চট্টগ্রামে বিপিএল, স্বস্তিতে ক্রিকেটাররা

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ মানেই যেন রান খরার দৃষ্টান্ত। আন্তর্জাতিক ম্যাচ কিংবা ঘরোয়া টুর্নামেন্ট; মিরপুরের ধীর গতির উইকেটে রান তুলতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয় ব্যাটসম্যানদের। চলতি বিপিএলেও একই চিত্র। বিশেষ করে প্রথম ম্যাচে রানই হচ্ছে না। রাতের ম্যাচে রান হলেও তা মন ভরানোর মতো নয়। তাই বিপিএল চট্টগ্রামে আসতেই ক্রিকেটাররা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন।
এই স্বস্তি ভালো উইকেটে খেলতে পারার। এবার রান মিলবে; এমন আত্মবিশ্বাস মেলার। চট্টগ্রামের উইকেট সব সময়ই স্পোর্টিং, যেখানে ব্যাট হাতে শাসন করতে পারেন ব্যাটসম্যানরা। বিপিএলই তার বড় প্রমাণ। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসরটির সর্বোচ্চ ছয়টি দলীয় সংগ্রহের সবগুলোই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
এই স্টেডিয়ামে ২০১৯ বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ২৩৯ রান তোলে রংপুর রাইডার্স। যা এই স্টেডিয়াম ও বিপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ২০১৯ বিপিএলে ২০০ ছাড়ানো ছয়টি ইনিংসের সবগুলো এই মাঠে। বিপিএলে সব মিলিয়ে ২৫টি ২০০ পেরোনো ইনিংস আছে, এর মধ্যে ১০টিই চট্টগ্রামে। এমন ভেন্যুতে এসে তাই রোমাঞ্চিত খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ও সিলেট সানরাইজার্সের নেতৃত্বে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
বৃহস্পতিবার অনুশীলনের পর মুশফিক বলেন, 'চট্টগ্রাম অন্যতম 'হাই স্কোরিং গ্রাউন্ড।' শুধু গত বছর নয়, এখানে বিপিএলের যতগুলো ম্যাচ হয়েছে, সব সময় বড় রান হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা যেন কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারি। কারণ, ঢাকা ও চট্টগ্রামের উইকেটের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আমরা যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারব, আমাদের জন্য ততই ভালো হবে। আশা করছি, উইকেট ভালো হবে। 'ট্রু এন্ড ফ্রেশ' উইকেট এবং অবশ্যই ব্যাটিং সহায়ক উইকেট হবে।'
চট্টগ্রামের অধিনায়ক মিরাজ উইকেট নিয়ে বলেন, 'উইকেট তো অবশ্যই ভালো। প্রত্যেক ব্যাটসম্যান ও বোলারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। যত ভালো উইকেটে খেলবে, ব্যাটসম্যানরা ততো রান করে আত্মবিশ্বাস পাবে এবং বোলাররাও অনেক কিছু শিখতে পারবে। আমি মনে করি, ভালো উইকেটে খেলাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভালো ক্রিকেট খেললে নিজের আত্মবিশ্বাস ভালো থাকে এবং দলের জন্যও অবদান রাখা যায়। এখানে ভালো উইকেট আছে, সবাই সেভাবেই মানসিক প্রস্তুতি নেবে।'
সিলেট সানরাইজার্স অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ভাষায়, 'চট্টগ্রামে তো সব সময় বোলারদের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ থাকেই। আমরা জানি চট্টগ্রামের উইকেট খুব ভালো থাকে ব্যাটসম্যানদের জন্য। আমাদের শক্তির জায়গা স্পিন, এটা ঠিক আছে। তবে আমাদের স্পিনাররা আছে, এরা কিন্তু 'বিগ টার্নার' না। বেশিরভাগ বোলার বলে স্কিট একটু বেশি করে। তো এখানেও হয়তো তার ব্যতিক্রম কিছু হবে না। তবে আমরা চেষ্টা করব স্পিনাররা ভালো জায়গাতে বোলিং করার।'
পাঁচ দিনের চট্টগ্রাম পর্বের মাঠের লড়াই শুরু হচ্ছে আজ ২৮ জানুয়ারি। দিনের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হবে খুলনা টাইগার্স। ম্যাচটি বেলা দেড়টায় শুরু হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার ম্যাচে লড়বে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা ও সিলেট সানরাইজার্স।