ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাঝারি লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

তেড়েফুঁরে শুরু করতে চাইলেন তানজিদ হাসান হাসান তামিম, যেটাকে অস্থিরতাও বলা যায়। উইকেটে গিয়েই রানের খোঁজে মরিয়া হয়ে ওঠা তরুণ এই ওপেনার যেন ভিন্ন রূপে নিজেকে হাজির করতে চাইলেন। যেটার ফল ভালো হলো না, কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি সাজঘরে। পরের বলে বোলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন লিটন কুমার দাসও। একটু পর আফিফ হোসেন ধ্রুবও ফিরলে বাংলাদেশ তখন দিকহারা এক দল।
এখান থেকে হাল ধরে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন চাপ সামলে জুটি গড়া সৌম্য সরকার ও জাকের আলী। তাদের গড়া জুটিই হলো বাংলাদেশের ইনিংসের সবচেয়ে বড়। এরপর শেখ মেহেদি হাসান ও শামীম হোসেন পাটোয়ারীর ব্যাটে এগোলো বাংলাদেশ। এতে মিললো কিছুটা লড়াই করার পুঁজি। বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নেস ভেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে ১৪৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টিতে এই রান নিশ্চয়ই নিরাপদ কোনো সংগ্রহ নয়। কিন্তু সফরকারীদের শুরুতে চোখ রাখলে এটাই বেশি মনে হতে পারে। ১৫ রানের মধ্যেই ফিরে যান তাসজিদ ও লিটন; ৩০ রানে বিদায় নেন আফিফও। উইকেটের চাপ সামলাতে রান তোলায় মন দিতে পারেনি বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৩২ রান তোলে তারা। ৬ ওভারের ৩৬ বলের মধ্যে ২২টিই যায় ডট। এক ওভারে ২ উইকেট নেওয়া উইন্ডিজ স্পিনার আগেভাগেই নিজের ৪ ওভার শেষ করে। ৪ ওভারের ২৪ বলের মধ্যে ১৮টি করেন ডট বল করেন।
সৌম্য-জাকের চাপ সামলার দিলেও শুরুতে সেভাবে রানচাকা ঘোরাতে পারেননি, ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৫৬ রান যোগ হয় বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে। ১১তম ওভারের ঝড়ে অবস্থায় কিছুটা পরিবর্তন আসে। গুডাকেশ মোটিকে টানা ২ ছক্কা মারেন সৌম্য, এই ওভার থেকে আসে ১৫ রান। ততোক্ষণে উইকেটে থিতু হয়ে জাকেরও ব্যাট চালাতে শুরু করেছেন। যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। রোমারিও শেফার্ডকে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন ২৭ বলে একটি চার ও ২টি ছক্কায় ২৭ রান করা জাকের।
এর আগে চতুর্থ উইকেটে সৌম্য-জাকেরের গড়া জুটি থেকে ৪২ বলে আসে ৫৭ রান। জাকেরের বিদায়ের কিছুক্ষণ পর বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। বাঁহাতি এই ওপেনার ৩২ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ইনিংস সেরা ৪৩ রান করেন। এরপর শেখ মেহেদি ও শামীমের ব্যাটে ১৯.৫ ওভার পর্যন্ত লড়ে বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেটে ২৯ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন তারা। ঝড়ো ইনিংস খেলা শামীম ১৩ বলে একটি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৭ রান করেন।
শেখ মেহেদি ২৪ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। তানজিদ ১১ বলে ৬ রান করেন। রানের খাতা খুলতে পারেননি এই সিরিজে টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব পাওয়া লিটন, প্রথম বলেই আউট হন তিনি। আফিফ ১১ বলে ৮ রান করেন। শুরুতে বাংলাদেশকে চাপে ফেলা আকিল ৪ ওভারে ২ উইকেট নিতে মাত্র ১৩ রান খরচা করেন, একটি ওভার নেন মেডেন। ওবেড ম্যাকয়ের শিকারও ২ উইকেট, ৪ ওভারে ৩০ রান দেন তিনি। রস্টন চেস ও রোমারিও শেফার্ড একটি করে উইকেট পান।