‘বিশ্বের সেরা বোলার হতে চাই’

হারিয়ে যেতে বসেছিলেন, কোথাও ছিল না তার নাম। একটা সময়ে মনে হলো, নিজেকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পরপরই মিশনে নেমে পড়েন তাসকিন আহমেদ। ফিটনেস নিয়ে কঠিন খাটুনি খেটে নিজেকে দেন নতুন রূপ। বল হাতেও দেখা মেলে অন্য এক তাসকিনের, যেন তারই দ্বিতীয় 'ভার্সন'।
২০২১ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে টেস্ট সিরিজে তিনি বুঝিয়েছেন নিজেকে কতোটা বদলেছেন। সাড়ে তিন বছর পর টেস্টে সুযোগ পেয়ে ক্যান্ডির নিষ্প্রাণ উইকেটেও মাপা লাইন-লেংন্থে গতির ঝড় তুলে তাসকিন যেভাবে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের ভোগান, বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে তা রীতিমতো উদাহরণযোগ্য। এর পর নতুন পথচলা। নিয়মিত টেস্ট খেলে আসছেন তিনি। ডাক মেলে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতেও।
নতুন লক্ষ্য নিয়ে এবার দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছেন তাসকিন। সফরের যাওয়ার আগের দিন ডানহাতি এই পেসার জানালেন 'বিরাট' স্বপ্নের কথা। ঠিক পথে পেয়ে যাওয়া তাসকিন হতে চান বিশ্বের সেরা বোলার, 'সব সময় প্রক্রিয়ায় মনোযোগটা বেশি থাকে। আমি ভালো খেলি, খারাপ খেলি, নিজের প্রক্রিয়াটা ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্বপ্ন অনেক বড়, আমি বিশ্বের সেরা বোলার হতে চাই।'
'এ জন্য সব সময় নিজের ফিটনেস ও বোলিং যদি উন্নতি হয়, সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছি। আজও নিজেও ওয়ার্কলোডে মেইন্টেইন করলাম। যেহেতু টেস্ট খেলি, তাই আমার বোলিং ওয়ার্ক লোড ঠিক রাখতে হয়। একই সঙ্গে সাদা বলে মাঝের ওভারের বোলিং করছিলাম। সেদিন তামিম ভাইর সঙ্গে নতুন বলের বোলিং করছিলাম।' যোগ করেন তাসকিন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বোলারদের যেমন সুবিধা থাকে, থাকে চ্যালেঞ্জও। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তার চোখ, 'ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকায় ঠিকঠাক স্পোর্টিং উইকেট পাওয়া যায়। এসব জায়গায় বোলার, ব্যাটসম্যান দুজনেরই ভালো করার সুযোগ থাকে, চ্যালেঞ্জও বেশি। কারণ সমান বাউন্স থাকে, ক্যারিও দারুণ। ভালো জায়গায় বল না করলে রান হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। সুবিধাও আছে। একই সঙ্গে সেখানে খুব নিয়ন্ত্রিত বোলার হতে হবে।'
জোহানেসবার্গে পৌঁছে কয়েকদিন অনুশীলনের সুযোগ পাবে ওয়ানডে দল। ১৮ মার্চ সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে অনুষ্ঠিত প্রথম ওয়ানডে। ২০ মার্চ জোহানেসবার্গ এবং ২৩ মার্চ সুপারস্পোর্ট পার্কে পরের দুই ওয়ানডে হবে। প্রথম টেস্ট ডারবানে শুরু হবে ৩১ মার্চ। ৮ এপ্রিল পোর্ট এলিজাবেথে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট।