অতি সংবেদনশীল মুখের জন্য সিল্কের ফেস মাস্ক

করোনাভাইরাস মহামারি মানেই হচ্ছে মুখ ঢাকতে হবে; মাস্ক পরা অপরিহার্য। ফলে মাস্ক আমাদের জীবনের প্রতিদিনের অতি প্রয়োজনীয় একটি প্রয়োজনীয় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনেক আগেই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে মুখ ঢাকার পরামর্শ দিয়ে আসছে। আর মুখ ঢাকতে ফেস মাস্ক ছাড়া কোনো গতি নাই। মানে মুখোশ।
বাংলাদেশ সরকারও এখন মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তার মানে, বাড়ির বাইরে গেলে আমাদের অবশ্যই মুখে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরা এখন সবার জন্য বাধ্যতামূলক।
মুখে মাস্ক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সাধারণত নরম কাপড়কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। নরম কাপড় বেশি আরামদায়ক এবং সঠিকভাবে মুখের কাঠামো অনুযায়ী বসে যায়।
নরম কাপড় ত্বকে কোনো অস্বস্তি তৈরি করে না। বারবার মুখে হাত দিয়ে মাস্ক ঠিক করার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু মুশকিল তখনই, মাস্ক যখন মুখের ওপর ভালোমতো বসে যায়, তখন আমাদের এই গরম আবহাওয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে গিয়ে মুখোশের ভিতর বাষ্প জমা হয়। এবং এই বাষ্প মুখোশের বাইরে বের হতে না পারায় ভেতরে, ত্বকে আদ্রতা তৈরি করে।
ড. আদিল সেরাজ ব্রিটিশ স্কিন ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র, এবং একজন ডার্মাটোলজিস্ট, তিনি বলেন, মুখোশ ঘনঘন অ্যাডজাস্ট করা, হাত দিয়ে মুখে ঠিকঠাক করা, ত্বকে হাত লাগানো ঝুঁকিপূর্ণ, এতে হাত থেকে ত্বকে ঘাম, ধুলোবালি জমা হয়। বারবার মুখে হাত লাগানোই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ায়।
তিনি এই সমস্যা দূর করার জন্য সিল্কের তৈরি মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। সিল্কের মাস্ক ব্যবহার করলে তা কম অস্বস্তির, আর ঘাম তৈরি করে কম।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, সিল্কের মাস্ক সংবেদনশীল ত্বকের জন্য খুবই উপযোগী এবং আরামদায়ক।
মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক সরকারিভাবে এ প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ায় খুব শিগগিরই মুখোশের চাহিদা আরও বাড়বে। সিল্কের মুখোশ বাজারে এখন পর্যন্ত কিনতে পাওয়া যায় না।
তাই সিল্কের মাস্ক যে কেউ ঘরে বসেই পুরনো পাঞ্জাবি, সিল্কের শাড়ি থেকেই বানিয়ে নিতে পারেন।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট ইউকে