বিপর্যয় কাটিয়ে হৃদয়-জাকেরের হাফ সেঞ্চুরি, দেড়শ ছাড়িয়ে বাংলাদেশ

দুঃস্বপ্নের শুরুর পর মনে হচ্ছিল ১০০ রানের আগেই গুটিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের ইনিংস। ৩৫ রানেই যে চলে যায় ৫ উইকেট। এমন বিপর্যয়ে পড়া দলের হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিক। চাপ কাটিয়ে এখনও দলকে পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন এই দুই ব্যাটসম্যান, তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি।
হৃদয়-জাকেরের দৃঢ়তায় ৩৮ ওভারে ৫ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৫১ রান। ষষ্ঠ উইকেটে ইতোমধ্যে ১১৬ রান যোগ করেছেন তারা। হৃদয় ৬১ রানে ও জাকের ৫৫ রানে ব্যাটিং করছেন। ওয়ানডেতে এটা হৃদয়ের অষ্টম ও জাকেরের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি।
৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করতে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই উইকেট হারানো দলটি নিয়মিত ধারায় উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা অবস্থায় চলে গেছে। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছে বাংলাদেশ।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৮.৩ ওভারে ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এই চাপ কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিক। ১২ ওভার শেষে ৫ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৯ রান। হৃদয় ১০ ও জাকের ৬ রানে ব্যাটিং করছেন।
প্রথম ওভারেই ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামির ভেতরে ঢোকা বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন সৌম্য সরকার, ৫ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। পরের ওভারে থামেন শান্তও। ভারতের আরেক পেসার হর্ষিত রানার অনেক বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে কভারে বিরাট কোহলির হাতে ধরা পড়েন তিনি। বাংলাদেশ অধিনায়কও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
এরপর চার ওভারের বিরতি, ষষ্ঠ ওভারে গিয়ে আবারও উইকেটের পতন। শামির বলে ব্যাট চালিয়ে সৌম্যর মতো মেহেদী হাসান মিরাজও উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন, ১০ বলে ৫ রান করেন তিনি। নবম ওভারে বাংলাদেশকে দিক ভুলিয়ে দেন অক্ষর প্যাটেল। ভারতের বাঁহাতি এই স্পিনার পরপর দুই বলে ফিরিয়ে দেন তানজিদ হাসান তামিম ও মুশফিকুর রহিমকে।
এ কজনের মধ্যে কেবল তানজিদই কিছু রান করতে পেরেছেন, বাঁহাতি তরুণ এই ওপেনার ২৫ বলে ৪টি চারে ২৫ রান করেন। সৌম্য, শান্তর মতো রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। এই ওভারে আরেকটি উইকেট পেতে পারতেন অক্ষর, হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়তে পারতেন তিনি। কিন্তু জাকেরের তোলার সহজ ক্যাচটি নিতে পারেননি ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা।