বাংলাদেশের ম্যাচ চট্টগ্রামে, জাকির খেলছেন সিলেটে

ব্যাটিং ব্যর্থতায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা আনার লক্ষ্য নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। এই ম্যাচটি খেলতে আজ দুপুরে চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। এই ম্যাচের জন্য ঘোষণা করা ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে আছেন জাকির হাসান। কিন্তু বাঁঁহাতি এই ওপেনার সিলেটে জাতীয় লিগের ম্যাচ খেলছেন।
টস জিতে ফিল্ডিং করছে সিলেট, দলটির অধিনায়কত্বে আছেন জাকির। জাতীয় লিগের এই ম্যাচটি শেষ হবে আগামী ২৯ অক্টোবর। এদিনই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্ট। স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারকে অন্য ম্যাচে কেন খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, বিষয়টির ব্যাখ্যা দ্য বিজনেজ স্ট্যান্ডার্ডকে দিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
তিনি জানান, দলের প্রয়োজন হলে জাকিরকে ডাকা হবে। তবে তার খেলার সম্ভাবনা কম বলে জাতীয় লিগে খেলতে দেওয়া হয়েছে। মিরপুর টেস্টে স্কোয়াডে ছিলেন না বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। চট্টগ্রাম টেস্টেও খেলা না হলে লম্বা সময় ম্যাচের বাইরে থাকতে হবে জাকিরকে। তাই আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজ মাথায় রেখে প্রস্তুতি বিবেচনায় তাকে জাতীয় লিগে খেলতে দেওয়া হয়েছে। এই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দেবেন জাকির।
টিবিএসকে গাজী আশরাফ বলেন, 'সাধারণত কোচ-অধিনায়কের সঙ্গে আমরা প্রাথমিক একটা আলোচনা করি যে, সম্ভাব্য ওপেনার কে কে হতে পারে। চট্টগ্রাম টেস্টে সম্ভাব্য একাদশ নিয়ে আমাদের যে আলোচনা হয়েছে, সেখানে ওপেনিংয়ে জাকিরের খেলার সম্ভাবনা খুবই কম মনে হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, ঢাকা টেস্টে সে বসে ছিল। আবার সামনে আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ আছে। সেই আলোকে, ও যদি জাতীয় লিগ খেলে, ওর জন্যই ভালো।'
দলের প্রয়োজন হলে কিংবা কেউ চোট পেলে জাকিরকে চট্টগ্রামে উড়িয়ে নেওয়া হবে জানান প্রধান নির্বাচক। অনেক দেশই ক্রিকেটারদের এভাবে প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখে জানিয়ে গাজী আশরাফ বলেন, 'অনেক দেশই এটা করে। এ ছাড়া কোনো কারণে যদি দেখা গেল এর মধ্যে কেউ ব্যথা পেল বা আমাদের প্রয়োজন পড়লো, তাহলে ওকে আমরা উঠিয়ে আনতে পারব। জাতীয় লিগের প্লেয়িং কন্ডিশনেও এটা আছে। এমনিতে (জাতীয় লিগের) খেলা শেষ হলে সে দলের সঙ্গে গিয়ে যোগ দেবে।'