Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Friday
September 26, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
FRIDAY, SEPTEMBER 26, 2025
গরমের দাহে আরাম মিলবে শীতলপাটির মাদুর ও জুতায়

ফিচার

শাবনুর আক্তার নীলা
30 July, 2022, 08:25 pm
Last modified: 30 July, 2022, 08:59 pm

Related News

  • ছাপ্পান্নটি গবেষণা কেন্দ্র! নিজের ‘কীর্তি’ নিয়ে দিশেহারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
  • মাস্ক কি সত্যিই একদিন ক্যান্ডি কোম্পানি খুলবেন?
  • উশুতে মেডেল পেলে চাকরি মিলবে, তাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সান্ত্বনারা
  • নুসরাত, সুমাইয়ারা ছিল কোচিং ক্লাস শুরুর অপেক্ষায়...
  • ২০ বছর ধরে কালু মিয়ার কালাভুনায় মজে আছে সিনেপাড়া

গরমের দাহে আরাম মিলবে শীতলপাটির মাদুর ও জুতায়

টেকসই ফ্যাশন সচেতন লোকজন শীতলপাটির তৈরি জিনিসকে এখন প্রয়োজনের চেয়ে বিলাস ও আয়েশের জন্যেই নিজেদের ঘরের সজ্জায় ঠাঁই দিচ্ছেন বেশি। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটিকে ভিন্ন ও নতুনভাবে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে কাজ শুরু করেছেন একজন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্রী।
শাবনুর আক্তার নীলা
30 July, 2022, 08:25 pm
Last modified: 30 July, 2022, 08:59 pm

ছবি: সংগৃহীত

প্রকৃতির নিয়মানুযায়ী শ্রাবণ মাসে আকাশে মেঘ ও বৃষ্টির যখন কাটাকাটি খেলা করার কথা, সে সময় অসহ্য তাপদাহে যেন সবার ছাতি পুড়ে খাঁ খাঁ অবস্থা। শহর-বন্দরে এয়ারকন্ডিশনার, এয়ারকুলারের ব্যবহার অহরহ চোখে পরলেও গ্রামবাংলার চিত্রটা ভিন্ন। এখানে গরমের তাপ থেকে মুক্তি ও একটু স্বস্তি পেতে উঠানে পাতা হয় শীতলপাটি। পরিবারের সদস্যরা মিলে গাছের নিচে বসে ঠাণ্ডা হাওয়া খাওয়ার পাশাপাশি চলে আড্ডা, পান খাওয়া ও বাড়ির মহিলাদের মিলে খোশ গল্পের সাথে কাঁথা সেলাই করা। বিদ্যুতের ব্যবহার এখন শহর থেকে পৌঁছে গিয়েছে মেঠোপথের গ্রামগুলোতে। তাই তো বাঙালির শত বছরের কুটির শিল্পের ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটির যে প্রতাপ একসময় ছিল, তা যেন এখন জৌলু্স হারানোর পথে। 

টেকসই ফ্যাশন সচেতন লোকজন শীতলপাটির তৈরি জিনিসকে এখন প্রয়োজনের চেয়ে বিলাস ও আয়েশের জন্যেই নিজেদের ঘরের সজ্জায় ঠাঁই দিচ্ছেন বেশি। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটিকে ভিন্ন ও নতুনভাবে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সুমা নন্দী নামের বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া এক ছাত্রী কাজ শুরু করেছেন অল্প কিছুদিন ধরে। তবে সুমা নন্দীর পরিবার দুই প্রজন্ম ধরে শীতলপাটি বুনন ও এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত। 

শীতলপাটি শিল্প বিলুপ্তির দিকে যেতে থাকলে এই ব্যবসায় দিনকে দিন ভাটা পড়তে শুরু করে। ফলে তা সুমার পরিবারের ওপর নানা বোঝা সৃষ্টি করতে থাকে। তাই বাবা-চাচার পাশে দাঁড়াতে সুমা নন্দী স্থির করলেন তিনি শীতলপাটিকে সবার কাছে নতুন করে তুলে ধরবেন এবং দেশের প্রতিটি কোনায় পৌঁছে দিবেন। বর্তমানে বেশিরভাগ ব্যবসা অনলাইনভিত্তিক হওয়ায় এবং এখানে মানুষের অংশগ্রহণ বেশি থাকায় তার শীতলপাটির বিক্রিবাট্টা যেমন লাভজনক হচ্ছে, তেমনি কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাওয়া এই ঐতিহ্যের সাথে মানুষের নতুন করে সখ্যতা গড়ে উঠছে। 

শীতলপাটি শিল্পের একাল-সেকাল

একবার ভ্যাপসা গরমে আতিথেয়তা রক্ষায় বিক্রমপুরের যশলং গ্রামে বিয়ের দাওয়াতে যেয়ে দেখেছিলাম বরের বাড়ি থেকে কনের সাজসজ্জার উপহারের সাথে এসেছে নকশা করা একটা পাটিও।

বিয়েতে পাটির কাজ কী, তার দেখা মিলল কিছুক্ষণ পরেই। হলুদ দেওয়ার জন্যে কনেকে বসানো হলো সেই পাটির ওপর। বাহারি নকশা ও রঙের শীতলপাটির প্রচলন এখনো গ্রামের বিয়েগুলোতে দেখা যায়। কিছু কিছু পরিবারের বয়স্ক সদস্যরা এখনও বিছানার ওপর শীতলপাটি বিছিয়ে ঘুমান গরমে আরাম পেতে ও বিছানা ঠাণ্ডা রাখতে। শীতলপাটি অন্যান্য যেকোনো পাটি থেকে অনেক মসৃণ ও নরম হওয়ায় এটি ব্যবহারে বেশ আরামদায়ক। 

সুমা নন্দী গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তবে তার পৈতৃক নিবাস টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায়। টাঙ্গাইল জেলার যেসব উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে শীতলপাটির উৎপাদন হয়, তার মধ্যে দেলদুয়ার উপজেলায় শীতলপাটির সাথে জড়িত সবচেয়ে বেশি পরিবারের বাস। এখানে কয়েক শতক ধরে বংশ পরম্পরায় চলে আসছে শীতলপাটি শিল্পের কাজ।

কিন্তু বর্তমানে চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং বুননের সাথে জড়িতদের ন্যায্য পারিশ্রমিকের অভাবে এই শিল্প যেন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম থেকেও। সুমা নন্দী ছোটবেলা থেকে পরিবারের সদস্য ও বাড়ির আশেপাশে প্রতিবেশীদের শীতলপাটি বুনতে দেখে বড় হয়েছেন। তাই শীতলপাটির সাথে তার গভীর টান ও হাজারো শৈশবের স্মৃতি জড়িত।

ছবি: সংগৃহীত

সুমা জানান, 'শীতলপাটির গাছ উৎপাদন থেকে বুনন সবকিছুই আমার পরিবারের সদস্যরা মিলে করে থাকেন। তারপর সেগুলো বিক্রির জন্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বাবা ও চাচার নিজস্ব দোকানে চলে যায়। কিন্তু বর্তমানে এই ব্যবসার হাল-হকিকত বেশ নাজুক অবস্থায় এসে ঠেকেছে। তাই তো পরিবারের সংকটের মুহূর্তে কীভাবে পাশে দাঁড়ানো যায় সে ভাবনা থেকে করোনাকালীন দীর্ঘ লকডাউনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলে আমি "ইউনিক ফ্যাশন" নামের একটি অনলাইন পেজ খুলে বসি। 

'প্রথমদিকে অনলাইন পেজটিতে শুধুমাত্র নারীদের থ্রিপিস, কামিজ, শাড়ি ও অন্যান্য কাপড় বিক্রি দিয়ে শুরু করি। প্রথমদিকে বিক্রি কম থাকলেও একসময় মাসে লক্ষাধিক টাকার কাপড়ও আমি বিক্রি করেছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় খুলে যাওয়ার পর ব্যবসার গতিতে মন্থরতা দেখা দেয় জামা-কাপড় সংগ্রহ করে তা গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া নিয়ে নানা ঝামেলায়। কেননা তখন আমাকে পড়াশোনার জন্যে গোপালগঞ্জে অবস্থান করতে হচ্ছিল।'

শীতলপাটির বিক্রি ও চাহিদা আগের মতো নেই, এ কথা প্রায়ই বাবার মুখে শুনে হতাশ হতেন সুমা। পারিবারিক ব্যবসার পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা থেকে তিনি শীতলপাটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু এবার আর দোকানে বা এলাকার আশেপাশে বাড়িতে গিয়ে নয়, তিনি এটিকে সবার কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে অনলাইন মাধ্যম কে বেছে নিলেন। তারপর নিজের অনলাইন পেজের নামের পাশে 'ইউনিক ফ্যাশন—শীতলপাটি' শব্দটি যোগ করে দিলেন। 

মাত্র দুমাস আগে শীতলপাটি নিয়ে পোস্ট করা শুরু করলে সুমা বেশ সাড়া পান ক্রেতাদের নিকট থেকে। তার বিক্রিত পণ্যের মধ্যে শীতলপাটির জুতা ইতিমধ্যে ক্রেতাদের মধ্যে বেশ আগ্রহ জাগিয়েছে ও সবার পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। শীতলপাটি যে কেবল একটি কাজে ব্যবহার করা যায়, এই ধারণা পাল্টে দিতে এবং এর নানাবিধ ব্যবহার বাড়াতে কাজ শুরু করেন সুমা।

তিনি বলেন, 'শীতলপাটি মূলত আদিকাল থেকে মাদুর ও বিছানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই এর বহুবিধ ব্যবহার বাড়াতে পারলে এই শিল্প ও এর সাথে জড়িত কারিগরদের বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আমাদের কয়েকজন আত্মীয়ের বাস। তারাও শীতলপাটি বুননের কাজ করে আসছে কয়েক প্রজন্ম ধরে।

'শীতলপাটির জুতা ভারতে বেশ জনপ্রিয়। গরমে পা ঠাণ্ডা রাখতে এই জুতোর জুড়ি মেলা ভার। সেখান থেকে জুতো বানানোর কৌশল শিখে আমি মাদুরের পাশাপাশি শীতলপাটির জুতো, ব্যাগ, নামাজের পাটি, টেবিল ম্যাট নিয়ে কাজ করা শুরু করলাম।'

শীতলপাটির প্রতিটি বুননে আছে শীতলতা

শীতলপাটির সাথে গ্রামবাংলা ও বাঙালির যেমন চিরচেনা ভাব বহুকাল ধরে চলে আসছে; তেমনি কবি-সাহিত্যকদের নান্দনিক ছন্দে, গীতিতে ও কবিতায় জড়িয়ে আছে শীতলপাটি নিয়ে নানা গল্প আখ্যান। 

আরণ্যক বসুর বিখ্যাত প্রেমের কবিতা 'মনে থাকবে'তে উল্লেখ রয়েছে এই শীতলপাটির কথা:

'পরের জন্মে বয়স যখন ষোলোই সঠিক

আমরা তখন প্রেমে পড়বো

মনে থাকবে?

বুকের মধ্যে মস্তো বড় ছাদ থাকবে

শীতলপাটি বিছিয়ে দেব;

সন্ধে হলে বসবো দুজন।'

ছবি: সংগৃহীত

কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত তাঁর 'খাঁটি সোনা' কবিতায় শীতলপাটিকে বাংলার মাটির সঙ্গে তুলনা করে লিখেছেন:

'চন্দনেরি গন্ধভরা,

শীতল করা, ক্লান্তি-হরা

যেখানে তার অঙ্গ রাখি

সেখানটিতেই শীতল পাটি।'

শীতলপাটির নকশা, আয়তন, বুনন ও বেতের ওপর নির্ভর করে দামের তারতম্য হয়। শীতলপাটিগুলো দেখতে যেমন সুন্দর হয়, তেমনি পাটিতে ব্যবহার করা নকশাগুলোর রয়েছে বাহারি সব নাম। 

নকশার মধ্যে আছে জামদানি নকশা, পুকুর নকশা, ঢেউ নকশা, যোগ নকশা, সাপা নকশা, তারা নকশা ইত্যাদি। আরও আছে টিক্কা, সিকি, আধুলি, নয়নতারা, আসমান, জ্যামিতিক নামের হরেক রকমের সব নকশা ও কারুকার্য। তবে অন্যান্য পাটি, যেমন নারিকেল পাতার পাটি, তাল পাতার পাটি থেকে শীতলপাতার পাটি অনেক নরম হয় ও ঠান্ডা আরাম দেয়। তাই তো গ্রামে একে প্রাকৃতিক এসি বলে মানা হয়।

সুমা ও তার আশেপাশের পরিবারে প্রতিদিন চলে শীতলপাটি বানানোর কাজ। সুমা জানান, 'পাটি বানানোর জন্যে কয়েকটি ধাপে কাজ সম্পন্ন করতে হয়। প্রথমে চাষ করা  বেত গাছগুলো কেটে এনে সেগুলোকে ৩ ভাগে ফালি করে কাটা হয়। বেতের ভেতরের দিকের অংশ চিরে ফেলে দেওয়ার পর বাইরের সবুজ অংশকে ফালি করে কেটে নেওয়া হয়। তারপর ভাতের মাড় দিয়ে সেগুলোকে সিদ্ধ করে, কড়া রোদে শুকিয়ে নেওয়া হয়। 

