মাস্ক কি সত্যিই একদিন ক্যান্ডি কোম্পানি খুলবেন?

বিতর্কিত ও আলোচিত উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের নানামুখী উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত ব্লুমবার্গের পডকাস্ট সিরিজ 'এলন, ইনক.'–এর শেষ পর্ব প্রকাশিত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত এই ব্যবসায়ী টুইটার কিনে নতুন নামে রিব্র্যান্ড করার সময় থেকে সিরিজটির যাত্রা শুরু হয়েছিল।
এরপর থেকে নানা নাটকীয় ঘটনা ঘটে গেছে। মাস্ক নিজের কোম্পানিগুলোতে পূর্ণ মনোযোগ দিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন এবং এর জের ধরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। কর্মীদের ব্যাপক ছাঁটাইও করেন তিনি। এসব ঘটনাই উঠে এসেছে পডকাস্টের আলোচনায়।
অশান্ত এই সময়কাল বিশ্লেষণে সাংবাদিক ডেভিড পাপাদোপুলোস একত্র করেন ব্লুমবার্গ নিউজরুমের শীর্ষ মাস্ক-বিশেষজ্ঞদের। তাদের মধ্যে ছিলেন ব্লুমবার্গ বিজনেসউইক–এর ম্যাক্স চ্যাফকিন, মাস্ক বিষয়ক প্রতিবেদক ডানা হাল, প্রযুক্তি প্রতিবেদক কার্ট ওয়াগনার এবং সম্পাদক সারাহ ফ্রিয়ার। তারা একসঙ্গে গত কয়েক বছরে মাস্ককে ঘিরে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করেন। একইসঙ্গে মাস্কের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও সম্ভাব্য রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়েও আলোচনা হয়।
পডকাস্টে আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যে ছিল নিউ ইয়র্ক টাইমসের ডিলবুক সামিটে বিজ্ঞাপনদাতাদের উদ্দেশে মাস্কের ক্ষোভ প্রকাশ, হোয়াইট হাউসের ড্রাইভওয়েতে মাস্ক ও তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেসলা প্রদর্শন এবং ডানপন্থী এই বিলিয়নিয়ারের বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গি।
তবে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় মাস্ক-ট্রাম্প বন্ধুত্বের উত্থান-পতনের গল্প। ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে ফেরাতে মাস্ক শত শত কোটি ডলার ব্যয় করলেও, তাদের সম্পর্ক টেকেনি। চ্যাফকিনের ভাষায়, 'এটি ছিল মাস্কের জীবনের সব বিবাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিবাদ।'
ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে নানা জল্পনা থাকলেও, আলোচকদের মধ্যে ডানা হালের একটি ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে অনেকেই একমত পোষণ করেন। আর সেটি হলো- একদিন মাস্ক সত্যিই তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করে একটি ক্যান্ডি কোম্পানি খুলবেন।