চাকরিতে থাকা বা ছাড়া, কোনোটাতেই সমস্যা নেই হাথুরুসিংহের

প্রথম দফায় সাফল্য পাওয়ায় বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার ধরন ভালো না হওয়ার পরও ফের হাথুরসিংহের দ্বারস্থ হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। লঙ্কান এই কোচকে বুঝিয়ে আবারও বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে ফেরানো হয়। ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ দলকে সামলাচ্ছেন হাথুরুসিংহে। তবে এই দফায় সেভাবে সাফল্য মেলেনি। দুটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে আলোচনায় তিনি ও তার পদ।
এই আলোচনায় আরও বেগ পেয়েছে সরকার বদলের পর। আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের পর থেকে দেশের অনেক কিছুতেই আসছে পরিবর্তন। বিসিবিতেও লেগেছে সেই হাওয়া, ইতোমধ্যে বিসিবির পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। আসবে আরও বড় পরিবর্তন, পাল্টে যাচ্ছে বিসিবি সভাপতিও। কোচের পদে পরিবর্তন আসবে? পাকিস্তানে দলের সঙ্গে থাকা হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন, চাকরিতে থাকা বা ছাড়ায় কোনো সমস্যা নেই তার।
বোর্ডের পরিবর্তন নিয়ে না ভেবে দলকে নিয়ে কাজ করাতেই সব মনোযোগ দিয়ে রেখেছেন হাথরুসিংহে। এ ছাড়া বিসিবির সঙ্গে তার চুক্তিরও বেশি সময় বাকি নেই। আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে তার চুক্তি। বোর্ডে বড় ধরনের পরিবর্তন এলেও বোর্ড চাইলে তিনি খুশি মনেই চুক্তির মেয়াদ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলে প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করতে চান।
পালাবদলের অধ্যায়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমার কোনো ধারণা নেই বাংলাদেশে (বোর্ডে) কী চলছে। আমার ভবিষ্যতের কথা বললে, যতোদিন পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ আছে, আমি দায়িত্ব পালনের দিকে তাকিয়ে আছি। বোর্ড যদি বদলে যায় এবং তারা যদি পরিবর্তন চায়, আমার তাতে সমস্যা নেই। তারা যদি আমাকে চালিয়ে নিতে বলে, আমাকে নিয়ে খুশি থাকে, আমিও খুশি মনে দায়িত্ব পালন করব।'
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে দুটি টেস্ট খেলতে গত ১২ আগস্ট পাকিস্তানে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। লাহোরে তিনদিন অনুশীলন করে ১৭ আগস্ট রাতে ইসলামাবাদে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। রাওয়ালপিন্ডিতে অনুশীলন করছে বাংলাদেশ, আগামী ২১ আগস্ট এখানেই সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে। দ্বিতীয় ম্যাচটিও হবে রাওয়ালপিন্ডিতে, শুরু হবে ৩০ আগস্ট।