'৩-৪ দিন পর শুকনো ফালিগুলো পাটি বুননের জন্যে উপযুক্ত হয়। ভাতের মাড়ে সিদ্ধ করার ফলে শীতলপাটি সাদা হয়, আরও নরম, মসৃণ হয়। নকশার জন্যে পাটিকে রঙিন করে তুলতে মাড়ের সাথে নানারকম রঙ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ডালপালা থেকে পাটি তৈরির জন্যে ভাতের মাড়ে সিদ্ধ করার দরকার পড়ে না। ডালের তৈরি পাটি সাধারণত কিছুটা শক্ত হয় এবং লাল বর্ণের হয়ে থাকে। শীতলপাটির সকল কাজ হাতে করা হয়, তাই এটি তৈরিতে বেশ শ্রম ও সময়ের প্রয়োজন হয়।'

সুমা নন্দী ৫-৬ ফিটের একেকটি শীতলপাটির দাম রাখেন ১২০০ টাকা। তবে পাটির আয়তন, কাস্টমাইজ করা নকশা ও পাটিতে তোলা ফুলের জন্যে দামের ক্ষেত্রে কিছুটা তারতম্য ঘটতে পারে বলে তিনি জানান। আর শীতলপাটির প্রতি জোড়া জুতোর জন্যে নির্ধারিত দাম হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। 

আমাদের দেশে চামড়ার জুতোর ব্যবহার অহরহ চোখে পড়লেও, শীতলপাটির জুতোর সাথে খুব কম মানুষেরই পরিচয় রয়েছে। তীব্র গরমে পা ঠান্ডা ও আরামে চলাচলের জন্যে এই জুতো হতে পারে বেশ উপযোগী। গরমের দিনে যাদের পা ঘামে তাদের জন্যে শীতলপাটির জুতা যেন আশীর্বাদ।

শীতলপাটির জুতো বানানোর কৌশল ও পুরো প্রক্রিয়ার বর্ণনা করতে সুমা বলেন, 'জুতো বানাতে  শীতলপাটিকে জুতার আকারে কেটে নেওয়া হয়। জুতার জন্যে প্রয়োজনীয় সবকিছু সংগ্রহ করার পর তা আমাদের  পরিচিত একজন জুতার কারিগরকে দেওয়া হয়। তিনি জুতার সোল সেলাই থেকে বাকি কাজগুলো করে থাকেন।

শীতলপাটির ব্যাগ। ছবি: সংগৃহীত

'এক্ষেত্রে আমরা গ্রাহকদের কাছ থেকে তাদের পায়ের মাপ জেনে নিয়ে সে অনুযায়ী জুতো বানিয়ে থাকি। অনেকে আমাকে তাদের বাটা বা এপেক্স জুতোর সাইজ বলে থাকেন। কিন্তু মাপের ক্ষেত্রে সেগুলোতে হেরফের হতে পারে। তাই ইঞ্চি মাপ ধরেই জুতোগুলো বানানো হয়ে থাকে। জুতোতে নরম সোল দেওয়া হয় বলে পায়ে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। আর শীতলপাটির মসৃণতা পা ঠান্ডা রাখে ও আরাম দেয়।'

সুমা আরও জানান, 'সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার পর থেকে জুতার প্রচুর অর্ডার আসতে শুরু করে। একার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না বলে কাজের সহযোগিতার জন্য দুইজন লোকও নিয়েছি। এছাড়াও আমার পুরো পরিবার আমার কাজে সহায়তা করছে। 

'অনলাইনে প্রচারের মাধ্যমে এত দূর থেকে অর্ডার আসছে যা আগে সম্ভব হয়নি। তাই আমার পরিবারের সবাই-ই বেশ আনন্দিত। কারণ আমি এই উদ্যোগ না নিলে লোকে জানতে পারত না, আর আমাদের এত দূর-দূরান্ত থেকে অর্ডারও আসত না।'

