যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ম্যাচের যতো রেকর্ড

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর নিশ্চয়ই স্বপ্নের সীমানা বেড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে তারা যে বিশেষ কিছু করতে চায়, সেটা তাদের খেলোয়াড়-কোচের কথাতেই বোঝা গেছে। শুরুটা স্বপ্নের মতোই হয়েছে এবারের বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকদের। উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে রেকর্ড গড়া জয় তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৫ রানের বড় লক্ষ্যে পেয়েও খেই না হারানো দলটি ১৪ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয়। অ্যান্ড্রিয়েস গাউস ও ম্যাচসেরা অ্যারন জোন্সের দাপুটে ব্যাটিংয়ে কানাডাকে রীতিমতো উড়িয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই ম্যাচে ব্যক্তিগত ও দলগত বেশ কয়েকটি রেকর্ড হয়েছে, এক নজরে সব দেখে নেওয়া যাক।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয় সেরা রান তাড়া
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার ঘটনা আছে মাত্র দুটি। ২০১৬ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৩০ রান টপকে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ড। ২০০৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর পরের সফল রান তাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের ইনিংসটি।
যুক্তরাষ্ট্রের সফল রান তাড়া
২০১৯ সাল থেকে ২৯টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছে যুক্তরাষ্ট্র, তাদের জয় ১৭টিতে। ১১টি ম্যাচে রান তাড়া করে জিতেছে দলটি। এর মধ্যে সেরা রান তাড়া আজকেরটি। এই ম্যাচের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ রান তাড়া ছিল ১৬৯, সেটাও ছিল কানাডার বিপক্ষে।
বিশ্বকাপে সহযোগী দেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ
আগে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৯৪ রান তোলে কানাডা। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আইসিসি সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড। কিন্তু রেকর্ডটি টেকে মাত্র দুই ঘণ্টা। এই রান টপকে জয় তুলে নেওয়ার পাশাপাশি রেকর্ডটিও নিজেদের করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। ৩ উইকেটে তাদের করা ১৯৫ রান এখন বিশ্বকাপে সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
বিশ্বকাপে নিজের ও দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস
বড় লক্ষ্য তাড়ায় খুনে ব্যাটিং করেন অ্যারন জোন্স। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪০ বলে ৪টি চার ও ১০টি ছক্কায় ৯৪ রানের দুর্বার ইনিংস খেলেও অপরাজিত থাকেন। এটা তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস, বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কোনো ব্যাটসম্যানেরও। টি-টোয়েন্টিতে এটা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা ইনিংস।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি
দুর্বার ইনিংসটি খেলার পথে মাত্র ২২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অ্যরন জোন্স। যা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম।
বিশ্বকাপে ইনিংসে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড
কানাডার বিপক্ষে ঝড় বইয়ে দেওয়ার ইনিংসে জোন্স ছক্কা মেরেছেন ১০টি। আরেকটু হলেই ক্রিস গেইলের ইনিংসে মারা সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড নিজের করে নিয়েছিলেন তিনি। এরপরও গেইলের পাশে নাম বসেছে তার। বিশ্বকাপে ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কা মারায় এটা দ্বিতীয় সেরা। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০টি ছক্কা মারেন গেইল। ২০১৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংসে ১১টি ছক্কা মেরে রেকর্ডটি দখলে রেখেছেন ক্যারিবীয় এই ব্যাটিং ঝড়।
তৃতীয় উইকেটে নিজেদের সেরা ও বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেরা জুটি
কানাডার বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে ৫৮ বলে ১৩১ রানের জুটি গড়েন অ্যান্ড্রিয়েস গাউস ও অ্যারন জোন্স। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে যেকোনো উইকেটে এটা যুক্তরাষ্ট্রের সেরা জুটি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয় উইকেটে এটা দ্বিতীয় সেরা জুটি। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে ১৫২ রান যোগ করেন ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলস ও ইয়ন মরগ্যান, যা এখনও সেরা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্রুততম দলীয় ১০০ রান
১৩১ রানের জুটি গড়ার পথে দলীয় দ্রুততম ১০০ রানের রেকর্ডও গড়েছেন গাউস ও জোন্স। ২২ গজে ঝড় তোলা এই দুই ব্যাটসম্যান জুটির ১০০ রান পূর্ণ করেন মাত্র ৪২ বলে।