মধ্যরাতের আগুনে পুড়ে গেছে যে স্বপ্ন
মঙ্গলবার সারা দিন পুড়ে যাওয়া মহাখালীর সাততলা বস্তিতে বস্তিতে ঘুরে ঘুরে ক্যামেরার লেন্সে অসহায় মানুষের দুঃখবোধের গল্প তুলে এনেছেন আলোকচিত্রী রাকিবুল আলম খান।

রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে সোমবার মধ্যরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে অর্ধশতাধিক ঘর।
এই বস্তিতে যারা বসবাস করেন, তাদের সবাই নিম্নআয়ের, কেউ রিকশা চালান, কেউ দিনমজুর, কেউ বাসাবাড়িতে কাজ করেন। আগুনে সবাই নিঃস্ব আজ। অগ্নিকাণ্ডে সব হারিয়ে ফেলা অসহায় মানুষদের আহাজারিতে আর দুঃখবোধে ভারি হয়ে আছে আশেপাশের পরিবেশ।
মঙ্গলবার সারা দিন পুড়ে যাওয়া ওই বস্তিতে ঘুরে ঘুরে ক্যামেরার লেন্সে অসহায় মানুষের দুঃখবোধের গল্প তুলে এনেছেন আলোকচিত্রী রাকিবুল আলম খান।

মানুষের বাসা বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান তিনি। এক মেয়ে আর ছেলে নিয়ে তার সংসার। আগুনে তার শেষ সম্বলটুকুও আজ নেই।

কিছু নেই আর। জমানো টাকা ছিলো ঘরে। পুড়ে ছাই সব। নতুন করে আর স্বপ্ন বোনা হল না।

আগুনে সব পুড়ে যাওয়ার শোক সইতে না পেরে বৃদ্ধ এই নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের সবাই তাকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন।

আগুনে পুড়ে সব ছাই। কান্নায় ভেঙে পড়া মেয়েকে সান্তনা দিচ্ছে মা।

আগুনে অধিকাংশ দোকান পুড়ে ছাই।

পুড়ে যাওয়া ঘরের অংশে বসে আছেন পরিবারে সবাই। শেষ সম্বল খুঁজে ক্লান্ত তারা।

ঘরের অবশিষ্ট যা ছিল তা নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন সামিয়া খাতুন

জহিরের ছিল মুদির দোকান। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সেটি। যা আগুনে পুড়েনি তা সরানোর চেষ্টা করছে সবাই মিলে।

আগুনে পুড়ে গেছে ঘর, পুড়ে গেছে সব স্বপ্ন। সব হারিয়ে নিঃস্ব আজ

কিছু বের করতে পারেননি ঘর থেকে। যা ছিলো সব পুড়ে গেছে।

অল্প বয়সে আজ ঘর হারা সজিব।

ভাত রান্না হচ্ছিলো । তখনি শুনতে পায় আগুন আগুন বলে চিৎকার। সবাই ঘর থেকে জীবন বাঁচাতে বের হয়ে যায়। খাওয়া হলো না ভাত আর।

এভাবেই পুড়ে যাওয়া ঘরের অংশে দাঁড়িয়ে থাকছেন অনেকে

কিছুই নেই আর । কাল যেখানে ঘর ছিল আজ সেখানে ছাই।

সোমবার রাতে দোকানে ছিলো অনেক টাকার মালামাল। অধিকাংশ ধারের টাকায় কেনা। বিক্রি করে তা পরিশোধ করার কথা। কিন্তু মধ্যরাতের আগুনে পুড়ে সব ছাই। তাই তিনি বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ।