সোহানের দারুণ ইনিংসে প্রিমিয়ার লিগে শেখ জামালের প্রথম শিরোপা

শুরুটা আর শেষটা একই বিন্দুতে থাকলো। মাঝে চললো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের রাজত্ব। দারুণ এক জয়ে এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরু করা শেখ জামাল প্রথম হারের স্বাদ পায় পঞ্চম ম্যাচে গিয়ে। এরপর মাত্র একটি ম্যাচ হেরে দলটি। দাপট ধরে রাখা দলটি সুপার লিগেও দেখালো নিজেদের সামর্থ্য। মঙ্গলবার নুরুল হাসান সোহানের দারুণ ইনিংসে আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিজেদের করে নিলো শেখ জামাল।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগের আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল। প্রথমবারের মতো ঘরোয়া ৫০ ওভারের এই আসরে শিরোপার স্বাদ নিলো তারা। ১৪ ম্যাচে ১২ জয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করলো তারা। রেসে থেকেও আর লাভ হলো না ১১ জয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে থাকা মাশরাফি বিন মুর্তজার দল লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে আবাহনী। তৌহিদ হৃদয়ের হাফ সেঞ্চুরি এবং জাকের আলী ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের চল্লিশোর্ধ ইনিংসে ৬ উইকেটে ২২৯ রান তোলে তারা। জবাবে জবাবে ৭৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারালেও দলকে পথ হারাতে দেননি নুরুল হাসান সোহান। দারুণ এক ইনিংসে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান।
২৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ২১ রানেই ওপেনার সাইফ হাসানকে হারায় শেখ জামাল। কিছুক্ষণ পর ফিরে যান আরেক ওপেনার সৈকত আলীও। এরপর একে একে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম, অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও রবিউল ইসলাম রবি। দিকহারা এক দলের হাল ধরেন সোহান ও পারভেজ রসুল।
ষষ্ঠ উইকেট ৭২ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। পারভেজ রসুল ৪০ বলে ৩টি চারে ৩৩ রান করে পিরে যান। একপাশ আগলে রান তুলে যাওয়া ম্যাচসেরা সোহান নতুন সঙ্গী হিসেবে পান জিয়াউর রহমানকে। সপ্তম উইকেটে ৮২ রানের জুটি গড়ে দলকে জেতান তারা। দুই ম্যাচ আগে সেঞ্চুরি করে দলকে জেতানো সোহান এই ম্যাচে ৮১ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন। ২৬ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় হার না মানা ৩৯ রান করেন জিয়াউর। আবাহনীর পেসার সাইফউদ্দিন সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন তৌহিদ হৃদয়। এ ছাড়া জাকের আলী ৪৭ ও সাইফউদ্দিন ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। আফিপ হোসেন ধ্রুব ২৯ ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১৫ রান করেন। জিয়াউর রহমান সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান সুমন কান, সানজামুল ইসলাম ও পারভেজ রসুল।