী হয়ে উঠল অ্যাসোসিয়েশন।

ছিয়ানব্বই সালে স্পেসফেস্ট আয়োজনের ঘোষণা দিল। বুয়েট মাঠ নির্ধারিত হলো উৎসব স্থল হিসেবে। বাজেট ধরা হলো সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা। ছিয়ানব্বইয়ের ডিসেম্বর মাসে প্রায় ত্রিশটি স্টল বসেছিল সেবার। পরিকল্পনা ছিল অংশগ্রহণকারী প্রকল্পগুলো নিয়ে একটি জাদুঘর করার। বেলুন থেকে বিমান, নক্ষত্রের বিবর্তন, বিভিন্ন ধরনের টেলিস্কোপ, রেডিও টেলিস্কোপ ইত্যাদি সব প্রকল্প নিয়ে অংশগ্রহণ করেছিল নটরডেম কলেজ, সেন্ট গ্রেগরি স্কুল, ভিকারুন্নিসা স্কুল।

ধোলাইখাল প্রযুক্তি ব্যবহার করেই বেশিরভাগ প্রকল্প তৈরি করা হয়েছিল। উৎসব আয়োজনের প্রায় সব টাকাই বেক্সিমকো সরবরাহ করে। আরো দু চারটি প্রতিষ্ঠানও আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল। খরচ সব বাদ দিয়েও বেশ কিছু টাকা বেচে যায় সেবার। এ টাকা দিয়ে একটি প্ল্যানেটেরিয়াম করার পরিকল্পনা করে অ্যাসোসিয়েশন। এর মধ্যে মিলনরা একটি টেলিস্কোপ উপহার পেয়েছে। সেটির ডায়া (প্রস্থ) ছিল আড়াই ইঞ্চি। অভিনেত্রী সারা জাকেরের বোন সাজেদা আমিন টেলিস্কোপটি নিঃশর্তভাবে দিয়ে দিয়েছিলেন অ্যাসোসিয়েশনকে।

ছবি- বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রনমিকাল অ্যাসোসিয়েশনের সৌজন্যে

ধোলাইখাল প্রযুক্তিতে প্ল্যানেটেরিয়াম

প্ল্যানেটেরিয়ামেই সব টাকা খরচ হবে-সিদ্ধান্ত হলো। একটা ডোম তৈরি করে মেকানিক্যাল প্রজেক্টর দিয়ে গ্রহ নক্ষত্র পর্দায় পরিস্ফুটন করা হবে। ধারে কাছে ভারত ছিল যোগাযোগের ভালো জায়গা। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেল। তবে সমস্যা ঘনাল অন্যদিক থেকে। ভারত এ ব্যাপারে যাবতীয় কারিগরী পরামর্শ ও যন্ত্রপাতি পেয়েছে আমেরিকা থেকে। এগুলো তারা ভারতের যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারবে কিন্তু ভারতের বাইরে কোথাও রপ্তানি করতে পারবে না।

শুনে মিলনদের মাথায় হাত। অবশেষে সাহস করলেন আজাদ রহমান। তিনি বললেন, মিলন ভাই আমি একটা নকশা করেছি। আপনারা কিছু টাকা বরাদ্দ করুন, চেষ্টা করে দেখা যাক। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হলো। সুকল্যাণ বাছারকে সঙ্গে নিয়ে আজাদ প্ল্যানেটেরিয়াম বানাতে লেগে গেলেন। ৭-৮ মাস উদয়াস্ত পরিশ্রম করে আজাদ, সুকল্যাণ এবং উৎসাহী আর সকলে মিলে প্লানেটোরিয়াম বানিয়ে বুয়েটের অডিটোরিয়ামে বসিয়েও দিলেন। পুরোটাই তৈরি হলো ধোলাইখাল প্রযুক্তিতে।

দিন কয়েকের মধ্যেই সরকারের দপ্তর থেকে লোক এলো। বললো, প্লানেটেরিয়ামটা কিনতে চাই আমরা। তারা অল্প কিছু টাকা বেশি দিয়ে সেটা কিনে নিয়ে গিয়ে বসালো সাভারের পিএটিসিতে। সেখানে জ্যোতির্বিজ্ঞান পাঠক্রমেও অন্তর্ভুক্ত করা হলো। অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা বা সদস্যরা সেখানে ক্লাস নিতে যেত।

ছবি- বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রনমিকাল অ্যাসোসিয়েশনের সৌজন্যে

নিরানব্বই সালে আবার আয়োজিত হয়েছিল স্পেসফেস্ট, জামিলুর রেজা চৌধুরী এ আয়োজনে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। তার আগে অবশ্য '৯৭ সালে হেলবপ ধুমকেতু দেখাতে ১৬টি জেলা শহরে সফর করেছিল অ্যাসোসিয়েশন। আটানব্বই সালে অ্যাস্ট্রনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনকে নভোথিয়েটারের উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়।

২০০১ সালে সহস্রাব্দের প্রথম সূর্যোদয় দেখার আয়োজন করে অ্যাস্ট্রনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। দেশের সর্বদক্ষিণ প্রান্ত সেন্ট মার্টিনসের ছেড়া দ্বীপ সূর্যোদয় দেখার স্থান নির্ধারিত হয়। তারপর থেকে প্রতিবছরই সুন্দরবন, বান্দরবান, ভোলা, ঠাকুরগাঁও বা দেশের অন্য কোথাও বছরের প্রথম দিনে সূর্য উৎসবের আয়োজন করে অ্যাস্ট্রনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।

২০০৭ সাল থেকে অ্যাসোসিয়েশন আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রনমি অলিম্পিয়াডে অংশ নিচ্ছে। ২০১৮ সালে শ্রীলংকা থেকে ব্রোঞ্জ পদকও জিতে এনেছে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীরা। এ আয়োজনের এশিয়া প্যাসিফিক অংশের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ দুবার ২০১২ ও ২০১৫ সালে।

ছবি- বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রনমিকাল অ্যাসোসিয়েশনের সৌজন্যে

কিছু দুঃখ

আগের মতো সংগঠন সংস্কৃতি আর নেই দেশে। নেই মাহবুব জামিল, সাফাত আহমেদ চৌধুরী বা গ্রাফোসম্যানের মোশাররফ হোসেনের মতো পৃষ্ঠপোষকও। মহাকাশ বার্তার মাসিক নিবন্ধন থাকলেও ৩৪ বছরে বেড়িয়েছে মাত্রই ৫৮টি সংখ্যা।

একটি সংখ্যা বের করতে আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়। মূলত সদস্য শুভানুধ্যায়ীরাই এ টাকা পকেট থেকে দিয়ে থাকেন। এর মধ্যেও অ্যাসোসিয়েশন আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে স্পেস ফেস্ট আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহাকাশ স্টেশনে নভোচারী পাঠানোর কথা ঘোষণা করবে। তবে এজন্য সরকারকে এগিয়ে আসতেই হবে।

কিছু সুখ

মহাকাশ বার্তার দ্বিতীয় সংখ্যা থেকে একাধিক সংখ্যায় লিখে আসছেন জাহিদ হাসান তাপস। এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক। পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানীরাও বলে থাকেন। অ্যাস্ট্রনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন গর্বিত যে, তাপস তাদের সতীর্থ ও সহযাত্রী ছিল।

 

 

 

Related Topics

টপ নিউজ

মহাকাশ / মহাকাশ গবেষণা / মহাকাশ অভিযান

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পত্তি জব্দ করেছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি
  • ‘পুলিশ যেতে ভয় পেয়েছে’: মুজিবের বাড়ি ভাঙার সময় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্নে ইউনূস
  • দিল্লিতে দাবা টুর্নামেন্ট: রানী হামিদের সঙ্গীকে ঢুকতে দেয়নি ভারত, ঘটনায় ‘বিপর্যস্ত’ ৮০ বছর বয়সি এ দাবাড়ু
  • নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে স্টারমার সম্পর্কে প্রেস সচিবের বক্তব্য
  • পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের অংশ হওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই: ড. ইউনূস
  • মায়ের মৃত্যুতে প্যারোলে মুক্তি পেলেন সাংবাদিক দম্পতি ফারজানা রুপা-শাকিল আহমেদ

Related News

  • মহাকাশে বিশ্বের প্রথম সুপারকম্পিউটার গড়তে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করলো চীন
  • ২৫ এপ্রিল চাঁদের সঙ্গে মিলে শুক্র ও শনি গ্রহ আকাশে তৈরি করবে বিরল ‘হাসিমুখ’
  • দূরের গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার 'এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ' পেলেন বিজ্ঞানীরা
  • মহাকাশে ঘুরে এলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি! ১১ মিনিটের সফরের খরচ কত?
  • ‘পৃথিবী খুবই শান্ত দেখাচ্ছিল’: মহাকাশ ভ্রমণের পর ফিরলেন মার্কিন পপতারকা কেটি পেরিসহ ৬ নারী

Most Read

1
বাংলাদেশ

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পত্তি জব্দ করেছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি

2
বাংলাদেশ

‘পুলিশ যেতে ভয় পেয়েছে’: মুজিবের বাড়ি ভাঙার সময় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্নে ইউনূস

3
খেলা

দিল্লিতে দাবা টুর্নামেন্ট: রানী হামিদের সঙ্গীকে ঢুকতে দেয়নি ভারত, ঘটনায় ‘বিপর্যস্ত’ ৮০ বছর বয়সি এ দাবাড়ু

4
বাংলাদেশ

নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে স্টারমার সম্পর্কে প্রেস সচিবের বক্তব্য

5
বাংলাদেশ

পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের অংশ হওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই: ড. ইউনূস

6
বাংলাদেশ

মায়ের মৃত্যুতে প্যারোলে মুক্তি পেলেন সাংবাদিক দম্পতি ফারজানা রুপা-শাকিল আহমেদ

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net