একুশে পদক পেলেন সাফজয়ী সাবিনারা

ঘোষণা আগেই দেওয়া হয়, এবার পদক বুঝিয়ে দেওয়া হলো পদক। দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক দেওয়া হয়েছে ২০২৩ সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী দলকে। বুধবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাফ জয়ী দলকে মর্যাদার এই পুরস্কার বুঝিয়ে দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেন জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দা। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সর্বশেষ সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী দলের অন্য ফুটবলাররাও। ২৩ ফুটবলার ছাড়াও অনুষ্ঠানে যোগ আমন্ত্রিত ছিলেন কোচ-কর্মাকর্তাসহ আরও ৯ জন।
গত বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত সাফের ফাইনালে নেপালকে হারানোর মিশনে সেরা একাদশে থাকা ১১ জনকে একুশে পদক দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু বাফুফের পক্ষ থেকে খেলোয়াড়, কোচ, কোচিং স্টাফসহ ৩২ জনের নাম পাঠানো হয়। অনেক চিঠি চালাচালির পর সাফজয়ী পুরো দলকে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়।
দেশের ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে একুশে পদক পেল জাতীয় নারী ফুটবল দল। ক্রীড়া ফেডারেশন বা সংস্থা হিসেবে ২০০১ সালে স্বাধীনতা পদক পায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই পদকটির জন্য স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল অনেকবারই আবেদন করেছে। কিন্তু ফুটবল খেলে দেশের স্বাধীনতায় অবদান রাখা দলটিকে পুরস্কারটি দেওয়া হয়নি।
নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফের শিরোপা জেতে বাংলাদেশের মেয়েরা। এই সাফের মিশনে বাংলাদেশের স্কোয়াডে ছিলেন রুপনা চাকমা, ইয়ারজান বেগম, মিলি আক্তার, মাসুরা পারভীন, কোহাতি কিসকু, আফিদা খন্দকার, নিলুফা ইয়াসমিন, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শিউলি আজিম, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্ডা, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রানী, আইরিন আক্তার, মাতসুশিমা সুমাইয়া, শাহেদা আক্তার রিপা, ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার ও মোসাম্মৎ সাগরিকা।