আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বড় কিছুর আশায় হাথুরুসিংহে

ওয়ানডেতে সুখস্মৃতি থাকলেও টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়টা এখনও অধরা বাংলাদেশের। ২০০৭ সাল থেকে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে খেলা ৮ ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছে তারা। এর মধ্যে ৩টি ম্যাচ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের, প্রতিবারই বড় হার সঙ্গী হয় বাংলাদেশের। আরও একবার বিশ্ব আসরে প্রতিপক্ষ প্রোটিয়ারা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ, সাড়ে ৮টায় শুরু হবে ম্যাচ। অতীত রেকর্ড পক্ষে না থাকলেও এই ম্যাচে বড় আশা বাংলাদেশের প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহের।
প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ উইকেটের জয়ে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার কিছুটা 'নাজুক' অবস্থাও আশা যোগাতে পারে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৭৮ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিতে ৪ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা, খেলতে হয় ১৭তম ওভার পর্যন্ত। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও ছিল ছোট লক্ষ্য। ১০৪ রান তাড়ায় হারের শঙ্কায় পড়ে প্রোটিয়ারা। ৪ উইকেটে জিতলেও খেলতে হয় ১৯তম ওভার পর্যন্ত।
ছোট লক্ষ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার এমন সংগ্রামের কারণ মূলত উইকেট। নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ খেলেছে তারা। ড্রপ-ইন এই উইকেটে ব্যাটসম্যানদের জন্য কিছু নেই বললেই। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের ৫টি ম্যাচ হয়েছে এখানে, কোনো ম্যাচেই রান হয়নি। সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ কানাডার, ৭ উইকেটে ১৭৭। ভারতও এই মাঠে ১১৯ রানে অলআউট হয়, জবাবে পাকিস্তান তোলে ১১৩ রান।
নিউ ইয়র্কের মাঠটির উইকেটে অসম বাউন্স আছে, যেখানে রান করা কষ্টসাধ্য কাজ। ড্রপ-ইন এই উইকেট নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে অনেক। কিন্তু এই উইকেটেই বাংলাদেশের সুযোগ দেখছেন হাথুরুসিংহে। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে লঙ্কান এই কোচ বলেন, 'উইকেটটা ব্যাটসম্যানদের জন্য সহজ নয়। আর এ কারণে দুই দলই সমতায় থেকে ম্যাচটি শুরু করবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং খুবই ভালো। (তবে) আমরা এই উইকেটে দারুণ লড়াই উপহার দিতে আত্মবিশ্বাসী।'
ছন্দে না থাকলেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ওপর আস্থা রাখছেন হাথুরুসিংহে। মাথা ঠান্ডা রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা নিজেদের খেলা, শক্তির জায়গা ও প্রতিপক্ষ নিয়ে কথা বলেছি। উইকেটে গেলে কিন্তু সিদ্ধান্তটা ওদেরই নিতে হয়। ওদের খেলাটি বুঝতে হবে ও ম্যাচের অবস্থা কেমন, সেটিও বুঝতে হবে। আমার মনে হয়, ঠান্ডা মাথায় নিজেদের শক্তির জায়গা বুঝে খেলা উচিত। আর আত্মবিশ্বাস থাকলেই নিজের শক্তি অনুযায়ী খেলা যায়। যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্য এটাই বার্তা, ভালো খেলার সময় কী করেছো, মনে করো।'
এক ম্যাচ আগেও এই আত্মবিশ্বাস ছিল না, যা মিলেছে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর। কোচের কথায় তা স্পষ্ট, 'ওই জয়টা খেলোয়াড়দের স্বস্তি দিয়েছে, ২ পয়েন্ট পাওয়া গেছে। ম্যাচটি আমাদের জন্য অনেক বড় ছিল, চাপও কম ছিল না। আমরা কিছুটা অধারাবাহিক হয়ে পড়েছিলাম। অনুশীলনে ভালো করলেও ব্যাটসম্যানরা রান পাচ্ছিলো না। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো লিটন উইকেট থেকে রান পেয়েছে। সে কন্ডিশন বুঝেই রান করেছে। ওর কাছ থেকে আরও বেশি কিছু প্রত্যাশা আমাদের।'