ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কুমিল্লার সামনে মাঝারি লক্ষ্য

উইল জ্যাকস-জাকির হাসানের দারুণ শুরুর পর হঠাৎ ছন্দপতন, ১০০ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মাঝে হাল ধরেন মেহেদী হাসান মিরিাজ ও আকবর আলী। তাদের সর্বোচ্চ রানের জুটির পর শেষ দিকে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ঝড়ো ব্যাটিং, সব মিলিয়ে লড়াইয়ের পুঁজি পেল চট্টগ্রাম। ফাইনালে ওঠার লড়াই দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে ১৯.১ ওভারে ১০ উইকেটে ১৪৮ রান তুলেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
বড় সংগ্রহ গড়তে না পারলেও বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুটা দাপুটে হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরা উইল জ্যাকসের সঙ্গে এদিন শুরু থেকে মারকুটে মেজজে ব্যাটিং শুরু করেন জাকির হাসানও। ৩ ওভারে স্কোরকার্ডে ৩০ রান যোগ করেন তারা। জ্যাকস-জাকিরের ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম শিবির যখন উদ্বেলিত, তখনই আঘান হানেন শহিদুল ইসলাম।
৯ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ১৬ রান করা ইংলিশ ব্যাটসম্যান জ্যাকসকে ফিরিয়ে দেন কুমিল্লার ডানহাতি এই পেসার। প্রথম উইকেট পতনের পরই দিক হারিয়ে ফেলে দারুণ শুরু করা দলটি। দলীয় ৩৯ রানে থামেন আগের ম্যাচের নায়ক চ্যাডউইক ওয়ালটন। এদিন ২ রান করেই ফিরে যান তিনি।
চট্টগ্রামের ইনিংসে সবচেয়ে বড় আঘাতটি হানেন মঈন আলী। কুমিল্লার এই ইংলিশ অলরাউন্ডার টানা দুই বলে ফিরিয়ে দেন ২০ রান করা জাকির হাসান ও শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে। ৩ ওভারে ৩০ রান তোলা দলটিই ১২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে।
৪৩ রানেই নেই ৪ উইকেট, চট্টগ্রামে যখন মাঝ দরিয়ায়; তখন তাদের বিপদ আরও বাড়ে আফিফ হোসেন ধ্রুবর বিদায়ে। ৫০ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও আকবর আলী। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে খাদের কিনারে চলে যাওয়া দলকে ঠিক পথে ফেরান তারা।
ষষ্ঠ উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়েন তারা। দারুন ব্যাটিংয়ে ২০ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৩ রান করে আউট হন আকবর। এরপর আরও কিছুটা পথ পাড়ি দেন মিরাজ। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩৮ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন। শেষ দিকে ঝড় তুলে ৮ বলে ২ ছক্কায় ১৬ রান করেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। নাসুম আহমেদ প্রথম বলেই আউট হওয়ায় ১৯.১ ওভারে অলআউট হয়ে যায় চট্টগ্রাম।