সুমা নন্দীর স্বপ্ন গ্রাম বাংলার চিরচেনা এই কুটির শিল্পকে তিনি পৌঁছে দেবেন নগর থেকে প্রত্যন্ত এলাকা পর্যন্ত। তার মাধ্যমে মানুষ আবার নতুন করে জানতে পারবে শীতলপাটি সম্পর্কে এবং মানুষের মাঝে এর গ্রহণযোগ্যতা ও ব্যবহার বাড়বে। তিনি চান ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি এই শিল্পের সাথে জড়িত মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে তাদের কাজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে। 

শুধু জুতা, ব্যাগ, মাদুর নয়—শীতলপাটির গয়না নিয়েও কাজ করার পরিকল্পনা আছে সুমার। মানুষের নিত্যকার জীবনে শীতলপাটির ব্যবহার বাড়িয়ে তোলার মাধ্যমে তিনি এটিকে নতুন রূপে তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছেন।

Related Topics

টপ নিউজ

শীতলপাটি / শীতলপাটির জুতা / উদ্যোক্তা / ফিচার

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • সিনেমার একটি দৃশ্যে শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত
    বক্স অফিসে ব্যর্থ; চিরতরে অভিনয় ছাড়েন নায়িকা; ১৮ পুরস্কার জিতে শাহরুখের এ সিনেমা এখন কাল্ট ক্লাসিক
  • সেলিম আল দীন। ছবি: সংগৃহীত
    নাট্যকার সেলিম আল দীনের পদক, পাণ্ডুলিপি ফেরত দিতে নাসির উদ্দিন ইউসুফসহ ৪ জনকে আইনি নোটিশ
  • অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন। ছবি: সংগৃহীত
    পরিচালক হওয়ার পর দেখলাম, আমি যেন ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার: ঢাবির বোস সেন্টার নিয়ে অধ্যাপক মামুন
  • বছরে সর্বোচ্চ তিনটি উৎসাহ বোনাস পাবেন রাষ্ট্রায়ত্ত ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা
    বছরে সর্বোচ্চ তিনটি উৎসাহ বোনাস পাবেন রাষ্ট্রায়ত্ত ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা
  • যুবরাজ ছবিতে: সোহেল রানা ও রোজিনা। ছবি: সংগৃহীত
    রোজিনার বাড়ির লজিং মাস্টার, ‘রসের বাইদানি’ থেকে ‘তাণ্ডব’, ৩০০ ছবির পরিবেশক মাস্টার ভাই!
  • সাইফুল আলম। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
    এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির নির্দেশ আদালতের

Related News

  • ছাপ্পান্নটি গবেষণা কেন্দ্র! নিজের ‘কীর্তি’ নিয়ে দিশেহারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
  • মাস্ক কি সত্যিই একদিন ক্যান্ডি কোম্পানি খুলবেন?
  • উশুতে মেডেল পেলে চাকরি মিলবে, তাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সান্ত্বনারা
  • নুসরাত, সুমাইয়ারা ছিল কোচিং ক্লাস শুরুর অপেক্ষায়...
  • ২০ বছর ধরে কালু মিয়ার কালাভুনায় মজে আছে সিনেপাড়া

Most Read

1
সিনেমার একটি দৃশ্যে শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত
বিনোদন

বক্স অফিসে ব্যর্থ; চিরতরে অভিনয় ছাড়েন নায়িকা; ১৮ পুরস্কার জিতে শাহরুখের এ সিনেমা এখন কাল্ট ক্লাসিক

2
সেলিম আল দীন। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

নাট্যকার সেলিম আল দীনের পদক, পাণ্ডুলিপি ফেরত দিতে নাসির উদ্দিন ইউসুফসহ ৪ জনকে আইনি নোটিশ

3
অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন। ছবি: সংগৃহীত
মতামত

পরিচালক হওয়ার পর দেখলাম, আমি যেন ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার: ঢাবির বোস সেন্টার নিয়ে অধ্যাপক মামুন

4
বছরে সর্বোচ্চ তিনটি উৎসাহ বোনাস পাবেন রাষ্ট্রায়ত্ত ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা
অর্থনীতি

বছরে সর্বোচ্চ তিনটি উৎসাহ বোনাস পাবেন রাষ্ট্রায়ত্ত ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা

5
যুবরাজ ছবিতে: সোহেল রানা ও রোজিনা। ছবি: সংগৃহীত
ফিচার

রোজিনার বাড়ির লজিং মাস্টার, ‘রসের বাইদানি’ থেকে ‘তাণ্ডব’, ৩০০ ছবির পরিবেশক মাস্টার ভাই!

6
সাইফুল আলম। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির নির্দেশ আদালতের

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net